www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

তুমি অমূল্যহীন

এক দিন একটি বালক তার দাদার কাছে গেলেন। সেখানে গিয়ে দাদার কাছে জানতে চাইলেন দাদা "মূল্যবান" জীবনের মূল্য মানে কি? দাদা অনেক চিন্তা করার পর বালকটি কে অতীতের অনেক পুরোনো একটি পাথর হাতে দিয়ে বললো, এই পাথর টি নিয়ে বাজারে ব্যাপারীদের দেখাও এবং এর মূল্য জিজ্ঞাসা করতে থাকো কিন্তু কখনো যেন পাথরটি বিক্রি না করে। সেই মতো বালকটি পাথরটি নিয়ে বাজারে রওনা হলেন। সর্ব প্রথম বালকটি একটি ডিম ব্যাবসায়ী কাছে গেলেন এবং পাথর টি তাকে দেখিয়ে পাথরটির দাম জিজ্ঞাসা করলেন, ডিম ব্যাবসায়ী পাথর তা দেখে বলেন পাথরটির জন্য তিনি দশ টি ডিম দিতে ইচ্ছুক। ছেলেটি বলেন পাথরটি তিনি বেচবেনা । এর পর তিনি পাথরটা নিয়ে এক দোকানদার এর কাছে গেলেন এবং পাথরটি দেখিয়ে তার দাম জানতে চাইলেন। দোকানদার পাথরটি ভালো করে দেখলেন এবং 1000 টাকা মুল্য দিতে চাইলেন। বালকটি বললেন তিনি পাথরটি বিক্রি করবেন না। এর পর তিনি একটা জুয়েলারি দোকানে গেলেন এবং পাথরটি ব্যাপারীকে দেখিয়ে দাম জিজ্ঞাসা করলেন। ব্যাপারী ভালো করে পাথর টিকে দেখলেন এবং মূল্য সরুপ 1 লক্ষ কাটা দিতে চাইলেন, বালকটি বলেন তিনি ওটা বিক্রয় করবেন না।
এর পর বালকটি পাথরটাকে নিয়ে বিশাল বড় ধনী হীরে ব্যাবসায়ীর কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন এবং তাকে পাথরটি দিয়ে মূল্য জানতে চাইলেন।
হীরে ব্যাবসায়ী প্রথমে পাথরটি একটি সুন্দুর লাল কাপুরের টুকরোর মধ্যে নিয়ে পাথরটিকে একটি কাঁচের স্ট্যান্ডের উপর রেখে চারি পাশদিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকলেন, তার পর কখনো মেঝেতে শুয়ে, কখনো বসে, কখনো দাঁড়িয়ে ভালো ভাবে দেখতে থাকলেন, অনেক্ষন দেখার পর বালকটি পাথরটির দাম জানতে চাইলেন। হীরের ব্যাবসায়ী বিস্ময়ের সহিত বললেন এই পাথর কিনার মতো তার সামর্থ নেই কেননা তার সারা জীবনের উপার্জন দিয়ে দিলেও পাথরটির দাম হবেনা।
পাথরটি অমূল্যহীন যার মূল্য দিয়া যাবে না।
এর পর বালকটি পাথরটি নিয়ে তার দাদার কাছে ফিরে এলেন, সঙ্গে সঙ্গে দাদা জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কি তোমার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছ? বালক টি বিনয়ের সহিত উত্তর দিলেন হ্যা।,-
দাদা বললেন দেখলে একটা পাথরের মূল্য এক এক জনের কাছে এক এক রকমের, কারো কাছে 10 টি ডিমের সমান, কারো কাছে 1000 টাকা, কারো কাছে 1 লক্ষ আবার কারো কাছে অমূল্যহীন, যার দাম দেবার মতো কোনো ক্ষমতা নেই। এ থেকে বোঝা গেল একই জিনিস ব্যাক্তি সাপেক্ষে ও তাদের সামর্থ অনুযায়ী মূল্য ভিন্ন। অর্থাৎ তারা তাদের সামর্থ অনুযায়ী দাম দিয়েছেন। সুতরাং এটা থেকে বোঝা গেল যে মানুষের মূল্যায়ন ব্যাক্তি সাপেক্ষ পৃথক পৃথক।
এর মানে প্রীতিটি মানুষ মূল্যহীন যার মূল্যায়ন করার মতো ক্ষমতা আমাদের নেই, যার যেমন সামর্থ আছে সে তার সামর্থ অনুযায়ী মূল্যায়ণ করবেন। ঠিক সেই পাথরটির মতো।
তাই বলি আপনারা হতাশ হবেন না, যে আপনাকে সঠিক মূল্য দেয়না তার হয়তো আপনাকে মূল্যায়ন করার মতো ক্ষমতা নেই। আসলে আপনিতো অমূল্যহীন.
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৪৫৬ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১১/০৯/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • রুমা চৌধুরী ১১/০৯/২০১৮
    অসাধারণ। মাঝে মাঝে এই জাতীয় গল্প খুব ভাল লাগে। প্রেরণা পাওয়া যায়।
 
Quantcast