যাদুর ব্যালট বাক্স
১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিরোধীদল বিহীন এক দলীয় নির্বাচন থাকায় সাধারন মানুষের মধ্যে তেমন উৎসাহ ও আগ্রহ ছিল না।সারাদিনের বেশিরভাগ সময়ই ভোট কেন্দ্রগুলো ছিল ফাঁকা!
আমি এবারের নতুন ভোটার।তাই আমার মধ্যেই একটু বাড়তি উৎসাহ - উদ্দীপনা কাজ করছে।ব্যালট বাক্সে প্রথমবারের মত নিজের ব্যালট ফেলব! ভাবতেই ভাল লাগে!
আবার, বিরোধীদল হীন পাতানো নির্বাচনে ভোট দিতেও ইচ্ছা হচ্ছে না! ভোট দিলে কি ই বা হবে? সবইতো আগেই নির্ধারণ করা!
মনের দোদুল্যমান অবস্হায় ঠিক করলাম, ভোট না দেই, তবুও একবার ভোট কেন্দ্র ঘুরে আসি। দেখি কেমন হচ্ছে নির্বাচন? কেমনই বা ভোটার উপস্হিতি?
শীত কাল চলছে, তাই একটু দেরী করেই ভোট কেন্দ্রের সামনে এসে দাড়িয়েছি, দেখি মাঠে কোন লাইন নেই! শুধু শুধু বাঁশ দিয়ে সারি তৈরি করে রেখেছে! অনেকক্ষণ পর পর দু - একজন করে ভোট দিতে কেন্দ্রের ভেতর ঢুকছেন। আমি দাড়িয়ে দাড়িয়ে এসব দেখছি,এমন সময় পাশ থেকে একজন ডেকে ওঠল -
: মাসুদ ভাই কি ভোট দিতে এসেছেন?
-- না, এমন নির্বাচনে ভোট দিয়ে কি হবে? দেখতে আসলাম কেমন উপস্হিতি!
: তাইলে ঠিক আছে,আর যাবার দরকার নেই!!
নয়ত আবার চিৎকার করবেন, আমার ভোট কে দিল? আমার ভোট কই?!!
-- মানে?!! আমার ভোট কি দেয়া হয়ে গেছে???
: না, এখনো হয় নাই। আপনার টা সহ আরো অনেকজনের সিরিয়াল নাম্বার আমার কাছে আছে! আপনার টা ৮২৭!!
-- আমার টা দিয়ে তুমি কি কর? তুমি কি আমার ভোট দিবে নাকি??!!!
: না না! আমি না!! তবে, আপনি ভোট দিতে চাইলে, এখন দেন। কিন্তু, পরে আবার আইসেন না!!
উল্লেখ্য : গাজীপুর -৪ (কাপাসিয়া) আসনে আমাদের "উত্তর খামের দাখিল মাদ্রাসা" কেন্দ্রে ২৩০০+ ভোটারের মধ্যে দুপুর ১ টার দিকেও ভোটার উপস্হিতি ছিল একেবারে নগন্য!
কোন লাইন নেই! ১জন - দুজন করে আসছেন!
তবে তখন সেখানেই প্রাপ্ত, আসল খবর হচ্ছে - ১৫ শতাংশ ভোট কাস্ট না হলেও তারা ৫০ শতাংশের অধিক ভোট কাস্ট দেখানোর মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
২৩০০+ এর মধ্যে ১২০০+ ভোট কাস্টের খবর সন্ধ্যায় ঘোষিত হবে বলে জানা গেল!
যেহেতু, ভোট দিবই না বলে ঠিক করেছিলাম, তাই আমি ভোট এখন দিব কিনা এমন জিজ্ঞাসার প্রতি উত্তরে বললাম, এমন নির্বাচনে ভোটই দিব না, বলেই বাসায় চলে এলাম! এসে টিভিতে নির্বাচনের খবর দেখছি।
তবুও, বিকেল ৩টার দিকে আবার ভোট কেন্দ্রে গেলাম! সরাসরি পোলিং এজেন্টের এখানে গিয়ে অনুমতি নিয়ে একটা পুরুষ ভোটার লিস্টের পাতা উল্টাতে থাকলাম। আমার নামটি এ লিস্টে নেই! আরেকটা দেখতে হবে।
এমন সময় ভোট দিতে নতুন একজন এলে পোলিং এজেন্টকে বলতে শুনি, "এখন আসছেন কেন? এখন আর ভোট দেয়ার দরকার নাই! বাড়ী চলে যান!
একটু আগে আপনার মত একজনকে না করার পরও জোর করে ভিতরে গিয়ে দেখে ভোট দেয়া হয়ে গেছে! তাই, আপনাকেও বলি বাড়িই চলে যান! এখানে, টীক চিন্হ দেয়া আছে, চিন্তা করবেন না!! "
কয়েকজন ভোট নিজে না দিয়েও দেয়া হয়ে গেছে শুনে চিল্লা - চিল্লি করছেন! আমার চিল্লা - চিল্লি করতে ভাল লাগেনা। তাই, এসব দেখে আমার আর বাকী ভোটার লিস্টের পাতা চেক করার ইচ্ছা হল না!
ভোট কেন্দ্রের সামনের রাস্তায় ফলাফল ঘোষনা শোনার জন্য অপেক্ষা করছি অনেকক্ষণ যাবৎ,যদিও আমি আগেই শুনেছিলাম কি হতে পারে!
আশেপাশে বেশ কিছু উৎসুক জনতার ভীড়! তারাও ফলাফল শুনতে অধীর অপেক্ষা করছেন।
"২০০ ভোট গুনতে এতক্ষন লাগে?"
এক উৎসুক জনতার প্রশ্ন!
মনে মনে বলি, "২০০ কে ১২০০ বানাইতে লাগে!"
প্রকৃতপক্ষে বানানো হল ১২৫০!!
জাপা - ৫৩,বিএনএফ- ১৩,
আওয়ামী লীগ - ১১৮৪!!!
সত্যিই এটি যাদুর ব্যালট বাক্স!!
আমি এবারের নতুন ভোটার।তাই আমার মধ্যেই একটু বাড়তি উৎসাহ - উদ্দীপনা কাজ করছে।ব্যালট বাক্সে প্রথমবারের মত নিজের ব্যালট ফেলব! ভাবতেই ভাল লাগে!
আবার, বিরোধীদল হীন পাতানো নির্বাচনে ভোট দিতেও ইচ্ছা হচ্ছে না! ভোট দিলে কি ই বা হবে? সবইতো আগেই নির্ধারণ করা!
মনের দোদুল্যমান অবস্হায় ঠিক করলাম, ভোট না দেই, তবুও একবার ভোট কেন্দ্র ঘুরে আসি। দেখি কেমন হচ্ছে নির্বাচন? কেমনই বা ভোটার উপস্হিতি?
শীত কাল চলছে, তাই একটু দেরী করেই ভোট কেন্দ্রের সামনে এসে দাড়িয়েছি, দেখি মাঠে কোন লাইন নেই! শুধু শুধু বাঁশ দিয়ে সারি তৈরি করে রেখেছে! অনেকক্ষণ পর পর দু - একজন করে ভোট দিতে কেন্দ্রের ভেতর ঢুকছেন। আমি দাড়িয়ে দাড়িয়ে এসব দেখছি,এমন সময় পাশ থেকে একজন ডেকে ওঠল -
: মাসুদ ভাই কি ভোট দিতে এসেছেন?
-- না, এমন নির্বাচনে ভোট দিয়ে কি হবে? দেখতে আসলাম কেমন উপস্হিতি!
: তাইলে ঠিক আছে,আর যাবার দরকার নেই!!
নয়ত আবার চিৎকার করবেন, আমার ভোট কে দিল? আমার ভোট কই?!!
-- মানে?!! আমার ভোট কি দেয়া হয়ে গেছে???
: না, এখনো হয় নাই। আপনার টা সহ আরো অনেকজনের সিরিয়াল নাম্বার আমার কাছে আছে! আপনার টা ৮২৭!!
-- আমার টা দিয়ে তুমি কি কর? তুমি কি আমার ভোট দিবে নাকি??!!!
: না না! আমি না!! তবে, আপনি ভোট দিতে চাইলে, এখন দেন। কিন্তু, পরে আবার আইসেন না!!
উল্লেখ্য : গাজীপুর -৪ (কাপাসিয়া) আসনে আমাদের "উত্তর খামের দাখিল মাদ্রাসা" কেন্দ্রে ২৩০০+ ভোটারের মধ্যে দুপুর ১ টার দিকেও ভোটার উপস্হিতি ছিল একেবারে নগন্য!
কোন লাইন নেই! ১জন - দুজন করে আসছেন!
তবে তখন সেখানেই প্রাপ্ত, আসল খবর হচ্ছে - ১৫ শতাংশ ভোট কাস্ট না হলেও তারা ৫০ শতাংশের অধিক ভোট কাস্ট দেখানোর মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
২৩০০+ এর মধ্যে ১২০০+ ভোট কাস্টের খবর সন্ধ্যায় ঘোষিত হবে বলে জানা গেল!
যেহেতু, ভোট দিবই না বলে ঠিক করেছিলাম, তাই আমি ভোট এখন দিব কিনা এমন জিজ্ঞাসার প্রতি উত্তরে বললাম, এমন নির্বাচনে ভোটই দিব না, বলেই বাসায় চলে এলাম! এসে টিভিতে নির্বাচনের খবর দেখছি।
তবুও, বিকেল ৩টার দিকে আবার ভোট কেন্দ্রে গেলাম! সরাসরি পোলিং এজেন্টের এখানে গিয়ে অনুমতি নিয়ে একটা পুরুষ ভোটার লিস্টের পাতা উল্টাতে থাকলাম। আমার নামটি এ লিস্টে নেই! আরেকটা দেখতে হবে।
এমন সময় ভোট দিতে নতুন একজন এলে পোলিং এজেন্টকে বলতে শুনি, "এখন আসছেন কেন? এখন আর ভোট দেয়ার দরকার নাই! বাড়ী চলে যান!
একটু আগে আপনার মত একজনকে না করার পরও জোর করে ভিতরে গিয়ে দেখে ভোট দেয়া হয়ে গেছে! তাই, আপনাকেও বলি বাড়িই চলে যান! এখানে, টীক চিন্হ দেয়া আছে, চিন্তা করবেন না!! "
কয়েকজন ভোট নিজে না দিয়েও দেয়া হয়ে গেছে শুনে চিল্লা - চিল্লি করছেন! আমার চিল্লা - চিল্লি করতে ভাল লাগেনা। তাই, এসব দেখে আমার আর বাকী ভোটার লিস্টের পাতা চেক করার ইচ্ছা হল না!
ভোট কেন্দ্রের সামনের রাস্তায় ফলাফল ঘোষনা শোনার জন্য অপেক্ষা করছি অনেকক্ষণ যাবৎ,যদিও আমি আগেই শুনেছিলাম কি হতে পারে!
আশেপাশে বেশ কিছু উৎসুক জনতার ভীড়! তারাও ফলাফল শুনতে অধীর অপেক্ষা করছেন।
"২০০ ভোট গুনতে এতক্ষন লাগে?"
এক উৎসুক জনতার প্রশ্ন!
মনে মনে বলি, "২০০ কে ১২০০ বানাইতে লাগে!"
প্রকৃতপক্ষে বানানো হল ১২৫০!!
জাপা - ৫৩,বিএনএফ- ১৩,
আওয়ামী লীগ - ১১৮৪!!!
সত্যিই এটি যাদুর ব্যালট বাক্স!!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
প্রবাসী পাঠক ০৭/০১/২০১৪
-
אולי כולנו טועים ০৭/০১/২০১৪hirok rajar desh
-
আরাফাত মুন্না ০৭/০১/২০১৪দারুণ লিখেছেন।
কিন্তু আমরা সাধারণ জনগণ বুঝতে পারছি না আমরা কোন জনগণ, প্রধানমন্ত্রীর জনগণ নাকি বিরোধী দলের জনগণ ।