আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয় পর্ব (২)
৪.
প্রত্যেক মানুষ ভুল করে।তবে কেউ কি ইচ্ছে করে ভুল করে? হয়তোবা মানুষ ভুল করে না,কোনো একটা মোহএর মাজে পরে যায় ,পরবর্তীতে তার নাম রূপান্তরিত হয় ভুলে।
কয়দিন ধরেই আজিজ সাহেবের মাথায় ভুল জিনিসটা ঘুরপাক খাচ্ছে! তিনি ভুলের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন নাইমাকে।নাইমা চা নিয়ে বসার ঘরে আসতেই আজিজ সাহেব নিমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,’’বলতো ভুল জিনিসটা কি?’’
নাইমা অতি স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বললো,’’যা আমরা চিরো দিন ধরে করে আসছি।‘’
আজিজ সাহেব এমন প্রশ্নের জন্য মোটেও প্রস্থুত ছিলেন না।তিনি রিতি মতো থমকে গেলেন।নাইমা চুপ করে বসে রইলো। আজিজ সাহেব কিছুক্ষন চুপ করে বসে বল্লেন,’’তুমি কি কখনো প্রেমে পরে ছিলে?’’
রিমা তার বাবার দিকে তাকিয়ে আছে।আজ যেনও তিনি বদলে গেছেন।তার বাবাকে তার অচেনা লাগছে।মনে হচ্ছে অবশেষে তিনিও ভাঙতে শুরু করেছেন। কেমন অদ্ভুত কথা বলছেন।
‘’প্রেমে পরিনি বাবা।আমি ভালোবেসে ছিলাম।‘’
‘’ভুলটা হলো একধরণের প্রেমে পরার মতো,ঠীক যেমন করে মানুষ প্রেমে পরে তেমন করেই ভুলের মাজে পরে যায়। ‘’
‘’বাবা তুমি কি কোনো কিছু নিয়ে দুঃখিত?’’
আজিজ সাহেব চুপ করে রইলেন।তার চোখ গুলো কেমন যেনো অন্ধকার হয়ে আসছে,চোখের সামনে ভেসে উঠছে তার ভুল গুলো।যে ভুল গুলো ঘিরে ছিলো নাইমকে।
আজ সত্যি সত্যি মনে হতে লাগলো নাইম আত্বহত্বা করেছে।অদ্ভুত কথা হলে আসলেই নাইম আত্বহত্বা করেছে।আজিজ সাহেব কি কথাটা ভুলেগেছেন?নাকি কখনোই তিনিও বিশ্বাস করতে পারেন নি নাইম আত্বহত্বা করেছে।
রমজান আলি চেয়ারে বসে আছেন।তার হাতে একটি সিগারেট জ্বলছে।টেবিলে পরে আছে নাইমের চিঠি।এই চিঠিটা রমজান আলি প্রায় ৬ বার পড়েছেন।চিঠির লেখা পরে তিনি নিশ্চিত যে এটা নাইমের লেখা।কিন্তু আত্বহত্বাটা তিনি মেনে নিতে পারছেন না,বার বার মনে হচ্ছে নাইম আত্বহত্বা করতে পারে না।তিনি আবারো চিঠিটা হাতে নিয়ে পরতে লাগলেন।এবার বেশ মনোযোগ দিয়েই চিঠিটা পরতে লাগলেন ,
বাবা,
তোমার প্রতি আমার কোনো ঘ্রিণা নেই।আমি তোমাকে প্রচন্ড রকমের ভালোবাসি।আমার ধারণা তুমি প্রচন্ড রকমের জ্ঞানী,তবে তুমি ভীতু প্রকৃতির।তুমি সবসময় নিজেকে কঠিন করে রাখ।অতি চালাকির সাথে তুমি প্রমান করে দিয়েছো’’অর্থের লিঙ্গ ক্ষমতা’’।তুমি সব সময় নিজেকে আবদ্ধ করে রেখেছ অর্থ বিত্তে। অথচ আমি স্বাধিন চিত্তের একজন ব্যক্তি।আমি কখনো আবদ্ধ থাকতে পারি না বরং আমি পাখি হয়ে উরে যেতে চেয়েছি। অবশেষে আমি উরে যাচ্ছি।
‘’পাখি উরে গেছে’’
রমজান আলি আবারো একটা সিগারেট ধরালেন ,তার মাথা কাজ করছে না।ধীরে ধীরে তার ও মনে হতে লাগলো মৃত্যুটা স্বাভাবিক ।
প্রত্যেক মানুষ ভুল করে।তবে কেউ কি ইচ্ছে করে ভুল করে? হয়তোবা মানুষ ভুল করে না,কোনো একটা মোহএর মাজে পরে যায় ,পরবর্তীতে তার নাম রূপান্তরিত হয় ভুলে।
কয়দিন ধরেই আজিজ সাহেবের মাথায় ভুল জিনিসটা ঘুরপাক খাচ্ছে! তিনি ভুলের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন নাইমাকে।নাইমা চা নিয়ে বসার ঘরে আসতেই আজিজ সাহেব নিমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,’’বলতো ভুল জিনিসটা কি?’’
নাইমা অতি স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বললো,’’যা আমরা চিরো দিন ধরে করে আসছি।‘’
আজিজ সাহেব এমন প্রশ্নের জন্য মোটেও প্রস্থুত ছিলেন না।তিনি রিতি মতো থমকে গেলেন।নাইমা চুপ করে বসে রইলো। আজিজ সাহেব কিছুক্ষন চুপ করে বসে বল্লেন,’’তুমি কি কখনো প্রেমে পরে ছিলে?’’
রিমা তার বাবার দিকে তাকিয়ে আছে।আজ যেনও তিনি বদলে গেছেন।তার বাবাকে তার অচেনা লাগছে।মনে হচ্ছে অবশেষে তিনিও ভাঙতে শুরু করেছেন। কেমন অদ্ভুত কথা বলছেন।
‘’প্রেমে পরিনি বাবা।আমি ভালোবেসে ছিলাম।‘’
‘’ভুলটা হলো একধরণের প্রেমে পরার মতো,ঠীক যেমন করে মানুষ প্রেমে পরে তেমন করেই ভুলের মাজে পরে যায়। ‘’
‘’বাবা তুমি কি কোনো কিছু নিয়ে দুঃখিত?’’
আজিজ সাহেব চুপ করে রইলেন।তার চোখ গুলো কেমন যেনো অন্ধকার হয়ে আসছে,চোখের সামনে ভেসে উঠছে তার ভুল গুলো।যে ভুল গুলো ঘিরে ছিলো নাইমকে।
আজ সত্যি সত্যি মনে হতে লাগলো নাইম আত্বহত্বা করেছে।অদ্ভুত কথা হলে আসলেই নাইম আত্বহত্বা করেছে।আজিজ সাহেব কি কথাটা ভুলেগেছেন?নাকি কখনোই তিনিও বিশ্বাস করতে পারেন নি নাইম আত্বহত্বা করেছে।
রমজান আলি চেয়ারে বসে আছেন।তার হাতে একটি সিগারেট জ্বলছে।টেবিলে পরে আছে নাইমের চিঠি।এই চিঠিটা রমজান আলি প্রায় ৬ বার পড়েছেন।চিঠির লেখা পরে তিনি নিশ্চিত যে এটা নাইমের লেখা।কিন্তু আত্বহত্বাটা তিনি মেনে নিতে পারছেন না,বার বার মনে হচ্ছে নাইম আত্বহত্বা করতে পারে না।তিনি আবারো চিঠিটা হাতে নিয়ে পরতে লাগলেন।এবার বেশ মনোযোগ দিয়েই চিঠিটা পরতে লাগলেন ,
বাবা,
তোমার প্রতি আমার কোনো ঘ্রিণা নেই।আমি তোমাকে প্রচন্ড রকমের ভালোবাসি।আমার ধারণা তুমি প্রচন্ড রকমের জ্ঞানী,তবে তুমি ভীতু প্রকৃতির।তুমি সবসময় নিজেকে কঠিন করে রাখ।অতি চালাকির সাথে তুমি প্রমান করে দিয়েছো’’অর্থের লিঙ্গ ক্ষমতা’’।তুমি সব সময় নিজেকে আবদ্ধ করে রেখেছ অর্থ বিত্তে। অথচ আমি স্বাধিন চিত্তের একজন ব্যক্তি।আমি কখনো আবদ্ধ থাকতে পারি না বরং আমি পাখি হয়ে উরে যেতে চেয়েছি। অবশেষে আমি উরে যাচ্ছি।
‘’পাখি উরে গেছে’’
রমজান আলি আবারো একটা সিগারেট ধরালেন ,তার মাথা কাজ করছে না।ধীরে ধীরে তার ও মনে হতে লাগলো মৃত্যুটা স্বাভাবিক ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মনিরুজ্জামান প্রমউখ ২৫/১১/২০২১বেশ
-
ড. সুলতান আশরাফী ২৪/১১/২০২১অসামান্য
-
শ.ম. শহীদ ০৪/১১/২০২১দারুণ লিখেছেন।
-
রিয়াজুল করিম সিকদার ২৯/১০/২০২১বাহ অসাধারণ ভালো লিখেছেন
-
শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ২৯/১০/২০২১ভালো লাগলো লেখাটি
-
ফয়জুল মহী ২৮/১০/২০২১মনোমুগ্ধকর ।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৮/১০/২০২১বেদনাদায়ক।