পরিস্থিতির কাঁটাতারে ১ (প্রথম অংশ)
সন্ধ্যা থেকেই সারা রাত্রি সেদিন শিলিগুড়ির নেতাজি রোডের ঠাকুর গোপাল ভবন বিয়ে বাড়ি টি রঙ-বেরঙের ফুল , রঙ-বেরঙের প্রজ্বলিত আলো , রঙ-বেরঙের পোশাকধারী মানুষের ভিড়ে এক আনন্দমেলার রূপ ধারন করেছিল। মুর্শিদাবাদ জেলার অখ্যাত গ্রামের মেয়ে পূর্ণিমা কে সরকারী চাকরি সূত্রে শিলিগুড়ি তে বসবাস করতে হয় ।সেখানে অফিসের সহকর্মী রজতের সঙ্গে আজ তার বিয়ে। রজত কুচবিহারের ছেলে। তাদের দুই পরিবারের সহমতে শিলিগুড়ি তে এই বিবাহ অনুষ্ঠান । ২৬ শে জানুয়ারি এক ঐতিহাসিক দিনে এক অপরিহার্য সামাজিক অনুষ্ঠান সত্যিই আনন্দের । আমাদের কন্যাপক্ষ কে মুর্শিদাবাদ থেকে জেতে হয় শিলিগুড়িতে ।কিন্তু এখানকার আবহাওয়া অ শিলিগুড়ির আবহাওয়া অনেক ফারাক । সেখানে শীত অনেক বেশি। এই প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা জয় করতে প্রয়োজন শরীরের থেকে বেশি মনের জোর ,কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ জনেরই সেইটার বড় অভাব।
আমাদের বাঙালি সমাজের বিয়ে বাড়িতে বিবাহ কে কেন্দ্র করে যে গোলযোগ শুরু হয় ,তা হয়তো সে বিয়েতে ছিলনা। আমাদের মধ্যে বিনা গোলযোগে আনন্দ কুড়িয়ে নেবার তাগিদ ছিল। সকাল থেকেই বিভিন্ন লোককে বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত থাকতে দেখা গেছে ,কিন্তু তারা কেও কন্যাপক্ষ নয়;তারা প্রত্যেকেই বেতনধারী ।আমরা অন্য বিয়েতে কাজে হাত লাগিয়ে আনন্দ পায়,এই বিয়েতে অন্যের কাজ দেখে,তাদের কাজের খুঁত ধরে আনন্দ পাওয়ার চেষ্টা করছিলাম।
বরযাত্রী পৌঁছাতেই সমস্ত কৃত্রিমতা এক নিমেষে মুছে গিয়ে বরযাত্রী ও কন্যাযাত্রী দের সরগমে সেখানে আনন্দের ফোয়ারা ছুটছিল। কিন্তু হঠাৎ কনে পক্ষের লোকজনের মুখে দেখা গেল চাপা উদ্বেগ , এখানে-ওখানে ঘরের কোনে তাদের শুকনো মুখের চাপা আলোচনাতেই আপাত্ত ব্যাপারটার বহিঃপ্রকাশ সীমাবদ্ধ । তবে কি পূর্ণিমার আসন্ন বিদায়ের জন্য এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে! আসলে ব্যাপারটা তার চেয়ে ও গুরুতর
। কনের ছোট মামার মেয়ে রেণু কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা ।
গতকাল থেকে দুদিন সারাক্ষণ ,এমনকি বিয়ের সময় পর্যন্ত যে সবাই কে মাতিয়ে রেখেছিল , সেই শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠল সবার কপালে ভাঁজের কারন ! বরযাত্রী দের উপস্থিতি তে ব্যাপারটা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। বরযাত্রীরা যখন নিজেদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ঠাকুর গোপাল ভবন ত্যাগ করে তখনই গুমরে গুমরে জ্বলতে থাকা চাপা উত্তেজনা বিস্ফোরণের আকার নেয়। যারা এই দুদিন রেণুর সঙ্গে বেশি মেশামেশি করেছে তাদের উপর আক্রমণ শুরু হয় ।
বিয়েতে আগত শিশু ,নীল ও ফিরোজ ছাড়া সকল পুরুষ ই বিবাহিত। নীল ও ফিরোজ কে তখন না দেখতে পাওয়ার জন্য সন্দেহের তীর তাদের দিকেই নিক্ষিপ্ত হল । এই অবস্থায় সকলে যখন উৎকণ্ঠার মধ্যে তখন কনের বাবার বান্ধবী অপর্ণা ফোঁস করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন । বাইরে যতই দুঃখ দুঃখ ভাব দেখান ,মনে মনে তিনি আজ একটু স্বস্তি বোধ করছেন ।
----------------চলবা---------------
আমাদের বাঙালি সমাজের বিয়ে বাড়িতে বিবাহ কে কেন্দ্র করে যে গোলযোগ শুরু হয় ,তা হয়তো সে বিয়েতে ছিলনা। আমাদের মধ্যে বিনা গোলযোগে আনন্দ কুড়িয়ে নেবার তাগিদ ছিল। সকাল থেকেই বিভিন্ন লোককে বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত থাকতে দেখা গেছে ,কিন্তু তারা কেও কন্যাপক্ষ নয়;তারা প্রত্যেকেই বেতনধারী ।আমরা অন্য বিয়েতে কাজে হাত লাগিয়ে আনন্দ পায়,এই বিয়েতে অন্যের কাজ দেখে,তাদের কাজের খুঁত ধরে আনন্দ পাওয়ার চেষ্টা করছিলাম।
বরযাত্রী পৌঁছাতেই সমস্ত কৃত্রিমতা এক নিমেষে মুছে গিয়ে বরযাত্রী ও কন্যাযাত্রী দের সরগমে সেখানে আনন্দের ফোয়ারা ছুটছিল। কিন্তু হঠাৎ কনে পক্ষের লোকজনের মুখে দেখা গেল চাপা উদ্বেগ , এখানে-ওখানে ঘরের কোনে তাদের শুকনো মুখের চাপা আলোচনাতেই আপাত্ত ব্যাপারটার বহিঃপ্রকাশ সীমাবদ্ধ । তবে কি পূর্ণিমার আসন্ন বিদায়ের জন্য এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে! আসলে ব্যাপারটা তার চেয়ে ও গুরুতর
। কনের ছোট মামার মেয়ে রেণু কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা ।
গতকাল থেকে দুদিন সারাক্ষণ ,এমনকি বিয়ের সময় পর্যন্ত যে সবাই কে মাতিয়ে রেখেছিল , সেই শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠল সবার কপালে ভাঁজের কারন ! বরযাত্রী দের উপস্থিতি তে ব্যাপারটা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। বরযাত্রীরা যখন নিজেদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ঠাকুর গোপাল ভবন ত্যাগ করে তখনই গুমরে গুমরে জ্বলতে থাকা চাপা উত্তেজনা বিস্ফোরণের আকার নেয়। যারা এই দুদিন রেণুর সঙ্গে বেশি মেশামেশি করেছে তাদের উপর আক্রমণ শুরু হয় ।
বিয়েতে আগত শিশু ,নীল ও ফিরোজ ছাড়া সকল পুরুষ ই বিবাহিত। নীল ও ফিরোজ কে তখন না দেখতে পাওয়ার জন্য সন্দেহের তীর তাদের দিকেই নিক্ষিপ্ত হল । এই অবস্থায় সকলে যখন উৎকণ্ঠার মধ্যে তখন কনের বাবার বান্ধবী অপর্ণা ফোঁস করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন । বাইরে যতই দুঃখ দুঃখ ভাব দেখান ,মনে মনে তিনি আজ একটু স্বস্তি বোধ করছেন ।
----------------চলবা---------------
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রেজাউল রেজা (নীরব কবি) ০৭/০২/২০১৮সুন্দর.!
-
সুদীপ্ত ভট্টাচায্য ০২/০১/২০১৮ভালো লিখেছেন