পাতা ঝরা বনে
কতটা প্রহর বয়ে যায়, বুকের বাম অলিন্দে
কষ্টেরা দুমড়ে মুচড়ে নির্ভীক পা ফেলে চলে
নির্বচনীয় ক্লান্তি শ্বাস ফেলে প্রেরণার কথন ভুলে।
রোদেলা আকাশ আর উঠোন জুড়ে একরাশ আলো
এর চেয়ে বেশী কিছু কি চেয়েছিল মন?
অলীক স্বপ্নেরা দল বেঁধে উড়ে গেছে বুনোহাঁস হয়ে
অঙ্গনের নিকানো জলসায় উপেক্ষার ছায়া ফেলে।
হ্যাঁ, অলীক নয়তো কি?
ডুমুরের এ-পাতা ও-পাতায় হাজারো কথার গাঁথূনীতে
ফাগুন দেখবে বলে বাসা বেঁধেছিল দু'টি মনপাখি,
শ্রাবণের আকাশের মেঘে মেঘে বাসনারে মেখেছিল
চিৎকারে চিৎকারে তুফান তুলে বলেছিল--
"চলে যাও আরো দূরে, হে শ্রাবণ, চাই বসন্তের রঙ"
চিৎকার প্রতিধ্বনিত হয়ে আলোয় তুলেছিল আলোড়ন।
প্রতীক্ষার অবসানে একদিন এসেছিল ফাগুনের ক্ষণ
কোকিলের কুহুতান এসেছিল শুধু ক্ষণিকের তরে,
তারপর ভেসে গেছে বাসনার শ্বেত তাজ মহল
বিবর্তিত সময়ের প্রচলিত বৈশাখী ঢলে।
আজ আমার বসন্ত-ফাগুনের বেলা ক্ষয়ে ক্ষয়ে
দীর্ঘশ্বাসের পাদদেশে গড়ে তুলে জমাট বালুচর
বিশুষ্ক অঙ্কুরে ঘা লেগে কেঁপে উঠে থরথর
জোছনারা গা ভেজায় নির্লিপ্ত ধূসরতার অনুরণনে
প্রজাপতির রঙহারা ডানায় ঝলসানো রোদ চমকায়
অপঘাতে, অপমানে অবলীলায়, বিদগ্ধ পাতা ঝরা বনে।।
কষ্টেরা দুমড়ে মুচড়ে নির্ভীক পা ফেলে চলে
নির্বচনীয় ক্লান্তি শ্বাস ফেলে প্রেরণার কথন ভুলে।
রোদেলা আকাশ আর উঠোন জুড়ে একরাশ আলো
এর চেয়ে বেশী কিছু কি চেয়েছিল মন?
অলীক স্বপ্নেরা দল বেঁধে উড়ে গেছে বুনোহাঁস হয়ে
অঙ্গনের নিকানো জলসায় উপেক্ষার ছায়া ফেলে।
হ্যাঁ, অলীক নয়তো কি?
ডুমুরের এ-পাতা ও-পাতায় হাজারো কথার গাঁথূনীতে
ফাগুন দেখবে বলে বাসা বেঁধেছিল দু'টি মনপাখি,
শ্রাবণের আকাশের মেঘে মেঘে বাসনারে মেখেছিল
চিৎকারে চিৎকারে তুফান তুলে বলেছিল--
"চলে যাও আরো দূরে, হে শ্রাবণ, চাই বসন্তের রঙ"
চিৎকার প্রতিধ্বনিত হয়ে আলোয় তুলেছিল আলোড়ন।
প্রতীক্ষার অবসানে একদিন এসেছিল ফাগুনের ক্ষণ
কোকিলের কুহুতান এসেছিল শুধু ক্ষণিকের তরে,
তারপর ভেসে গেছে বাসনার শ্বেত তাজ মহল
বিবর্তিত সময়ের প্রচলিত বৈশাখী ঢলে।
আজ আমার বসন্ত-ফাগুনের বেলা ক্ষয়ে ক্ষয়ে
দীর্ঘশ্বাসের পাদদেশে গড়ে তুলে জমাট বালুচর
বিশুষ্ক অঙ্কুরে ঘা লেগে কেঁপে উঠে থরথর
জোছনারা গা ভেজায় নির্লিপ্ত ধূসরতার অনুরণনে
প্রজাপতির রঙহারা ডানায় ঝলসানো রোদ চমকায়
অপঘাতে, অপমানে অবলীলায়, বিদগ্ধ পাতা ঝরা বনে।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রায়হান রাজিব ০১/১১/২০১৪khub valo aki lekha....thank Kobi
-
মনিরুজ্জামান শুভ্র ০১/১১/২০১৪চমৎকার লিখনি । ভাল লাগলো ।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০১/১১/২০১৪কয়েকবার পড়লাম। ভালোই লাগলো।
-
অনিরুদ্ধ বুলবুল ০১/১১/২০১৪প্রাত্যহিক জীবনে আমরা কেউই হ্রস্ব-ও কার, দীর্ঘ-উ কার, হ্রস্ব-ই কার, দীর্ঘ-ঈ কার এবং 'শ' 'ষ' 'স" 'ন' 'ণ' 'উ' 'ঊ' 'ই' 'ঈ' ইত্যাদির ব্যবহারে উচ্চারণজনিত পার্থক্য আনি না বা আনতে সচেষ্ট হইনা। তাই বানানে এসবের প্রয়োগে সততই বেখেয়াল। কিন্তু গান বা কবিতায় উচ্চারণের শুদ্ধতার খাতিরে যথার্থ প্রয়োগ করতে হয় বলেই কবিতার বানানে আমাদের সীমাবদ্ধতা ফুটে উঠে।
যেকারণে আমি অহরহই ভুল করি। আরো পণ্ডিত ব্যক্তিদেরও করতে দেখি। একটু দেখে নিন তো = নির্ভিক>নির্ভীক, কথণ>কথন, অঙ্গণ>অঙ্গন, গাঁথুনী>গাথুনী, বাসনারে>বাসনা, আলোড়ণ>আলোড়ন, অনূরণে>অনুরণনে।
কবিতার কথা আর কি বলব?
আধুনিকতা ফুটিয়ে তুলতে আমার মতই আঁকুপাঁকু!
"অনেক ভোগিয়ে বেটা শেষে দাঁড়িয়েছে"
ঠিক বলেছি ?