অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই
মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ কিংবা নাস্তিক আমরা সবাই ভাই ভাই। কারণ সবাই আদম সন্তান। আমরা এক পিতা থেকে হলেও আমাদের ধর্মে ভিন্নতা রয়েছে। সমস্যা নেই, যে যার ধর্ম পালন করুক। রাসুল (স.) -এর যুগেও খ্রিস্টান-ইহুদি ছিল। তবে তাদের কর দিয়ে থাকতে হত, কারণ তারা মুসলিমদের বিপক্ষে থাকত আর যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করত না। যেহেতু আমাদের দেশে ইসলামি আইন নেই। তাই, সবাই সমান অধিকারে বাস করে। আমরা যেহেতু ভাই, সেহেতু আমাদের ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখা উচিত। আমার ভাই যদি আমার বিরুদ্ধে বলে, অবশ্যই আমার খারাপ লাগবে। ঠিক তেমন কোনো মুসলিম যদি হিন্দুর বিরুদ্ধে বলে, হিন্দুদের খারাপ লাগবে। এটা মুসলমানদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাই, আমরা চাই কেউ কারও বিরুদ্ধে না বলি। কারও ধর্মে আঘাত না করি। যে যার ধর্ম পালন করবে। আমরা কেউ কারও ধর্মে হস্তক্ষেপ করব না। যারা নাস্তিক আছেন, তাদেরও উচিত কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে না বলা। কারণ কারও ধর্মে আঘাত করা কিংবা তাদের সম্মাননীয় ব্যক্তিদের আঘাত করা কখনও ফ্রিডম অব স্পীচ হতে পারে না। আমি মনে করি, নাস্তিকদের মূল উদ্দেশ্য দেশকে এগিয়ে নেওয়া। কিন্তু আজকাল তারা এগুলো বাদ দিয়ে শুধু ধর্মের পেছনেই লেগে আছে। ধর্মের বিরুদ্ধে বললে, কারও লাভ হবে না— না দেশের, না দশের।
সুতরাং, যেটাতে উপকার নেই, সেটার পেছনে পড়ে থাকার কোনো মানে হয় না। সাম্প্রতিক দেখছি, কোনো মুসলিম উল্টোপাল্টা কথা বললেই সাথে সাথেই গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু বিধর্মী কেউ কিছু বললে, বলা হয় সে মানসিক রোগী কিংবা তার আইডি হ্যাক্ড। অনলাইনে নাস্তিকদের ছড়াছড়ি। তারা তাদের কাজ করুক, অসুবিধে নেই। কিন্তু ধর্মের বিরুদ্ধে কেন বলবে? এটা কি সাম্প্রদায়িকতা না? তারা কি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর উস্কানি দিচ্ছে না? আমরা যারা ধর্ম পালন করি, আমরা সবাই চাই —তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি আমরা ধার্মিকরা যার যার ধর্ম পালন করব। ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ কথাটিও বয়কট করা হোক। কারণ, আমি (মুসলিম) চাইব না কোনোদিন আমি মূর্তি পূজা করি, আর কোনো বিধর্মী চাইবে না সে রোজা-ইদ পালন করুক। সুতরাং, একে অপরের পালন-টালুন ছাড়ুন, অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ুন।
নাজিম খান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
Email: [email protected]
সুতরাং, যেটাতে উপকার নেই, সেটার পেছনে পড়ে থাকার কোনো মানে হয় না। সাম্প্রতিক দেখছি, কোনো মুসলিম উল্টোপাল্টা কথা বললেই সাথে সাথেই গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু বিধর্মী কেউ কিছু বললে, বলা হয় সে মানসিক রোগী কিংবা তার আইডি হ্যাক্ড। অনলাইনে নাস্তিকদের ছড়াছড়ি। তারা তাদের কাজ করুক, অসুবিধে নেই। কিন্তু ধর্মের বিরুদ্ধে কেন বলবে? এটা কি সাম্প্রদায়িকতা না? তারা কি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর উস্কানি দিচ্ছে না? আমরা যারা ধর্ম পালন করি, আমরা সবাই চাই —তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি আমরা ধার্মিকরা যার যার ধর্ম পালন করব। ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ কথাটিও বয়কট করা হোক। কারণ, আমি (মুসলিম) চাইব না কোনোদিন আমি মূর্তি পূজা করি, আর কোনো বিধর্মী চাইবে না সে রোজা-ইদ পালন করুক। সুতরাং, একে অপরের পালন-টালুন ছাড়ুন, অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ুন।
নাজিম খান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
Email: [email protected]
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আশরাফুল হক মহিন ০১/০২/২০২১অনেক ভালো হয়ছে
-
এম এম মেহেরুল ২৭/০১/২০২১আমরাও চাই
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ২২/০১/২০২১অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ
আমরা চাওয়া বেশ। -
সাইয়িদ রফিকুল হক ২১/০১/২০২১সকলেরই উচিত অসাম্প্রদায়িক হওয়া।
-
ফয়জুল মহী ২১/০১/২০২১Right