একটি মজার গল্প এবং তার আলোকে বর্তমান উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চিত্রায়ন
আমাদের ভাই-বোনদের মধ্যে রাগারাগি হলে আমার বাবা প্রায় একটা গল্প বলেন। গল্পটা এমন-
"একদিন এক ব্রাক্ষণ, এক মৌলভি আর এক চাষী অনেকটা জনমানবহীন কোন এক অঞ্চলের পথ ধরে হেটে যাচ্ছিল। তো পথিমধ্যে তাদের তীব্র পানির তৃষ্ণা পেল। কিন্তু তারা কোথাও শুপেয় পানি পাচ্ছিলোনা। এমতোবস্থায় তারা হঠাৎ একটি আঁখ ক্ষেতের সন্ধান পায় এবং কোন আগ-পিছ চিন্তা ছাড়াই আঁখ ভেঙ্গে খাওয়া শুরু করে।
এ দৃশ্য দূর থেকে উক্ত আঁখ ক্ষেতের মালিক দেখতে পায় এবং তার ক্ষেতের আঁখ বিনা অনুমতিতে খাওয়ার জন্য তিনজনকে সায়েস্তা করার প্রতিজ্ঞা করে। কিন্তু যেহেতু সে একা এবং তার আঁখ বিনষ্টকারির সংখ্যা তিনজন, সে তাদের শায়েস্তা করার এক বুদ্ধি আটে। তখন সে উক্ত তিনজনের কাছে এসে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে প্রথমে মৌলভি আর চাষীকে বলে তোমরা আমার স্বজাতির লোক। তাছাড়া তোমারা আমার জন্য দোয়া করবা। কিন্তু ব্রাক্ষণ বেধর্মী, সে আঁখ খাইলো কেন? তাই তোমারা ওরে ধরে রাখো আর আমি পেটায়।
মৌলভি আর চাষী গভির ভাবে ভাবা ছাড়াই দেখলো কৃষকের কথায় যুক্তি আছে। তাই তারা দুজন ব্রাক্ষণকে পেটাতে সাহায্য করলো।
ব্রাক্ষনকে সায়েস্তা করা হলে এবার কৃষক চাষীকে বললো তুমি আমার জাত ভাই, আঁখ খায়ছো কোন সমস্যা নাই। কিন্তু মৌলভি যে আঁখ খায়লো এইটা কোন হাদিসে আছে যে বিনা অনুমতিতে অন্যের জিনিস ভোগ করা যাবে। অতএব মৌলভির শাস্তি হওয়া উচিত। চষী দেখলো কথার যুক্তি আছে। তাই সে মৌলভিকে পেটাতে কৃষককে সহয়তা করলো।
যখন মৌলভি এবং ব্রাক্ষণ দুজনকে সায়েস্তা করা হলো তখন কৃষক চাষীকে বললো তুই আমার জাত ভাই ঠিক আছে। কিন্তু হারামজাদা তুই বিনানুমতিতে আমার আঁখ খায়লি কেন? এই বলেই কৃষক চাষীকেও পিটানো শুরু করলো।
অতঃপর তাদের তিনজনকেই কৃষক রশি দিয়ে বেধে রাখলো।"
এবার আসল কথ বলা যাক। সকল স্তরের (পাবলিক, প্রাইভেট এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়) ছাত্র টু ছাত্র, শিক্ষক টু শিক্ষক ও শিক্ষক টু ছাত্রের মধ্যে তৈরি হওয়া সুক্ষ বিভাজন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষকের মাঝে তৈরিকৃত সুক্ষ বিভজনের দৃষ্টি ভঙ্গিকে উক্ত গল্পটির আলোকে বিশ্লেষন করার বোধহয় সময় এসেছে। তাহলেই আমরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্তমানের অস্তিরতা এবং সন্মানিত শিক্ষক ও ছাত্রদের অবমূল্যায়নের কারন স্পষ্ট ভাবে খুজে পেতে পারি।
বি.দ্র : লেখাটি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে লেখা। ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
"একদিন এক ব্রাক্ষণ, এক মৌলভি আর এক চাষী অনেকটা জনমানবহীন কোন এক অঞ্চলের পথ ধরে হেটে যাচ্ছিল। তো পথিমধ্যে তাদের তীব্র পানির তৃষ্ণা পেল। কিন্তু তারা কোথাও শুপেয় পানি পাচ্ছিলোনা। এমতোবস্থায় তারা হঠাৎ একটি আঁখ ক্ষেতের সন্ধান পায় এবং কোন আগ-পিছ চিন্তা ছাড়াই আঁখ ভেঙ্গে খাওয়া শুরু করে।
এ দৃশ্য দূর থেকে উক্ত আঁখ ক্ষেতের মালিক দেখতে পায় এবং তার ক্ষেতের আঁখ বিনা অনুমতিতে খাওয়ার জন্য তিনজনকে সায়েস্তা করার প্রতিজ্ঞা করে। কিন্তু যেহেতু সে একা এবং তার আঁখ বিনষ্টকারির সংখ্যা তিনজন, সে তাদের শায়েস্তা করার এক বুদ্ধি আটে। তখন সে উক্ত তিনজনের কাছে এসে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে প্রথমে মৌলভি আর চাষীকে বলে তোমরা আমার স্বজাতির লোক। তাছাড়া তোমারা আমার জন্য দোয়া করবা। কিন্তু ব্রাক্ষণ বেধর্মী, সে আঁখ খাইলো কেন? তাই তোমারা ওরে ধরে রাখো আর আমি পেটায়।
মৌলভি আর চাষী গভির ভাবে ভাবা ছাড়াই দেখলো কৃষকের কথায় যুক্তি আছে। তাই তারা দুজন ব্রাক্ষণকে পেটাতে সাহায্য করলো।
ব্রাক্ষনকে সায়েস্তা করা হলে এবার কৃষক চাষীকে বললো তুমি আমার জাত ভাই, আঁখ খায়ছো কোন সমস্যা নাই। কিন্তু মৌলভি যে আঁখ খায়লো এইটা কোন হাদিসে আছে যে বিনা অনুমতিতে অন্যের জিনিস ভোগ করা যাবে। অতএব মৌলভির শাস্তি হওয়া উচিত। চষী দেখলো কথার যুক্তি আছে। তাই সে মৌলভিকে পেটাতে কৃষককে সহয়তা করলো।
যখন মৌলভি এবং ব্রাক্ষণ দুজনকে সায়েস্তা করা হলো তখন কৃষক চাষীকে বললো তুই আমার জাত ভাই ঠিক আছে। কিন্তু হারামজাদা তুই বিনানুমতিতে আমার আঁখ খায়লি কেন? এই বলেই কৃষক চাষীকেও পিটানো শুরু করলো।
অতঃপর তাদের তিনজনকেই কৃষক রশি দিয়ে বেধে রাখলো।"
এবার আসল কথ বলা যাক। সকল স্তরের (পাবলিক, প্রাইভেট এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়) ছাত্র টু ছাত্র, শিক্ষক টু শিক্ষক ও শিক্ষক টু ছাত্রের মধ্যে তৈরি হওয়া সুক্ষ বিভাজন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষকের মাঝে তৈরিকৃত সুক্ষ বিভজনের দৃষ্টি ভঙ্গিকে উক্ত গল্পটির আলোকে বিশ্লেষন করার বোধহয় সময় এসেছে। তাহলেই আমরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্তমানের অস্তিরতা এবং সন্মানিত শিক্ষক ও ছাত্রদের অবমূল্যায়নের কারন স্পষ্ট ভাবে খুজে পেতে পারি।
বি.দ্র : লেখাটি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে লেখা। ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নির্ঝর ১০/১০/২০১৫সমীকরণ জরুরী
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ২৪/০৯/২০১৫বেশ ভালো লিলহেছেন ।
-
নাসিফ আমের চৌধুরী ২১/০৯/২০১৫সুন্দর লেখা ।
-
মেহেদী হাসান (নয়ন) ১২/০৯/২০১৫অনেক ভাল লেখছেন।
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ১১/০৯/২০১৫সুন্দর লেখা। উপমা ও দারুন।
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।