স্বপ্ন দেখা পাপ(শেষ পর্ব)
রিমেকে যদিও সে খুব 'মিস' করছে,তবু সে ভাবল একটা ফ্লাট কিনে তারপর তাকে তার কাছে নিয়ে যাবে।একদিন সকালে 'অফিস' যাওয়ার আগে প্রতিদিনের মত আজ ও সে ফোন করলো রিমিকে কিন্ত রিমির ফোন বন্ধ বলছে।সে ভাবল হয়ত তার ফোনে চার্জ নেই,তাই সে আর চেষ্টা করলো না।সে অফিস থেকে সন্ধ্যাবেলা বাড়ি রিমির ফোনে আবার ফোন করলো কিন্ত এবার ও ফোন বন্ধ্য বলছে।সে বাধ্য হয়ে তার বাবার ফোনে ফোন করে রিমির খোঁজ নিল।তার বাবা তাকে কিছু বলল না,তিনি অনিকেতকে পরের দিন সকালে বাড়ি আসতে বলল।অনিকেত তার বাবার এই অদ্ভুত ব্যবহারে অবাক হলো,সে তার বাবাকে জোরাজোরি করা সত্ত্বেও তার বাবা কিছু পরিষ্কার করে বলল না।
সে ভাবল রিমির শরীর খারাপ করল না তো,বাবা এমন অদ্ভুত ব্যবহার করল কেন?এসব ভাবতে ভাবতে সে কোন সমাধান খুঁজে পেল না,তার খুব ভয় হলো।সে পরেরদিন সকালে রওনা দিলো বাড়ির উদ্যেশে। বাড়িতে পৌঁছানোর সাথে সাথে তার মা তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো, "ও আমার বাবারে,আমার ঘরেরলক্ষ্মী আর নেই"।এই কথা শুনে অনিকেত সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে বসে পড়লো,সেও তার মায়ের সুরে কাঁদতে লাগলো।পিছন দিক থেকে তার বাবা তার কাঁধে হাত রেখে "কী করব বল বাবা,আমাদের কিছু করার নেই।তোর কপালে যেটা হওয়ার ছিল,সেটা হয়েছে।এখন আর কেঁদে তো আর তাকে পাওয়া যাবেনা,শান্ত হও বাবা"।তারপর তিনি থেমে আবার বললেন,"আমি মেয়েটাকে ভালো ভেবেছিলাম কিন্তু আমাদের সম্মান এভাবে ডোবাবে ভাবতে পারিনা।"কথাটা শুনে অনিকেত অবাক হয়ে
তার বাবাকে জিঞ্জাসা করলো,"কী বললেন আপনি?রিমি মারা যায়নি? রিমি বেচেঁ আছে? " তার এই কথার জবাবে তার বাবা জানাল,"মারা যাবে কেন?তুই চলে যাওয়ার কিছুদিন পর থেকে বৌমা কে বড্ড আনমনা লাগছিলো, তোর মা কারন জিঞ্জাসা করলেও বৌমা কিছু জানায়নি।আমরা ভাবলাম তোর কথা ভেবে হয়তো মন খারাপ করছে,কিন্ত কাল সকালে তোর মা বৌমার ঘরে গিয়ে দেখল বৌমা ঘরে নেই।তোর মা ভাবল হয়তো বাইরে গিয়েছে,বেশ কিছু সময় অতিবাহিত হল বৌমার কোন টিকি খুঁজে পাওয়া গেলোনা।তারপর আমরা খুঁজতে লাগলাম কিন্ত কোথাও খুঁজে পেলাম না বৌমাকে।" তারপর একটু থেমে তিনি আবার বলতে শুরু করলেন," বৌমা যে হোটেলে থাকত সেই হোটেলের মালিক বাবলু বিকালে এসে জানায় যে বৌমা কিছুদিন আগে তার কাছে নাকি গিয়েছিল।বৌমা বাবলুকে বলে বিদেশের কোন হোটেলে যোগাযোগ করে দিতে,বৌমা বিদেশ যাবে।বৌমার কথামতো বাবলু বৌমাকে যোগাযোগ করে দুবাই এর একটি হোটেলে পাঠিয়ে দেয়"।এই কথাটা শেষ করার পর তাদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষন নীরবতা বজায় থাকল,অনিকেত চুপচাপ নির্বাক অবস্থায় বসে আছে।তার বাবা আবার শুরু করল,"ওইসব মেয়েরা সংসার করার জন্য জন্মায় নি,সংসারের গন্ডিতে ওদের কে বেঁধে রাখা যাবেনা।সংসারের মর্ম ওরা বুঝবেনা,ওরা তো নীড় ছাড়া পাখির মত বাঁচতে চাই"।বাবার কথায় কোন জবাব না দিয়ে অনিকেত উঠে দাঁড়াল,তারপর পথহারা পথিকের ন্যায় পাগলের বেশে বাড়ির বাইরে এসে গ্রামের পথ দিয়ে হাটতে লাগলো।হাটতে হাটতে সে তার এক বাল্য বন্ধুর বাড়ির কাছে চলে আসল,তার বন্ধু তাকে দেখতে পেয়ে তার হাত ধরে তাকে ঘরের মধ্যে নিয়ে গেলো।তারপর তার বন্ধু কোনরকম ভনিতা না করে বলতে লাগলো, "বন্ধু,আমি তোর জন্য কিছু করতে পারলামনা।আমি যখন জানতে পারলাম তখন অনেক দেরী হয়ে গেছে।তোর বাবা একটা 'কালপ্রিট',তোকে রিমির সঙ্গে বিয়ে দিয়েছে রিমর গুনে মুগ্ধ হয়ে নয়,নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য।তোকে একজন পতিতার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে নিজেকে প্রচারের আলোয় নিয়ে এসেছে,এইভাবে লোকসভা নির্বাচন জিতল।অন্যদিকে তোর বাবার বন্ধুর মেয়ের সঙ্গে তোর বিয়ে দিলে একদিকে যেমন নিজের 'স্টাটাস' বজায় থাকবে,অন্যদিকে তোর বাবার একজন ব্যবসার 'পার্টনার' জুটে যাবে।তোর বাবার কাছে রিমির প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে,এখন সে হল তোর বাবার পরিকল্পনার পথে বাঁধা।তাই তাকে যোগাযোগ করে দুবাই এর একটি হোটেলে দেহ ব্যবসা করার জন্য বিক্রি করে দেয় চুপি চুপি।এখন তোর বাবা তোকে তার বন্ধুর মেয়ের
সঙ্গে বিয়ে দিয়ে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করবে"।কথাটা শেষ হতে হতে না হতেই অনিকেত অঞ্জান হয়ে বন্ধুর কোলে পড়ে গেলো।
সে ভাবল রিমির শরীর খারাপ করল না তো,বাবা এমন অদ্ভুত ব্যবহার করল কেন?এসব ভাবতে ভাবতে সে কোন সমাধান খুঁজে পেল না,তার খুব ভয় হলো।সে পরেরদিন সকালে রওনা দিলো বাড়ির উদ্যেশে। বাড়িতে পৌঁছানোর সাথে সাথে তার মা তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো, "ও আমার বাবারে,আমার ঘরেরলক্ষ্মী আর নেই"।এই কথা শুনে অনিকেত সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে বসে পড়লো,সেও তার মায়ের সুরে কাঁদতে লাগলো।পিছন দিক থেকে তার বাবা তার কাঁধে হাত রেখে "কী করব বল বাবা,আমাদের কিছু করার নেই।তোর কপালে যেটা হওয়ার ছিল,সেটা হয়েছে।এখন আর কেঁদে তো আর তাকে পাওয়া যাবেনা,শান্ত হও বাবা"।তারপর তিনি থেমে আবার বললেন,"আমি মেয়েটাকে ভালো ভেবেছিলাম কিন্তু আমাদের সম্মান এভাবে ডোবাবে ভাবতে পারিনা।"কথাটা শুনে অনিকেত অবাক হয়ে
তার বাবাকে জিঞ্জাসা করলো,"কী বললেন আপনি?রিমি মারা যায়নি? রিমি বেচেঁ আছে? " তার এই কথার জবাবে তার বাবা জানাল,"মারা যাবে কেন?তুই চলে যাওয়ার কিছুদিন পর থেকে বৌমা কে বড্ড আনমনা লাগছিলো, তোর মা কারন জিঞ্জাসা করলেও বৌমা কিছু জানায়নি।আমরা ভাবলাম তোর কথা ভেবে হয়তো মন খারাপ করছে,কিন্ত কাল সকালে তোর মা বৌমার ঘরে গিয়ে দেখল বৌমা ঘরে নেই।তোর মা ভাবল হয়তো বাইরে গিয়েছে,বেশ কিছু সময় অতিবাহিত হল বৌমার কোন টিকি খুঁজে পাওয়া গেলোনা।তারপর আমরা খুঁজতে লাগলাম কিন্ত কোথাও খুঁজে পেলাম না বৌমাকে।" তারপর একটু থেমে তিনি আবার বলতে শুরু করলেন," বৌমা যে হোটেলে থাকত সেই হোটেলের মালিক বাবলু বিকালে এসে জানায় যে বৌমা কিছুদিন আগে তার কাছে নাকি গিয়েছিল।বৌমা বাবলুকে বলে বিদেশের কোন হোটেলে যোগাযোগ করে দিতে,বৌমা বিদেশ যাবে।বৌমার কথামতো বাবলু বৌমাকে যোগাযোগ করে দুবাই এর একটি হোটেলে পাঠিয়ে দেয়"।এই কথাটা শেষ করার পর তাদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষন নীরবতা বজায় থাকল,অনিকেত চুপচাপ নির্বাক অবস্থায় বসে আছে।তার বাবা আবার শুরু করল,"ওইসব মেয়েরা সংসার করার জন্য জন্মায় নি,সংসারের গন্ডিতে ওদের কে বেঁধে রাখা যাবেনা।সংসারের মর্ম ওরা বুঝবেনা,ওরা তো নীড় ছাড়া পাখির মত বাঁচতে চাই"।বাবার কথায় কোন জবাব না দিয়ে অনিকেত উঠে দাঁড়াল,তারপর পথহারা পথিকের ন্যায় পাগলের বেশে বাড়ির বাইরে এসে গ্রামের পথ দিয়ে হাটতে লাগলো।হাটতে হাটতে সে তার এক বাল্য বন্ধুর বাড়ির কাছে চলে আসল,তার বন্ধু তাকে দেখতে পেয়ে তার হাত ধরে তাকে ঘরের মধ্যে নিয়ে গেলো।তারপর তার বন্ধু কোনরকম ভনিতা না করে বলতে লাগলো, "বন্ধু,আমি তোর জন্য কিছু করতে পারলামনা।আমি যখন জানতে পারলাম তখন অনেক দেরী হয়ে গেছে।তোর বাবা একটা 'কালপ্রিট',তোকে রিমির সঙ্গে বিয়ে দিয়েছে রিমর গুনে মুগ্ধ হয়ে নয়,নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য।তোকে একজন পতিতার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে নিজেকে প্রচারের আলোয় নিয়ে এসেছে,এইভাবে লোকসভা নির্বাচন জিতল।অন্যদিকে তোর বাবার বন্ধুর মেয়ের সঙ্গে তোর বিয়ে দিলে একদিকে যেমন নিজের 'স্টাটাস' বজায় থাকবে,অন্যদিকে তোর বাবার একজন ব্যবসার 'পার্টনার' জুটে যাবে।তোর বাবার কাছে রিমির প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে,এখন সে হল তোর বাবার পরিকল্পনার পথে বাঁধা।তাই তাকে যোগাযোগ করে দুবাই এর একটি হোটেলে দেহ ব্যবসা করার জন্য বিক্রি করে দেয় চুপি চুপি।এখন তোর বাবা তোকে তার বন্ধুর মেয়ের
সঙ্গে বিয়ে দিয়ে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করবে"।কথাটা শেষ হতে হতে না হতেই অনিকেত অঞ্জান হয়ে বন্ধুর কোলে পড়ে গেলো।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ২৬/১০/২০১৭
-
কামরুজ্জামান সাদ ২৫/১০/২০১৭সরস রচনা
-
সাঁঝের তারা ২৪/১০/২০১৭বেশ
-
নাজিবুল হাসান মোল্লা ২৩/১০/২০১৭ধন্যবাদ
-
আজাদ আলী ২৩/১০/২০১৭Khub Valo laglo
মুগ্ধতা একরাশ,,,
শুভেচ্ছা জানবেন কবি।