বিয়ে ভোজন
'সন্দেশ,রাবড়ি,দই কাতলা আহা খেতে কী মজা!' বলতে বলতে রাণা ও শিমুল রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিল।শানাই এর আওয়াজটা এতক্ষনে শুনতে পেয়ে রাণা হাফ ছাড়লো।তারা দ্রুত পা ফেলে এগোতে লাগলো বিয়ে বাড়ির দিকে। সেখানে পোছে তারা গ্যেটের সামনে ইতস্ততভাবে ঘোরাফেরা করতে লাগলো এবং বিয়েবাড়ির পরিবেশটা বুঝতে চেষ্টা করল।রাণা একটু ভয় পাচ্ছিল কিন্ত শিমুল তাকে টেনে নিয়ে বিয়েবাড়িতে ঢুকে পড়ল।
তারপর তারা ফুচকা,লস্যি,আইসক্রিম প্রভৃতি ষ্টল ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগল।অথিতিতে ভরে গেছে চারিদিকে,সকলে ফুরফুরে মেজাজে ঘোরাঘুরি করছে।
একটু স্বাভাবিক হতেই তারা রসাইঘরের দিকে ঘুরতে গেল।সেখানে রাধুঁনীদের নানা সুস্বাদ খাবার পাঁকাতে দেখে রাণার চোখ ছাণাবড়া হয়ে গেলো । তারা বিনা নেমন্তন্নে অনেক বিয়ে খেয়েছে কিন্তু এতো আড়ম্বর কোনো বিয়েতে দেখেনি।তারা এবার
খাওয়ার প্যান্ডেলের দিকে পা বাড়াতে যাবে; হঠাৎ তারা মৃদু ঝগড়ার আওয়াজ শুনে সেদিকে ছুটে গেল।রীতিমত উত্তেজনায় মেতে উঠেছে বিয়ে বাড়ি।তারা ঝগড়ার কারন অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানতে পারল; বর পক্ষের একজন মেয়ে পক্ষের একজন কে জিজ্ঞাসা করল,' আপনাকে ঠিক চিনলাম না তো, আপনি কোথা থেকে এসেছেন? ' এই কথা শুনেই লোকটি ক্ষেপে গেল, তাই নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যেই গোলযোগ শুরু হয়।রাণা ও শিমুল পরস্পরের দিকে ফিরে হাসল।ঝগড়া আস্তে আস্তে থেমে যাচ্ছিল; হঠাৎ শিমুল ও রাণা মারামারি শুরু করে দিল।রাণা শিমুল কে ধাক্কা দিয়ে বলল,' আমরা কন্যা পক্ষ বলে কি আমাদের সম্মান নেই, মেয়েটাকে তো আমরা ভাসিয়ে দেয়নি,প্রচুর পনের বিনিময়ে এই বিয়ে হচ্ছে। ' সাথে সাথে শিমুল রাণা কে ঘুষি মেরে বলল,'ছেলে পক্ষ হল বাদশাহ, আমরা যদি তোমাদের খেতে না দিই তোমাদের তাই মেনে নিয়ে বাড়ি যেতে হবে।' তাদের এই ইন্ধনে দেখতে দেখতে বিয়ে বাড়িতে দুই পক্ষের মধ্যে রীতিমতো হাতাহাতি,মারামারি শুরু হয়ে গেল।সুযোগ বুঝে রাণা ও শিমুল রসাই ঘরের দিকে রওনা দিল।সেখানে মাছি উড়ছে, রাঁধুনি মারামারি দেখতে ব্যস্ত।এই সুযোগে তারা দুটো থলে নিয়ে তাতে দই,মিষ্টি,মাছ,মাংস ইত্যাদি ভরে নিল।তারপর তারা থলে নিয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ল এবং মনের সুখে গান গাইতে গাইতে হোস্টেলে ফিরে আসল।
তারপর তারা ফুচকা,লস্যি,আইসক্রিম প্রভৃতি ষ্টল ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগল।অথিতিতে ভরে গেছে চারিদিকে,সকলে ফুরফুরে মেজাজে ঘোরাঘুরি করছে।
একটু স্বাভাবিক হতেই তারা রসাইঘরের দিকে ঘুরতে গেল।সেখানে রাধুঁনীদের নানা সুস্বাদ খাবার পাঁকাতে দেখে রাণার চোখ ছাণাবড়া হয়ে গেলো । তারা বিনা নেমন্তন্নে অনেক বিয়ে খেয়েছে কিন্তু এতো আড়ম্বর কোনো বিয়েতে দেখেনি।তারা এবার
খাওয়ার প্যান্ডেলের দিকে পা বাড়াতে যাবে; হঠাৎ তারা মৃদু ঝগড়ার আওয়াজ শুনে সেদিকে ছুটে গেল।রীতিমত উত্তেজনায় মেতে উঠেছে বিয়ে বাড়ি।তারা ঝগড়ার কারন অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানতে পারল; বর পক্ষের একজন মেয়ে পক্ষের একজন কে জিজ্ঞাসা করল,' আপনাকে ঠিক চিনলাম না তো, আপনি কোথা থেকে এসেছেন? ' এই কথা শুনেই লোকটি ক্ষেপে গেল, তাই নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যেই গোলযোগ শুরু হয়।রাণা ও শিমুল পরস্পরের দিকে ফিরে হাসল।ঝগড়া আস্তে আস্তে থেমে যাচ্ছিল; হঠাৎ শিমুল ও রাণা মারামারি শুরু করে দিল।রাণা শিমুল কে ধাক্কা দিয়ে বলল,' আমরা কন্যা পক্ষ বলে কি আমাদের সম্মান নেই, মেয়েটাকে তো আমরা ভাসিয়ে দেয়নি,প্রচুর পনের বিনিময়ে এই বিয়ে হচ্ছে। ' সাথে সাথে শিমুল রাণা কে ঘুষি মেরে বলল,'ছেলে পক্ষ হল বাদশাহ, আমরা যদি তোমাদের খেতে না দিই তোমাদের তাই মেনে নিয়ে বাড়ি যেতে হবে।' তাদের এই ইন্ধনে দেখতে দেখতে বিয়ে বাড়িতে দুই পক্ষের মধ্যে রীতিমতো হাতাহাতি,মারামারি শুরু হয়ে গেল।সুযোগ বুঝে রাণা ও শিমুল রসাই ঘরের দিকে রওনা দিল।সেখানে মাছি উড়ছে, রাঁধুনি মারামারি দেখতে ব্যস্ত।এই সুযোগে তারা দুটো থলে নিয়ে তাতে দই,মিষ্টি,মাছ,মাংস ইত্যাদি ভরে নিল।তারপর তারা থলে নিয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ল এবং মনের সুখে গান গাইতে গাইতে হোস্টেলে ফিরে আসল।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রায়হান আজিজ ১৭/১০/২০১৭অনেক বেশি ভাল লাগলো। প্রত্যাশা ভাল কিছুর। সুন্দর অগ্রযাত্রায় শুভকামনা
-
আজাদ আলী ১৬/১০/২০১৭Khub moja pelam.
-
নাজিবুল হাসান মোল্লা ১৬/১০/২০১৭এটা আমার লেখা জীবনের প্রথম গল্প।কেমন হয়েছে দয়া করে জানাবেন প্রিয় কবি ও লেখক বন্ধুগন।