একটি উষ্ণ রাতের গল্প(প্রথম পর্ব)
আকাশে এখনও মেঘের ঘনঘটা,রথের মেলায় মনেরমত খেলনা কিনে না দেওয়ায় বাবার উপর অভিমান করে বিরামহীন ভাবে শিশুর মত কেঁদে চলেছে আজ মেঘ দেবতা।যেদিকে তাকায় শুধু ঘুরঘুটে অন্ধকার,আশেপাশে কোন বাড়ি দেখা যাচ্ছেনা চারিদিকে শুধু ধূঁ ধূঁ প্রান্তর।বাইকটা খারাপ হওয়ার আর সময় পেলনা;শহর থেকে এত দূরে এই অচেনা গ্রামের মধ্যে এখন আমি কোথায় যাব।ভেবে আর কী হবে অদৃষ্টে যেটা লেখাছিল তা খন্ডানোর সাধ্য কারো নেই,অগত্যা বাইকটি ঠেলে নিয়ে যেতে শুরু করলাম সামনের দিকে কোন গঞ্জের সন্ধান পাই কিনা সেই আশায়।কিছুদুর পায়ে হেটে যেতেই দূরে একটি আলো জ্বলতে দেখে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম;যাক এবার মনে হয় একটু জনমানুষের সন্ধান পাব। বিদ্যুতের বেগে সে দিকে দ্রুত পা চালাতে লাগলাম আলোকে লক্ষ করে,অবশেষে তার সন্নিকটে আসতেই দেখলাম একটা প্রকান্ড বাড়ি ঠিক যেন রুপকথার রাজপ্রাসাদ আর চারিদিকে ফাঁকা প্রান্তর কোথাও কোন কাক পক্ষিরও চিহ্ন নেই।বাড়ির সম্মুখে দূর্গকে আড়াল করে রাখার মত একটি গেট যেমন উঁচু তেমনি প্রশস্ত তার চেহারা,প্রথমটা একটু বিব্রত বোধ করছিলাম তারপর একটু চিন্তা করে গেটে ধাক্কা দিতেই সেটি খুলে গেল, মনে হয় আগে থেকে খোলা ছিল।তারপর বাইকটিকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে ঢুকে গেলাম বাড়ির ভিতরে।সোজা দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম, তারপর বেশ কয়েকবার কলিংবেল বাজাতেই ভিতর থেকে একটি লাস্যময়ী সুডৌল চেহারার অল্পবয়সী ললনা এসে দরজা খুলল।বয়স আন্দাজ করাতে আমি আগাগোড়া একটু কাঁচা তবুও
এই তরুণীর বয়স আনুমানিক ১৯-২০ এর বেশি হবে না।তার চেহারায় এত মায়া দেখে মনে হয় এই গ্রামের নাম মায়াপুর হলে ভালো হত,মনে মনে অদৃষ্টকে বাহবা দিলাম এমন একটি মুহূর্ত আমার জীবনে উপহার দেওয়ার জন্য।
মেয়েটি অচেনা মুখ দেখে একটু হতভম্ব হল আর বোধহয় একটু ভয়ও পেল।তারপর জোরে হাক দিল, "মম,দেখোতো কে একজন এসেছে"।তৎক্ষণাৎ একটি উজ্জ্বল গৌড় বর্ণের একটি মহিলা এসে হাজির হল তার পাশে, ইনি কি মায়ার 'মম'। তাকে দেখে তো কোন ভাবেই তার মা বলে মনে হয়না,মায়ার মা হলে অবশ্য একটু বয়স্কা হওয়া উচিত কিন্ত তার চেহারায় কোন বয়সের ছাঁপ দেখা যাচ্ছেনা।তিনি মায়ার থেকে সৌন্দর্যে কোন অংশে কম নয়;দোহারা তার চেহারা একটু খাটো করে কাটা চুল আর সুউচ্চ বক্ষদেশ, তার আর্দ্র চাহনি কিছু সময়ের জন্য আমাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে দিল।ধ্যান ভঙ্গ হল যখন কানের কাছে ভেসে আসল, "কে আপনি"।তারপর নিজেকে সামলে আমার বিপদের কথা তাকে আগাগোড়া জানিয়ে জিঞ্জাসা করলাম,"আশেপাশে কোন গ্যারাজ বা হোটেল আছে?তাহলে আমি সেখানে চলে যেতাম।"আমার প্রশ্নের জবাবে, "হোটেল তো দূরের কথা আপনি আশেপাশে কোন মানুষকে খুঁজে পাবেনা না,আপনাকে অনেক দূর যেতে হবে তারপর মার্কেট পাবেন কিন্ত আপনি যাবেন কীভাবে আপনার তো বাইক খারাপ হয়ে গেছে"।তার এই কথা শুনে আমি গভীর চিন্তায় মগ্ন জয়ে গেলাম ,তারপর নীরবতা ভঙ্গ করে মহিলাটি বলে উঠল,"এই রাতে আর আপনি কোথায় যাবেন,আজকের রাতটা বরং এখানেই কাটিয়ে দিন।আমরা মা ও মেয়ে দুজনে এত বড় বাড়িতে থাকি বেশীরভাগ ঘর ফাঁকা পরে আছে"।
একমূহুর্ত না ভেবে প্রস্তাবটি লুফে নিলাম জন্ডি রোজের মত কারন একেতো এই রাত্রে অচেনা যায়গায় কোথায় যাবো তারপর বর্ষায় ভিজে আমার সমস্ত শরীর ঠাণ্ডায় কাঁপছে।একটু উষ্ণতার প্রয়োজন না হলে আমি অসুখে পরে যাব।
মহিলাটির স্বামী 'নেভিতে' চাকুরি করে তাই বহুদিন অন্তর বাড়ি আসে। এই জনশূন্য এলাকায় নিঃসঙ্গ দুটি প্রাণ সর্বদা অভিভাবক হীনতায় ভোগে।বাইকটুরে এসেছিলাম তাই সাথে কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী আর জামাকাপড় ছিল,ব্যাগ খুলে দেখলাম এখনো জামাকাপড় গুলো ভেজেনি;দ্রুত ভিজে কাপড় বদলে নিয়ে খাটের উপড় শুয়ে পড়লাম। প্রচন্ড ক্লান্তি লাগছে তাই একটু গড়িয়ে নিচ্ছিলাম কখন যে দু চোখের পাতা এক হয়ে গেল টের পেলামনা।দরজার খটখট শব্দ শুনে তন্দ্রা ভেঙে গেল, দেখলাম মহিলাটি হাতে দুটি কাপড় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,আমি বললাম আমার সাথে যে পোশাক ছিল আমি সেটা বদলে নিয়েছি।তারপর তিনি আমাকে ডাইনিং টেবিলে আমন্ত্রণ জানিয়ে চলে গেলেন।প্রচন্ড ঝক্কিঝামেলা আর অবসাদের মাঝে খিদের কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম, তার আমন্ত্রণে পেটের ভিতরটা হু হু করে উঠল।তাই একটু দেরি না করে সোজা গিয়ে টেবিলে বসে পড়লাম,তারপর সম্পূর্ণ আহার শেষ করে ধন্যবাদ জানিয়ে আমার ঘরে চলে এলুম।
এই মনোরম আবহাওয়ায় ঘুমটা বেশ জমবে,তাই দেরি না করে ঘরের আলো নিভিয়ে দিয়ে নিদ্রাসুখ অনুভবের জন্য বিছানায় উঠে বসলাম।তারপর টান টান হয়ে শুয়ে পড়লাম,কিছুক্ষণ পরে দেখি দরজার কাছে একটি ছায়ামূর্তি এসে দাঁড়াল।কে জিঞ্জাসা করাতেই উত্তর পেয়ে বুঝলাম চেনা গলা,আমি 'আসুন' বলে ঘরের আলো জ্বেলে দিলাম।তারপর তিনি কাছে এসে বললেন, "সরি আই ডোন্ট নো,উড ইউ লাইক টু টেক ওয়াইন"?পূজাপার্বণ আর টুকিটাকি অনুষ্ঠান ছাড়া আমি লাল জলের ধারেকাছে যায়না,কিন্ত আজকের দিনটি ভিন্ন।
এই তরুণীর বয়স আনুমানিক ১৯-২০ এর বেশি হবে না।তার চেহারায় এত মায়া দেখে মনে হয় এই গ্রামের নাম মায়াপুর হলে ভালো হত,মনে মনে অদৃষ্টকে বাহবা দিলাম এমন একটি মুহূর্ত আমার জীবনে উপহার দেওয়ার জন্য।
মেয়েটি অচেনা মুখ দেখে একটু হতভম্ব হল আর বোধহয় একটু ভয়ও পেল।তারপর জোরে হাক দিল, "মম,দেখোতো কে একজন এসেছে"।তৎক্ষণাৎ একটি উজ্জ্বল গৌড় বর্ণের একটি মহিলা এসে হাজির হল তার পাশে, ইনি কি মায়ার 'মম'। তাকে দেখে তো কোন ভাবেই তার মা বলে মনে হয়না,মায়ার মা হলে অবশ্য একটু বয়স্কা হওয়া উচিত কিন্ত তার চেহারায় কোন বয়সের ছাঁপ দেখা যাচ্ছেনা।তিনি মায়ার থেকে সৌন্দর্যে কোন অংশে কম নয়;দোহারা তার চেহারা একটু খাটো করে কাটা চুল আর সুউচ্চ বক্ষদেশ, তার আর্দ্র চাহনি কিছু সময়ের জন্য আমাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে দিল।ধ্যান ভঙ্গ হল যখন কানের কাছে ভেসে আসল, "কে আপনি"।তারপর নিজেকে সামলে আমার বিপদের কথা তাকে আগাগোড়া জানিয়ে জিঞ্জাসা করলাম,"আশেপাশে কোন গ্যারাজ বা হোটেল আছে?তাহলে আমি সেখানে চলে যেতাম।"আমার প্রশ্নের জবাবে, "হোটেল তো দূরের কথা আপনি আশেপাশে কোন মানুষকে খুঁজে পাবেনা না,আপনাকে অনেক দূর যেতে হবে তারপর মার্কেট পাবেন কিন্ত আপনি যাবেন কীভাবে আপনার তো বাইক খারাপ হয়ে গেছে"।তার এই কথা শুনে আমি গভীর চিন্তায় মগ্ন জয়ে গেলাম ,তারপর নীরবতা ভঙ্গ করে মহিলাটি বলে উঠল,"এই রাতে আর আপনি কোথায় যাবেন,আজকের রাতটা বরং এখানেই কাটিয়ে দিন।আমরা মা ও মেয়ে দুজনে এত বড় বাড়িতে থাকি বেশীরভাগ ঘর ফাঁকা পরে আছে"।
একমূহুর্ত না ভেবে প্রস্তাবটি লুফে নিলাম জন্ডি রোজের মত কারন একেতো এই রাত্রে অচেনা যায়গায় কোথায় যাবো তারপর বর্ষায় ভিজে আমার সমস্ত শরীর ঠাণ্ডায় কাঁপছে।একটু উষ্ণতার প্রয়োজন না হলে আমি অসুখে পরে যাব।
মহিলাটির স্বামী 'নেভিতে' চাকুরি করে তাই বহুদিন অন্তর বাড়ি আসে। এই জনশূন্য এলাকায় নিঃসঙ্গ দুটি প্রাণ সর্বদা অভিভাবক হীনতায় ভোগে।বাইকটুরে এসেছিলাম তাই সাথে কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী আর জামাকাপড় ছিল,ব্যাগ খুলে দেখলাম এখনো জামাকাপড় গুলো ভেজেনি;দ্রুত ভিজে কাপড় বদলে নিয়ে খাটের উপড় শুয়ে পড়লাম। প্রচন্ড ক্লান্তি লাগছে তাই একটু গড়িয়ে নিচ্ছিলাম কখন যে দু চোখের পাতা এক হয়ে গেল টের পেলামনা।দরজার খটখট শব্দ শুনে তন্দ্রা ভেঙে গেল, দেখলাম মহিলাটি হাতে দুটি কাপড় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,আমি বললাম আমার সাথে যে পোশাক ছিল আমি সেটা বদলে নিয়েছি।তারপর তিনি আমাকে ডাইনিং টেবিলে আমন্ত্রণ জানিয়ে চলে গেলেন।প্রচন্ড ঝক্কিঝামেলা আর অবসাদের মাঝে খিদের কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম, তার আমন্ত্রণে পেটের ভিতরটা হু হু করে উঠল।তাই একটু দেরি না করে সোজা গিয়ে টেবিলে বসে পড়লাম,তারপর সম্পূর্ণ আহার শেষ করে ধন্যবাদ জানিয়ে আমার ঘরে চলে এলুম।
এই মনোরম আবহাওয়ায় ঘুমটা বেশ জমবে,তাই দেরি না করে ঘরের আলো নিভিয়ে দিয়ে নিদ্রাসুখ অনুভবের জন্য বিছানায় উঠে বসলাম।তারপর টান টান হয়ে শুয়ে পড়লাম,কিছুক্ষণ পরে দেখি দরজার কাছে একটি ছায়ামূর্তি এসে দাঁড়াল।কে জিঞ্জাসা করাতেই উত্তর পেয়ে বুঝলাম চেনা গলা,আমি 'আসুন' বলে ঘরের আলো জ্বেলে দিলাম।তারপর তিনি কাছে এসে বললেন, "সরি আই ডোন্ট নো,উড ইউ লাইক টু টেক ওয়াইন"?পূজাপার্বণ আর টুকিটাকি অনুষ্ঠান ছাড়া আমি লাল জলের ধারেকাছে যায়না,কিন্ত আজকের দিনটি ভিন্ন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০২/০৫/২০১৮
-
ন্যান্সি দেওয়ান ২৩/০৪/২০১৮Very Good.
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২৩/০৪/২০১৮খুব ভালো লাগল।
বৃষ্টি, নারী, মদ আর মনের আবেগের সংমিশ্রণে প্রস্তুত
এক অনবদ্য ছোট গল্প।
ধন্যবাদ