টোনাটুনির সংসার ০৪
বাড়িতে এসেও মনটা জানি কেমন করছে।পাড়া পড়শী সবাই আসছে আমাকে দেখতে।সবাই ভালো মন্দ জিজ্ঞাসা করছে।আমি জেনে বুঝে উত্তর দিচ্ছি।একে একে সবাই চলে গেল।আমি ঘরে শুয়েই আছি।মনটা যেন কেমন খচখচ করছে।শুয়ে শুয়ে ভাবছি,হসপিটালের দিনগুলোর কথা।অসুস্হ রোগীদের চিৎকার চেঁচামেচি,স্বজন হারানোর আহাজারি,সুস্থ্য হয়ে ঘরে ফেরার আকুতিসহ রুমে যারা ছিল সবাইকে খুব মনে পড়ছে।মনে পড়ছিলো সেই বিজলীর কথা।কি ছিল সে চোখের ভাষায়?চোখের ভাষার কোন ব্যকরণ নেই,অভিধান নেই।তাই চাইলেও চোখের ভাষার অর্থ বোঝা মুশকিল।আমার মাথা যেন কেমন ঘুরছে,আর ভাবতে পারছিনা।
ফেসবুক লগইন করতেই দেখি সেই মেয়েটিও মানে বিজলী অনলাইনে।ছয় সাত বছর থেকে ফেসবুক ইউজ করলেও আমার ফ্রেন্ড সংখ্যা ছিলো মাত্র তিনশত থেকে সাড়ে তিনশত।গড়ে অনলাইন এক্টিভিটি থাকতো বিশ থেকে পঁচিশ জনের মত।তাই খুব সহজেই আমি সবার সাথে চ্যাট করতে পারতাম।আমার মনে হত,ফেসবুক ফ্রেন্ডের একটা লিমিট থাকা উচিৎ।যাই হোক,ব্যক্তিগত চাহিদা বা ইচ্ছাটাই সর্বাগ্রে।যা বলছিলাম,একবার ভাবলাম জানতে চাই কেমন আছে?ম্যাসেজ করলাম না।কারণ মেয়েটি ভাবতে পারে আমি হয়তো তাকে ফ্লাট করার চেষ্টা করছি।ম্যাসেজ দিলাম না।কি লিখব বা কিভাবে শুরু করব বুঝতে পারছিলাম না।এভাবেই দুইদিন চলে গেল,শুধু অনলাইন এক্টিভিটি দেখে।
হাসপাতাল থেকে আসার তৃতীয় দিন।শরীরটা বেশ ভালোই লাগছে।দুই সপ্তাহ পর আজ গোসল করেছি।মন মেজাজ দুটোই ফুরফুরে।শারীরিক ভাবে না হলেও মানসিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ্য লাগছে।নাস্তা সেরে ঔষধ খেয়ে বেড় হলাম,একটু বাজার থেকে ঘুরে আসি।অনেকদিন থেকে যাওয়া হয়না।ধোঁয়ার গন্ধযুক্ত সেই লাল চা অনেকদিন যাবৎ খাওয়া হয়না।এই সূযোগে এককাপ চা পান করে আসি।যথারীতি চা পান করতে করতে ফেসবুক লগইন করলাম।দেখি,সেই বিজলী অনলাইনে।বলে রাখি,আমি সেই মেয়েটির নাম জানি,কিন্তু বিজলী বলছি।আসল নামটি না হয় অপ্রকাশিতই থাকুক।অনেক বড় একটা ম্যাসেজ করলাম।সালাম দিয়ে জানতে চাইলাম,আংকেল-আন্টি সহ সবাই কেমন আছে?বিজলী রিপ্লাই দিলো,আংকেল ব্যতীত সবাই ভালো আছে।পরের ম্যাসেজে জানালো,তারা এখন ঢাকায় আছে।বিজলীর বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।শুভ কামনা ছাড়া আমার আর কিছুই করার ছিলোনা।মেয়েটি সিঙ্গেল লাইন ম্যাসেজিং করছে।আমি এরূপ ম্যাসেজিং এ অভ্যস্ত ছিলাম না।এরূপ চ্যাটিং সাধারণত কাপলদের মধ্যে হয়ে থাকে।আবার একটি ম্যাসেজ।একটি ফোন নাম্বার।বিজলীর ফোন নাম্বার।পরে একটি ম্যাসেজ করে আমার নাম্বার চাইলো।আমি ফোন করলাম কিন্তু ফোন তুললো না।নিরুপায় হয়ে আমি আমার নাম্বার ম্যাসেজ করলাম।মিনিট খানেক পর ফোনটা বেজে উঠলো।সেই নাম্বার থেকে।
(চলবে.....)
ফেসবুক লগইন করতেই দেখি সেই মেয়েটিও মানে বিজলী অনলাইনে।ছয় সাত বছর থেকে ফেসবুক ইউজ করলেও আমার ফ্রেন্ড সংখ্যা ছিলো মাত্র তিনশত থেকে সাড়ে তিনশত।গড়ে অনলাইন এক্টিভিটি থাকতো বিশ থেকে পঁচিশ জনের মত।তাই খুব সহজেই আমি সবার সাথে চ্যাট করতে পারতাম।আমার মনে হত,ফেসবুক ফ্রেন্ডের একটা লিমিট থাকা উচিৎ।যাই হোক,ব্যক্তিগত চাহিদা বা ইচ্ছাটাই সর্বাগ্রে।যা বলছিলাম,একবার ভাবলাম জানতে চাই কেমন আছে?ম্যাসেজ করলাম না।কারণ মেয়েটি ভাবতে পারে আমি হয়তো তাকে ফ্লাট করার চেষ্টা করছি।ম্যাসেজ দিলাম না।কি লিখব বা কিভাবে শুরু করব বুঝতে পারছিলাম না।এভাবেই দুইদিন চলে গেল,শুধু অনলাইন এক্টিভিটি দেখে।
হাসপাতাল থেকে আসার তৃতীয় দিন।শরীরটা বেশ ভালোই লাগছে।দুই সপ্তাহ পর আজ গোসল করেছি।মন মেজাজ দুটোই ফুরফুরে।শারীরিক ভাবে না হলেও মানসিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ্য লাগছে।নাস্তা সেরে ঔষধ খেয়ে বেড় হলাম,একটু বাজার থেকে ঘুরে আসি।অনেকদিন থেকে যাওয়া হয়না।ধোঁয়ার গন্ধযুক্ত সেই লাল চা অনেকদিন যাবৎ খাওয়া হয়না।এই সূযোগে এককাপ চা পান করে আসি।যথারীতি চা পান করতে করতে ফেসবুক লগইন করলাম।দেখি,সেই বিজলী অনলাইনে।বলে রাখি,আমি সেই মেয়েটির নাম জানি,কিন্তু বিজলী বলছি।আসল নামটি না হয় অপ্রকাশিতই থাকুক।অনেক বড় একটা ম্যাসেজ করলাম।সালাম দিয়ে জানতে চাইলাম,আংকেল-আন্টি সহ সবাই কেমন আছে?বিজলী রিপ্লাই দিলো,আংকেল ব্যতীত সবাই ভালো আছে।পরের ম্যাসেজে জানালো,তারা এখন ঢাকায় আছে।বিজলীর বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।শুভ কামনা ছাড়া আমার আর কিছুই করার ছিলোনা।মেয়েটি সিঙ্গেল লাইন ম্যাসেজিং করছে।আমি এরূপ ম্যাসেজিং এ অভ্যস্ত ছিলাম না।এরূপ চ্যাটিং সাধারণত কাপলদের মধ্যে হয়ে থাকে।আবার একটি ম্যাসেজ।একটি ফোন নাম্বার।বিজলীর ফোন নাম্বার।পরে একটি ম্যাসেজ করে আমার নাম্বার চাইলো।আমি ফোন করলাম কিন্তু ফোন তুললো না।নিরুপায় হয়ে আমি আমার নাম্বার ম্যাসেজ করলাম।মিনিট খানেক পর ফোনটা বেজে উঠলো।সেই নাম্বার থেকে।
(চলবে.....)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোনালিসা ১১/১২/২০১৬ভাল হয়েছে
-
কামরুজ্জামান টিটু ০৮/১২/২০১৬ভালো লাগলো