মেয়েটি
মেয়েটা তখনো একটানা কথা বলেই যাচ্ছে।
আমি যা ভেবেছিলাম এ মেয়ে তার থেকেও
সাংঘাতিক।।।কিন্তু,মেয়েটা কথা বলার
ফাঁকে ফাঁকে বার বার বলছে- চান মিয়া০,,টি.ভি ছাড়ুম!!
আমার নাম চান মিয়া নয়।এ ধরনের মেয়েরা অন্যদের আদর করে এ সকল নামে ডাকে।এই মেয়ে হয়ত আমার আসার আগে যে এসেছিল তাকেও এভাবে ডেকেছিল,আমাকেও ডাকছে,,আবার আমার পরে যে আসবে তাকেও ডাকবে।।
ছোট্ট একটা কামড়া।শুধু ছোট বললে ভুল
হবে,অনেক ছোট।
তাই জিনিসপত্রে টইটই মনে হচ্ছে।
কোনো মতে একটা চৌকী,আর তার
পাশে একটা টি.ভি আছে।চৌকির এক কিনারায়
একটা গ্লাস ও এক জগ পানি।সমগ্র দেয়ালের বিভিন্ন জায়গায় বাংলা ও হিন্দি সিনেমার নাইকাদের অর্ধনগ্ন পোস্টার।
এতক্ষণে হয়ত আপনারা বুঝতে পেরেছেন,আমি
যেখান থেকে কথা বলছি সেটা রংগিলাদের জন্য স্বর্গ হলেও ভদ্রসমাজের কাছে .....।হ্যাঁ। আমি পতিতালয় থেকে কথা বলছি।আসলে এ ধরনের নারীরা সমাজ বর্জীত কিনা! আবার অনেক সময় এদের ছারা আসর জমে না।কিন্তু,,প্রতিটা অসুন্দরের পিছনে একটা কারন থাকে। হয়ত এদেরও আছে।আর তাই জানতে আমার এখানে আসা।
সব ব্যবস্থা যখন শেষ,তখন কচি মুখের মাঝে
কৃত্তিম দুষ্টু হাসি নিয়ে এক মেয়ে আসলো। আজ
রাতে আমি নাকি তার নাগোর!! রুমে ঢুকার
সাথে সাথে মেয়েটা দরজা লাগিয়ে দিল।ভ্রু জোড়া কিছুটা কুচকিয়ে বলল-
-ভিডিও করলে ৬০০/= আর নরমাল ৫০০/=।
-মানে!!!(কিছুটা হকচকিয়ে গেলাম আমি!!)
-চানমিয়া,,এইহানে আইছ আর কিছু বুঝো না!!হি হি হি!!
(হঠাৎ ধরি পা ভঙ্গিতে) একটা গল্ডিপ
ধরাইলে প্রপ্লেম হইবো!!
-না। ধরাও। শোন!! তুমি যা ভাবছো আমি সেরকম
কেউ নই। আমি আসলে কিছু কথা জনতে এসেছিলাম।।
মেয়েটা কিছুটা মুখ বিকৃত করে বলল-"সব নাগরই
পরথম পরথম এমুন কয়। এক সময় মুখের লালা আটকাইলেও মনেরটা গাল গড়ায় পরে।"
-না মানে...
-টি.ভি ছারুম?? ভাল জিনিস আছে!!
-না দরকার নাই।এ টাকা টা ধর,,আর
আমি যা বলি উত্তর দাও।
মেয়েটা "পাই চাঁদ" ভংগিতে বলল-"কন,,কি জানবেন??"
-তোমার নাম কি?
-সিলিপে দেখেন নাই!!
-আসল্টা বল?
-শানু।
-আচ্ছা,,কোন মানুষ বিনাকারনে এইরকম জায়গায় আসে না, জানি, সবারই কারণ থাকে। তা তোমার কারণ টা বলোতো একটু শুনি!!
-থাক না!! ওগুলা হুইন্না খারাপ লাগবো।তার থাইকা টি.ভি দেখেন।
অনেক অনুনয় করারপর মেয়েটা বলা শুরু করলো।
মেয়েটি থাকতো একটা গ্রামে।মা-হীনা এই
মেয়েটির যখন ৯বছর বয়স, তখন তার বাবা বিয়ে করে।সৎ মায়ের অসৎ আচরনে অতিষ্ঠ সে। শুধু তাই নয়,,তার সৎ মামারাও মাঝে মাঝে পাশবিকতা চালাতো মেয়েটার উপর।এক পর্যায়ে চক্ষুলজ্জা খেয়ে বাবার কাছে বলল সে। বাবা তাকে নষ্টা মেয়েছেলে বলে তাড়িয়ে দেয়। এতটুকু
বলেই গলাটা ধরে এলো মেয়েটার।তার মুখে একটু আগের সেই দুষ্টু হাসি এখন আর নেই।বড়ং সকল অপবিত্রতার মাঝে বড্ড পবিত্র লাগছে মেয়েটিকে।চোখে কাজল দেয়ায় মনে হচ্ছে " পূর্নিমার অশ্রুশ্রাবন" দেখছি। সে অশ্রুতে কোন পাপ নেই।কেবল ভাগ্যের পরিনতি ও ঘৃণার মিশ্রণ।।
--{মৃন্ময় }
আমি যা ভেবেছিলাম এ মেয়ে তার থেকেও
সাংঘাতিক।।।কিন্তু,মেয়েটা কথা বলার
ফাঁকে ফাঁকে বার বার বলছে- চান মিয়া০,,টি.ভি ছাড়ুম!!
আমার নাম চান মিয়া নয়।এ ধরনের মেয়েরা অন্যদের আদর করে এ সকল নামে ডাকে।এই মেয়ে হয়ত আমার আসার আগে যে এসেছিল তাকেও এভাবে ডেকেছিল,আমাকেও ডাকছে,,আবার আমার পরে যে আসবে তাকেও ডাকবে।।
ছোট্ট একটা কামড়া।শুধু ছোট বললে ভুল
হবে,অনেক ছোট।
তাই জিনিসপত্রে টইটই মনে হচ্ছে।
কোনো মতে একটা চৌকী,আর তার
পাশে একটা টি.ভি আছে।চৌকির এক কিনারায়
একটা গ্লাস ও এক জগ পানি।সমগ্র দেয়ালের বিভিন্ন জায়গায় বাংলা ও হিন্দি সিনেমার নাইকাদের অর্ধনগ্ন পোস্টার।
এতক্ষণে হয়ত আপনারা বুঝতে পেরেছেন,আমি
যেখান থেকে কথা বলছি সেটা রংগিলাদের জন্য স্বর্গ হলেও ভদ্রসমাজের কাছে .....।হ্যাঁ। আমি পতিতালয় থেকে কথা বলছি।আসলে এ ধরনের নারীরা সমাজ বর্জীত কিনা! আবার অনেক সময় এদের ছারা আসর জমে না।কিন্তু,,প্রতিটা অসুন্দরের পিছনে একটা কারন থাকে। হয়ত এদেরও আছে।আর তাই জানতে আমার এখানে আসা।
সব ব্যবস্থা যখন শেষ,তখন কচি মুখের মাঝে
কৃত্তিম দুষ্টু হাসি নিয়ে এক মেয়ে আসলো। আজ
রাতে আমি নাকি তার নাগোর!! রুমে ঢুকার
সাথে সাথে মেয়েটা দরজা লাগিয়ে দিল।ভ্রু জোড়া কিছুটা কুচকিয়ে বলল-
-ভিডিও করলে ৬০০/= আর নরমাল ৫০০/=।
-মানে!!!(কিছুটা হকচকিয়ে গেলাম আমি!!)
-চানমিয়া,,এইহানে আইছ আর কিছু বুঝো না!!হি হি হি!!
(হঠাৎ ধরি পা ভঙ্গিতে) একটা গল্ডিপ
ধরাইলে প্রপ্লেম হইবো!!
-না। ধরাও। শোন!! তুমি যা ভাবছো আমি সেরকম
কেউ নই। আমি আসলে কিছু কথা জনতে এসেছিলাম।।
মেয়েটা কিছুটা মুখ বিকৃত করে বলল-"সব নাগরই
পরথম পরথম এমুন কয়। এক সময় মুখের লালা আটকাইলেও মনেরটা গাল গড়ায় পরে।"
-না মানে...
-টি.ভি ছারুম?? ভাল জিনিস আছে!!
-না দরকার নাই।এ টাকা টা ধর,,আর
আমি যা বলি উত্তর দাও।
মেয়েটা "পাই চাঁদ" ভংগিতে বলল-"কন,,কি জানবেন??"
-তোমার নাম কি?
-সিলিপে দেখেন নাই!!
-আসল্টা বল?
-শানু।
-আচ্ছা,,কোন মানুষ বিনাকারনে এইরকম জায়গায় আসে না, জানি, সবারই কারণ থাকে। তা তোমার কারণ টা বলোতো একটু শুনি!!
-থাক না!! ওগুলা হুইন্না খারাপ লাগবো।তার থাইকা টি.ভি দেখেন।
অনেক অনুনয় করারপর মেয়েটা বলা শুরু করলো।
মেয়েটি থাকতো একটা গ্রামে।মা-হীনা এই
মেয়েটির যখন ৯বছর বয়স, তখন তার বাবা বিয়ে করে।সৎ মায়ের অসৎ আচরনে অতিষ্ঠ সে। শুধু তাই নয়,,তার সৎ মামারাও মাঝে মাঝে পাশবিকতা চালাতো মেয়েটার উপর।এক পর্যায়ে চক্ষুলজ্জা খেয়ে বাবার কাছে বলল সে। বাবা তাকে নষ্টা মেয়েছেলে বলে তাড়িয়ে দেয়। এতটুকু
বলেই গলাটা ধরে এলো মেয়েটার।তার মুখে একটু আগের সেই দুষ্টু হাসি এখন আর নেই।বড়ং সকল অপবিত্রতার মাঝে বড্ড পবিত্র লাগছে মেয়েটিকে।চোখে কাজল দেয়ায় মনে হচ্ছে " পূর্নিমার অশ্রুশ্রাবন" দেখছি। সে অশ্রুতে কোন পাপ নেই।কেবল ভাগ্যের পরিনতি ও ঘৃণার মিশ্রণ।।
--{মৃন্ময় }
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুব্রত সামন্ত (বুবাই) ০৬/০৬/২০১৬সুন্দর
-
মোবারক হোসেন ৩০/১০/২০১৫সত্যি অসাধারন !আমি লেখাটার কথা বলছি না।বলছি
লেখকের মন মানসিকতার কথা। সবাই শুধু খ্যাতি চায়
যারা অখ্যাতিতে পড়ে আছে তাদের কথা ভাবে না।
ধন্যবাদ লেখককে। -
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ২৮/১০/২০১৫অনেক কিছুর সম্ভাবনা থেকেও যেন শেষ হয়ে গেল ।
-
দেবব্রত সান্যাল ২৬/১০/২০১৫আবার বলি আপনার লেখার হাত ভালো। বানান দেখে নিন। খুব জরুরী। ভালো গল্প খুঁজুন। গল্পতে বিশেষত্ব নেই।