www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

বাড়ছে পুরুষ নির্যাতন নতুন চ্যালেঞ্জে দেশ

সম্প্রতি বাংলাদেশে পুরুষ ও শিশু নির্যাতন বেড়ে গেছে। আকাশ সংস্কৃতির কারণে ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের ফলে নারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্বামী অফিস বা ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকায় স্ত্রীগণ পরকীয়া প্রেমসহ নানাভাবে স্বামী ও সন্তানের উপর নির্যাতন শুরু করেছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে যেখানে মা নিজের সন্তানদের হত্যা করেছে।

পরকীয়ায় আসক্ত নারীদের বিরুদ্ধে স্বামী কোন সংশোধন মূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে পারছে না। দেশের নারী ও শিশু নির্যাতন আইন এবং যৌতুক নিরোধ আইনের অপপ্রয়োগের মাধ্যমে তারা উল্টো পুরুষ নির্যাতন করছে। এক ধরনের চিকিৎসক টাকার বিনিময়ে এসব বেপরোয়া নারীদেরকে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদান করছে। যা ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা হচ্ছে পুরুষদের বিরুদ্ধে।

সমাজটা এমনই হয়ে গেছে যে, নারীদের কপট অশ্রু পুলিশ থেকে শুরু করে চিকিৎসক, সাংবাদিক, আইনজীবি, সমাজ সংস্কারক, বুদ্ধিজীবি সবার হৃদয়কে গলিয়ে দিচ্ছ। তাই কোথায় প্রকৃত নারী নির্যাতন ঘটেছে আর কোথায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তা বুঝে উঠা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এক ধরনের পুরুষ আছে (যারা পুরুষ নামের কলঙ্ক) যারা কারও  স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের কথা শুনলে হেসে উঠে। তাদের ধারণা স্বামী তার স্ত্রীকে পর্যাপ্ত সময় দিতে অক্ষম হওয়ার ফলেই স্ত্রী পরকীয়ার আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে। প্রকৃত চিত্র কিন্তু তা নয়। সমাজে বহু পুরুষ আছে যাদের ঘরে সুন্দরী স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও অখাদ্য চেহারার স্ত্রী লোকদের সাথে অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকে। পরকীয়া হচ্ছে একটি মানসিক ব্যধি। যার লক্ষণ হচ্ছে নিজের স্বামী/স্ত্রীর চেয়ে অন্য পুরুষ বা নারীকে বেশী ভাল লাগে।

নারী পুরুষ উভয়েই পরকীয়া করলেও একজন নারী তার স্বামীকে সুধরানোর সুযোগ পায় অথবা স্বামীকে সহজেই ত্যাগ করতে পারে। কিন্ত একজন স্বামী তার চরিত্রহীনা স্ত্রীকে সহজেই ত্যাগ করতে পারে না। কেননা তারা দেশের প্রয়োজনীয় আইনগুলোর সহজ অপব্যবহার করে তার স্বামী, সন্তান ও তাদের পরিবারকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারে এবং দিচ্ছে। এসব আইনে যত মামলা হচ্ছে তার ৯৫% মামলাই হচ্ছে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

এমন পরিস্থিতিতে চরম নির্যাতনের শিকার পুরুষেরা অসহায় অবস্থায় নিপতিত হচ্ছে। জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসার ফলে সমাজে স্ত্রী ও শিশু খুনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই শীঘ্রই নারী ও শিশু নির্যাতন আইন এবং যৌতুক নিরোধ আইনের সংশোধন প্রয়োজন। এজন্য দেশের সমাজ সংস্কারক ও সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ১১৫২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৫/১০/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • পরশ ১৫/১১/২০১৬
    ভাল
  • রাবেয়া মৌসুমী ০৬/১০/২০১৬
    বিষয় টা অযুক্তিক নয়।সংসারে নারী যেমন নারীর শত্রু,সমাজে পুরুষি পুরুষ নির্যাতনের কারন, আমার মনে হয়।
    • প্রবাল ০৬/১০/২০১৬
      এটাও একটা কারন হতে পারে।
      তবে সমস্যাটা হয় তখুনি যখন যৌতুক বিরোধী ও নারী নির্যাতন বিরোধী কোন ভদ্রলোকের ঘরে এমন ঘরণী থাকে যিনি সংসারটাকে নরক বানিয়ে ফেলেন। অথচ তার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাকে বিদায় করতে গিয়ে ঐ ভদ্রলোককেই কাঠগড়ায় উঠতে হয় এবং হাজত খাটতে হয় মিথ্যা যৌতুকের মামলায়। কোন প্রকার যৌতুক না নিয়ে এবং যৌতুকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া একজন মানী ব্যাক্তি যখন একজন বেপরোয়া স্ত্রীলোকের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে যখন হাজত খাটেন তখন তা মেনে নেয়া যায় না।
 
Quantcast