ছুটি
কত দিন কত নিশি ভেবেছি বসি ছুটি হবে কবে?
পড়ার টেবিল খালি করে ছুটে যাব সবে।
সুদূরের টানে ঘরহারা গানে নতুনের পানে
দে ছুট! উল্লাসে বাঁধনহীন উৎসবে-
ছুটি হবে কবে?
শীত বসন্ত বর্ষা যায় হেমন্ত আকাশ নীল
দিনে দিন জমা হয় পঞ্জিটার পাতা ক্ষীণ।
সাদা মেঘ, কাশফুল গাংচিল পালের তরী
আমাদের ছুটির স্বপ্ন আরো ঘনীভূত করে
ঘুম কেড়ে নেয় চোখে পলক নাহি পরে।
ঘুড়ি উড়িয়ে দিয়ে আমরা নিজেরাই উড়ি
দূরে আরো দূরে আকাশের টানে আকাশে
স্বপ্নে স্বপ্নে হয়ে উঠি সুতোহীন।
এমনি করে কত কাল, কত দিন আহারে!
মাঠ-নদী-দিগন্ত-মেঘ-গোধূলির পাহাড়ে
খুঁজে খুঁজে তাহারে আমরা বেচৈন।
ঘুড়িরাও ভুলে যায় নাটাইর বাঁধন
সাঁঝে আঁধারের ঘর ফেরা পথের চিন।
শুধু এক খেলা, ধ্যান এক সবে
ছুটি কবে? কবে সেই ছুটির দিন?
তারপর আগুনের মেঘ, ধুমকেতু তুফান
ঘুড়ি আর সূতা কাটার তুমুল অভিযান।
আমরাও পাগলের মত সূতা ছেড়ে দেই
হাতের ঘুড়ি সূতার বাঁধন নাটাই ফেলেই
উল্কার মত আকাশে উড়তে থাকে।
ঝড়েরা কত আঘাত করতে পারে তাকে?
আকাশ চেনা ঘুড়িদের নাগাল পাওয়া দায়
সুদূরের মুক্ত বাতাস একবার লাগে যার গায়
তারে কি আর নাটাই সুতায় বন্দী করা যায়?
ঝড় থেমে যায়, উদয়ের সূর্য প্রশান্তি আনে
শকুন ফিরে যায়, গানের পাখিরা এসে নামে
অবশিষ্ট ঘুড়ি, সূতা আর নাটাই নিয়ে
আমরাও গাঁয়ে ফিরে আসি।
ততদিনে ভিটা্র মাটি মায়ের দেহ বোনের শরীর ছাই
বাবার গলিত দেহের কাছে সেই পুরনো পঞ্জিটাই
রক্ত মাখা বোনের কলমটা খুঁজে পাই
বুকে জড়িয়ে কাঁদি তারপর পরম যত্নে তাকাই
দেখি রক্তের আখরে লেখা ১৬ই ডিসেম্বরের ঘরে
‘খোকা আমরা মুক্ত করে গেছি তোমাদেরে
আমাদেরও এখন কেবল ছুটি।‘
পরম ভক্তি ভরে নীচু হয়ে সেই মাটি ছুঁয়ে
মাথা উঁচু করে সোজা হয়ে উঠি
বাংলাদেশ নামের এক স্বাধীন মাতৃ ভূঁয়ে।
এখন শুধু ছুটি, আমাদের ছুটি।
পড়ার টেবিল খালি করে ছুটে যাব সবে।
সুদূরের টানে ঘরহারা গানে নতুনের পানে
দে ছুট! উল্লাসে বাঁধনহীন উৎসবে-
ছুটি হবে কবে?
শীত বসন্ত বর্ষা যায় হেমন্ত আকাশ নীল
দিনে দিন জমা হয় পঞ্জিটার পাতা ক্ষীণ।
সাদা মেঘ, কাশফুল গাংচিল পালের তরী
আমাদের ছুটির স্বপ্ন আরো ঘনীভূত করে
ঘুম কেড়ে নেয় চোখে পলক নাহি পরে।
ঘুড়ি উড়িয়ে দিয়ে আমরা নিজেরাই উড়ি
দূরে আরো দূরে আকাশের টানে আকাশে
স্বপ্নে স্বপ্নে হয়ে উঠি সুতোহীন।
এমনি করে কত কাল, কত দিন আহারে!
মাঠ-নদী-দিগন্ত-মেঘ-গোধূলির পাহাড়ে
খুঁজে খুঁজে তাহারে আমরা বেচৈন।
ঘুড়িরাও ভুলে যায় নাটাইর বাঁধন
সাঁঝে আঁধারের ঘর ফেরা পথের চিন।
শুধু এক খেলা, ধ্যান এক সবে
ছুটি কবে? কবে সেই ছুটির দিন?
তারপর আগুনের মেঘ, ধুমকেতু তুফান
ঘুড়ি আর সূতা কাটার তুমুল অভিযান।
আমরাও পাগলের মত সূতা ছেড়ে দেই
হাতের ঘুড়ি সূতার বাঁধন নাটাই ফেলেই
উল্কার মত আকাশে উড়তে থাকে।
ঝড়েরা কত আঘাত করতে পারে তাকে?
আকাশ চেনা ঘুড়িদের নাগাল পাওয়া দায়
সুদূরের মুক্ত বাতাস একবার লাগে যার গায়
তারে কি আর নাটাই সুতায় বন্দী করা যায়?
ঝড় থেমে যায়, উদয়ের সূর্য প্রশান্তি আনে
শকুন ফিরে যায়, গানের পাখিরা এসে নামে
অবশিষ্ট ঘুড়ি, সূতা আর নাটাই নিয়ে
আমরাও গাঁয়ে ফিরে আসি।
ততদিনে ভিটা্র মাটি মায়ের দেহ বোনের শরীর ছাই
বাবার গলিত দেহের কাছে সেই পুরনো পঞ্জিটাই
রক্ত মাখা বোনের কলমটা খুঁজে পাই
বুকে জড়িয়ে কাঁদি তারপর পরম যত্নে তাকাই
দেখি রক্তের আখরে লেখা ১৬ই ডিসেম্বরের ঘরে
‘খোকা আমরা মুক্ত করে গেছি তোমাদেরে
আমাদেরও এখন কেবল ছুটি।‘
পরম ভক্তি ভরে নীচু হয়ে সেই মাটি ছুঁয়ে
মাথা উঁচু করে সোজা হয়ে উঠি
বাংলাদেশ নামের এক স্বাধীন মাতৃ ভূঁয়ে।
এখন শুধু ছুটি, আমাদের ছুটি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুমাইয়া বরকতউল্লাহ্ ১৭/১২/২০১৩
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ১৬/১২/২০১৩অসম্ভব ভালো লাগলো।
ছুটি নিতে চায় চক্ষু এবং সজাগ থাকা রাত
...