ডগলাস ডিসি ১০ এবং কিছু সুখসৃতি
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নিয়ে একটি লেখায় মন্তব্য করেছিলাম, আর তখনি মনে পরে গেল,বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ডগলাস ডিসি-১০ উড়োজাহাজের কিছু সুখসৃতি। আমার বৈদেশিক অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আমরা অধিকাংশ বাংঙালীরা দেশপ্রেমিক কারন বিদেশ ভ্রমনের ক্ষেত্রে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-ই আমাদের প্রথম পছন্দ।যাই হোক দেশপ্রেম আমার লেখার বিষয় নয়,অন্য কোন সময় হয়তো দেশপ্রেম নিয়ে লিখব।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর বহরে ১৯৮৮ সনে ডগলাস ডিসি-১০ যুক্ত হয়, নাম রাখা হয় “নবযুগ”,তখন ডিসি-১০ বানিজ্যিক উড়োজাহাজ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রথম পছন্দ ছিল,অন্তত ১৯৯০ সন পর্যন্ত। আরও একটি কাকতালীয় ঘটনা ডিসি-১০ প্রথম আকাশে উড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বছর ১৯৭১ সনে।উড়োজাহাজ পর্যবেক্ষকদের মতে ১৯৭১ সনে ডিসি-১০ যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে এক নবযুগের সূচনা করেছিল।একক ফ্লাইটে ৩৫০-৪০০ যাত্রী পরিবহন এবং যাত্রীদের আধুনিক সকল সুবিধা নিশ্চিত করা ছিল এক বিরাট চ্যলেন্জ।
যাই হোক যে সুখসৃতির কথা বরব বলে শুরু করেছিলাম তা এখন বলছি, ২০১৪ সনে বিমান এর ডিসি-১০-এ করে বাংলাদেশ আসছি,পাশের সিটে সহযাত্রী হিসেবে পেলাম ৫০ উর্ধ এক বিৃটিশ ভদ্রলোক, আগ বারিয়ে কোন কথা বললাম না ভবলাম উনি কি না কি মনে করবেন।ঘন্টাখনেক পর হঠাৎ লক্ষ্য করলাম লোকটি কাদঁছে, নি:শব্দ কান্না আমি জিজ্ঞেস করলাম তার কোন শারিরিক সমস্যা হচ্ছে কিনা,কাঁদছেন কেন? উত্তরে বললেন ডগলাস ডিসি-১০ নিয়ে তার অনেক সুখসৃতি আছে,তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে ডিসি-১০ এ অনেকবার ভ্রমন করেছেন,তার স্ত্রীর মারা গেছেন বছর খানেক।
তার কাছ থেকেই জানলাম ২০০৭ সনেই সকল বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ডিসি-১০ উড়োজাহাজ পরিচালনা বন্ধ ঘোষনা করে কারন এর জটিল রক্ষনা বেক্ষন পদ্ধতির জন্য।একমাত্র বিমান ডিসি-১০ পরিচালনা করে। আমি গর্বের সাথে বললাম আমাদের দেশের লোকেরাই এর রক্ষনা বেক্ষন করে কোন বৈদেশিক সাহায্যের প্রয়োজন পরেনা।তিনি দু:খ করে বললেন স্ত্রীর প্রতি যে প্রগার ভালবাসা তিনি অনুভব করেন তা তিনি কখনই তার স্ত্রীকে বলতে পারেননি,বা বলবার সুযোগ পাননি,তার আগেই তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেল।তিনি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন তাকে ডিসি-১০ এ ভ্রমন করার সুযোগ দেবার জন্য,এবং তার কিছু সুখসৃতি মনে করিয়ে দেবার জন্য ।
এর কিছুদিন পরই জানলাম ডিসি-১০, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে ২০১৪ সনেই অবসর নিতে যাচ্ছে এবং যা পৃথিবীর শেষ বানিজ্যিক ডগলাস ডিসি-১০ ফ্লাইট হিসেবে স্বিকৃতি পাচ্ছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর বহরে ১৯৮৮ সনে ডগলাস ডিসি-১০ যুক্ত হয়, নাম রাখা হয় “নবযুগ”,তখন ডিসি-১০ বানিজ্যিক উড়োজাহাজ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রথম পছন্দ ছিল,অন্তত ১৯৯০ সন পর্যন্ত। আরও একটি কাকতালীয় ঘটনা ডিসি-১০ প্রথম আকাশে উড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বছর ১৯৭১ সনে।উড়োজাহাজ পর্যবেক্ষকদের মতে ১৯৭১ সনে ডিসি-১০ যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে এক নবযুগের সূচনা করেছিল।একক ফ্লাইটে ৩৫০-৪০০ যাত্রী পরিবহন এবং যাত্রীদের আধুনিক সকল সুবিধা নিশ্চিত করা ছিল এক বিরাট চ্যলেন্জ।
যাই হোক যে সুখসৃতির কথা বরব বলে শুরু করেছিলাম তা এখন বলছি, ২০১৪ সনে বিমান এর ডিসি-১০-এ করে বাংলাদেশ আসছি,পাশের সিটে সহযাত্রী হিসেবে পেলাম ৫০ উর্ধ এক বিৃটিশ ভদ্রলোক, আগ বারিয়ে কোন কথা বললাম না ভবলাম উনি কি না কি মনে করবেন।ঘন্টাখনেক পর হঠাৎ লক্ষ্য করলাম লোকটি কাদঁছে, নি:শব্দ কান্না আমি জিজ্ঞেস করলাম তার কোন শারিরিক সমস্যা হচ্ছে কিনা,কাঁদছেন কেন? উত্তরে বললেন ডগলাস ডিসি-১০ নিয়ে তার অনেক সুখসৃতি আছে,তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে ডিসি-১০ এ অনেকবার ভ্রমন করেছেন,তার স্ত্রীর মারা গেছেন বছর খানেক।
তার কাছ থেকেই জানলাম ২০০৭ সনেই সকল বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ডিসি-১০ উড়োজাহাজ পরিচালনা বন্ধ ঘোষনা করে কারন এর জটিল রক্ষনা বেক্ষন পদ্ধতির জন্য।একমাত্র বিমান ডিসি-১০ পরিচালনা করে। আমি গর্বের সাথে বললাম আমাদের দেশের লোকেরাই এর রক্ষনা বেক্ষন করে কোন বৈদেশিক সাহায্যের প্রয়োজন পরেনা।তিনি দু:খ করে বললেন স্ত্রীর প্রতি যে প্রগার ভালবাসা তিনি অনুভব করেন তা তিনি কখনই তার স্ত্রীকে বলতে পারেননি,বা বলবার সুযোগ পাননি,তার আগেই তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেল।তিনি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন তাকে ডিসি-১০ এ ভ্রমন করার সুযোগ দেবার জন্য,এবং তার কিছু সুখসৃতি মনে করিয়ে দেবার জন্য ।
এর কিছুদিন পরই জানলাম ডিসি-১০, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে ২০১৪ সনেই অবসর নিতে যাচ্ছে এবং যা পৃথিবীর শেষ বানিজ্যিক ডগলাস ডিসি-১০ ফ্লাইট হিসেবে স্বিকৃতি পাচ্ছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ২৩/০২/২০১৭অনেক কিছু জানা হল।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১১/০২/২০১৭দারুণ অভিজ্ঞতা