ভুতুর কবিতা প্রকাশ
ভুতুর সামনে তার হবু শ্বশুর জিজ্ঞাসা করে, 'তুমি কবিতা লিখতে পার?' ভুতু নির্দ্বিধায় সদর্থক উত্তর দেয়। পেঁচিরানি হবু বরের কবিত্বের কথা ঢেঁড়া পিটিয়ে গ্রামে রটিয়ে বেড়ায় । বিয়ের পর স্বামীকে আদর করে বলে-' কোন কোন পত্রিকায় তোমার কবিতা ছেপেছে গো ! কই দেখাও ! একটু পড়ে দেখি তুমি কেমন লেখ।' ভুতু ভীষণ বিপদে পড়ে যায় ,একটি মিথ্যা ঢাকতে আরও মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয় । তার বন্ধুর দৌলতে "পূর্বাভাস" পত্রিকার কথা তার জানা ছিল ।নির্দ্বিধায় বলে বসে -'পূর্বাভাস পত্রিকায় আমার কবিতা প্রায় ছাপে' কিন্তু তার প্রমাণ দেওয়ার ক্ষমতা তার নেই।তার বলা মিথ্যাটিকে সত্যে পরিণত করার প্রাণপণ চেষ্টা করতে লাগল ভুতু। কিন্তু কবিতা লিখবে কি করে? কবিত্ব যে তার আসে না।
তার বাড়ির পাশ দিয়ে যে রাস্তা টি আছে তার লাগোয়া একটি বড় ষাঁড় বাঁধা থাকত ,যে প্রায়শই ভুতুকে মাথা তুলে মারতে যেত । সেদিন হঠাৎ ষাঁড়টিকে প্রসাব করতে দেখে ভুতু বলে ওঠে -
'উর ঘষ্টানি খুর ঘষ্টানি বিন্দু বিন্দু পানি।
তুমি যা করবা তা আমি জানি।
এই ছন্দবন্ধ বাক্য উচ্চারিত হতেই সে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। সেটাকে যত্ন করে লিখে পূর্বাভাস পত্রিকার সম্পাদক কে ছাপার জন্য দেয়।সম্পাদক মনে মনে হেসে কপি টি বাম পকেটে রেখে দেয়,কিন্তু প্রকাশিত হয় না।ভুতু ভাবে কবিতা টি তেমন ভাল হয়নি,তাই কবিতা লেখার পরবর্তী চিন্তা শুরু করে।
রাতে হঠাৎ এক সময় ভয়মিশ্রিত এক ধরনের আওয়াজ শুনে ভুতুর ঘুম ভেঙ্গে যায় । বিভিন্ন ভৌতিক চিন্তা ধারা তার মনে ভয়ের সঞ্চার করায় স্ত্রীকে ঘুম থেকে জাগাতে বাধ্য হয়। আওয়াজ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখে-- একটি ইঁদুর গর্ত থেকে মুখ বের করছে আর গর্তে ঢুকে পড়ছে এবং অনেক ঝুরি ঝুরি মাটি তুলছে । এই দেখে ভুতু হঠাৎ বলে ওঠে--
খুঁড়ুক খুঁড়ুক করে এখন তুলছ তুমি মাটি !
ঘুম থেকে জেগেছি আমি ধরতে তোমার বাকি!
এই বাক্য উচ্চারিত হতেই ,সেটি যত্ন করে লিখে পূর্বাভাস সম্পাদকের বাড়িতে হাজির হয় ভুতু।সম্পাদক আবার ও আগের মত বাম পকেটে রেখে দেয়।
ঘোর রাতে একদিন কয়েকটি চোর সম্পাদকের শোবার ঘর লাগোয়া একটি ঘরে চুরি করতে আসে ,চোররা শাবল দিয়ে ঘরে ঢোকার রাস্তা করতে চেষ্টা করে , এমন সময় ঘুম ভেঙ্গে যায় সম্পাদকের । এই সূক্ষ্ম আওয়াজ টি যে কি তা তার বোধগম্য হয়না ,এই অবস্থায় মনে পড়ে যায় ভুতুর কবিতা, স্ত্রীকে ঘুমাতে দেখে হাসির ছলে একটু জোরেই উচ্চারন করে--
খুঁড়ুক খুঁড়ুক করে এখন তুলছ তুমি মাটি !
ঘুম থেকে জেগেছি আমি ধরতে তোমার বাকি!
চোর ভাবে সম্পাদক দেখে ফেলেছে ,তাই তারা ছুটে এসে সম্পাদকের দরজার সামনে এসে বলে --'আমাদের ক্ষমা করুন,এ ভুল আর আমরা কোনোদিন করব না ,আমাদের প্রায়শ্চিত্ত করার একটা সুযোগ দিন।' সম্পাদক তাদের ক্ষমা করে ঠিকই কিন্তু এই বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়ে তিনি খুবই খুশি, যা তার আশার উর্ধে ছিল।
পরদিন সকাল নটায় সম্পাদক নাপিতের সামনে দাড়ি কাটতে বসেছে । নাপিত ক্ষুর নিয়ে পাথরের মত একটা কিসে জল দিয়ে ক্ষুরটিতে ধার দিচ্ছিল, এমন সময় সম্পাদক হঠাৎ উচ্চারন করে
'উর ঘষ্টানি খুর ঘষ্টানি বিন্দু বিন্দু পানি।
তুমি যা করবা তা আমি জানি।
সঙ্গে সঙ্গে নাপিত সম্পাদকের পায়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে
বলে ,'আমাকে ক্ষমা করবেন স্যার!আমি আপনাকে মারতে চাইনি ,আমি টাকার জন্য এ কাজ করতে বাধ্য হয়েছি !' কিন্তু এবার তিনি ক্ষমা করেন নি, নাপিত কে পুলিশে দিয়েছিলেন।
সম্পাদক মশায় ভুতুর জন্য জীবনে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেলেন।পরের প্রকাশে বাম পকেটে থাকা ভুতুর কবিতা দুটি পূর্বাভাস পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ভুতুর এই কবিতা প্রকাশে আনন্দের সীমা রইল না। স্ত্রীকে বলা মিথ্যা কথার অন্তত একটা সত্য প্রমান সে দেখাতে পারল। অন্যদিকে পাঠকবর্গ সম্পাদকের এরকম কবিতা প্রকাশ দেখে হাসাহাসি করতে থাকে এবং ভাবে সম্পাদক এবার বুড়ো হয়েছে।
তার বাড়ির পাশ দিয়ে যে রাস্তা টি আছে তার লাগোয়া একটি বড় ষাঁড় বাঁধা থাকত ,যে প্রায়শই ভুতুকে মাথা তুলে মারতে যেত । সেদিন হঠাৎ ষাঁড়টিকে প্রসাব করতে দেখে ভুতু বলে ওঠে -
'উর ঘষ্টানি খুর ঘষ্টানি বিন্দু বিন্দু পানি।
তুমি যা করবা তা আমি জানি।
এই ছন্দবন্ধ বাক্য উচ্চারিত হতেই সে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। সেটাকে যত্ন করে লিখে পূর্বাভাস পত্রিকার সম্পাদক কে ছাপার জন্য দেয়।সম্পাদক মনে মনে হেসে কপি টি বাম পকেটে রেখে দেয়,কিন্তু প্রকাশিত হয় না।ভুতু ভাবে কবিতা টি তেমন ভাল হয়নি,তাই কবিতা লেখার পরবর্তী চিন্তা শুরু করে।
রাতে হঠাৎ এক সময় ভয়মিশ্রিত এক ধরনের আওয়াজ শুনে ভুতুর ঘুম ভেঙ্গে যায় । বিভিন্ন ভৌতিক চিন্তা ধারা তার মনে ভয়ের সঞ্চার করায় স্ত্রীকে ঘুম থেকে জাগাতে বাধ্য হয়। আওয়াজ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখে-- একটি ইঁদুর গর্ত থেকে মুখ বের করছে আর গর্তে ঢুকে পড়ছে এবং অনেক ঝুরি ঝুরি মাটি তুলছে । এই দেখে ভুতু হঠাৎ বলে ওঠে--
খুঁড়ুক খুঁড়ুক করে এখন তুলছ তুমি মাটি !
ঘুম থেকে জেগেছি আমি ধরতে তোমার বাকি!
এই বাক্য উচ্চারিত হতেই ,সেটি যত্ন করে লিখে পূর্বাভাস সম্পাদকের বাড়িতে হাজির হয় ভুতু।সম্পাদক আবার ও আগের মত বাম পকেটে রেখে দেয়।
ঘোর রাতে একদিন কয়েকটি চোর সম্পাদকের শোবার ঘর লাগোয়া একটি ঘরে চুরি করতে আসে ,চোররা শাবল দিয়ে ঘরে ঢোকার রাস্তা করতে চেষ্টা করে , এমন সময় ঘুম ভেঙ্গে যায় সম্পাদকের । এই সূক্ষ্ম আওয়াজ টি যে কি তা তার বোধগম্য হয়না ,এই অবস্থায় মনে পড়ে যায় ভুতুর কবিতা, স্ত্রীকে ঘুমাতে দেখে হাসির ছলে একটু জোরেই উচ্চারন করে--
খুঁড়ুক খুঁড়ুক করে এখন তুলছ তুমি মাটি !
ঘুম থেকে জেগেছি আমি ধরতে তোমার বাকি!
চোর ভাবে সম্পাদক দেখে ফেলেছে ,তাই তারা ছুটে এসে সম্পাদকের দরজার সামনে এসে বলে --'আমাদের ক্ষমা করুন,এ ভুল আর আমরা কোনোদিন করব না ,আমাদের প্রায়শ্চিত্ত করার একটা সুযোগ দিন।' সম্পাদক তাদের ক্ষমা করে ঠিকই কিন্তু এই বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়ে তিনি খুবই খুশি, যা তার আশার উর্ধে ছিল।
পরদিন সকাল নটায় সম্পাদক নাপিতের সামনে দাড়ি কাটতে বসেছে । নাপিত ক্ষুর নিয়ে পাথরের মত একটা কিসে জল দিয়ে ক্ষুরটিতে ধার দিচ্ছিল, এমন সময় সম্পাদক হঠাৎ উচ্চারন করে
'উর ঘষ্টানি খুর ঘষ্টানি বিন্দু বিন্দু পানি।
তুমি যা করবা তা আমি জানি।
সঙ্গে সঙ্গে নাপিত সম্পাদকের পায়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে
বলে ,'আমাকে ক্ষমা করবেন স্যার!আমি আপনাকে মারতে চাইনি ,আমি টাকার জন্য এ কাজ করতে বাধ্য হয়েছি !' কিন্তু এবার তিনি ক্ষমা করেন নি, নাপিত কে পুলিশে দিয়েছিলেন।
সম্পাদক মশায় ভুতুর জন্য জীবনে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেলেন।পরের প্রকাশে বাম পকেটে থাকা ভুতুর কবিতা দুটি পূর্বাভাস পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ভুতুর এই কবিতা প্রকাশে আনন্দের সীমা রইল না। স্ত্রীকে বলা মিথ্যা কথার অন্তত একটা সত্য প্রমান সে দেখাতে পারল। অন্যদিকে পাঠকবর্গ সম্পাদকের এরকম কবিতা প্রকাশ দেখে হাসাহাসি করতে থাকে এবং ভাবে সম্পাদক এবার বুড়ো হয়েছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুদীপ্ত ভট্টাচায্য ০২/০১/২০১৮বেশ মজার
-
বিশ্বামিত্র ২৯/১২/২০১৭ভুতুর কবিতা প্রকাশ বেশ লাগল।
-
সাঁঝের তারা ২৮/১২/২০১৭খুব ভালো