বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের অম্লান স্মৃতি আর আবেদন আমাদের চেতনারই চিরায়ত অনুভূতি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কবির স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম বিচুতিয়া বেপারিবাড়িতে গড়ে ওঠেছে 'নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র'। প্রায় একশো দশ বছর আগে বিদ্রোহী কবি এই বেপারিবাড়ির একটি ঘরে জায়গির (Lodging) থেকে দরিরামপুর হাইস্কুলে পড়াশোনা করতেন। কাজী নজরুল ইসলামকে ময়মনসিংহের ত্রিশালে নিয়ে আসা পুলিশের দারোগা রফিজউল্লাহর বাড়ি ছিল এখান থেকে কিছুটা দূরে, কাজীর শিমলায়। সেখানেও আরেকটি স্মৃতিকেন্দ্র আছে। ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও এসব স্থানে তেমন লোকসমাগম কিংবা আগ্রহী শিক্ষার্থী- গবেষক খুব বেশি চোখে পড়ে না।
নজরুল ত্রিশালে যতদিন ছিলেন ততদিন স্কুল পালিয়েছেন, গানের আসরে গিয়েছেন, কৃষকসহ প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের সাথে মিশেছেন, গল্প শুনেছেন, গল্প করেছেন, বটতলায় বসে বাঁশি বাজিয়েছেন কখনো কিংবা কখনো হারমোনিয়ামে সুর তুলেছেন। যাত্রাপালা দেখেছেন, কবির লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন। জনশ্রুতি অনুযায়ী শেষমেশ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে ত্রিশাল ছেড়েছেন।
কিন্তু, অনুরাগী আর প্রেমিকের তো আজও তাঁর ফেরার আশায় পথ চেয়ে থাকতে ইচ্ছে হয় সেই বটতলায়, বেপারিবাড়িতে, দরিরামপুরে কিংবা কাজীর শিমলায়। কেননা প্রেমিকও তাঁর সুরেই তাঁরে বলে-
'পলাশ ফুলের গেলাস ভরি’
পিয়াব অমিয়া তোমারে প্রিয়া।
চাঁদিনী রাতের চাঁদোয়া-তলে
বুকের আঁচল দিব পাতিয়া।।
নয়ন-মণির মুকুরে তোমার
দুলিবে আমার সজল ছবি,
সবুজ ঘাসের শিশির ছানি
মুকুতা মালিকা দিব গাঁথিয়া।।
ফিরোজা আকাশ আবেশে ঝিমায়
দীঘির বুকে কমল ঘুমায়,
নীরব যখন পাখির কূজন
আমরা দু’জন রব জাগিয়া।।'
নজরুল ত্রিশালে যতদিন ছিলেন ততদিন স্কুল পালিয়েছেন, গানের আসরে গিয়েছেন, কৃষকসহ প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের সাথে মিশেছেন, গল্প শুনেছেন, গল্প করেছেন, বটতলায় বসে বাঁশি বাজিয়েছেন কখনো কিংবা কখনো হারমোনিয়ামে সুর তুলেছেন। যাত্রাপালা দেখেছেন, কবির লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন। জনশ্রুতি অনুযায়ী শেষমেশ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে ত্রিশাল ছেড়েছেন।
কিন্তু, অনুরাগী আর প্রেমিকের তো আজও তাঁর ফেরার আশায় পথ চেয়ে থাকতে ইচ্ছে হয় সেই বটতলায়, বেপারিবাড়িতে, দরিরামপুরে কিংবা কাজীর শিমলায়। কেননা প্রেমিকও তাঁর সুরেই তাঁরে বলে-
'পলাশ ফুলের গেলাস ভরি’
পিয়াব অমিয়া তোমারে প্রিয়া।
চাঁদিনী রাতের চাঁদোয়া-তলে
বুকের আঁচল দিব পাতিয়া।।
নয়ন-মণির মুকুরে তোমার
দুলিবে আমার সজল ছবি,
সবুজ ঘাসের শিশির ছানি
মুকুতা মালিকা দিব গাঁথিয়া।।
ফিরোজা আকাশ আবেশে ঝিমায়
দীঘির বুকে কমল ঘুমায়,
নীরব যখন পাখির কূজন
আমরা দু’জন রব জাগিয়া।।'
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জে এস এম অনিক ০৯/০২/২০২৪দারণ উপস্থাপন।
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৩/০১/২০২৪খুব সুন্দর
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৫/০১/২০২৪চমৎকার
-
ফয়জুল মহী ১৪/০১/২০২৪চমৎকার লিখেছেন