অভিশপ্ত হার
অভিশপ্ত হার
Part 1
বাইরে অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ছে. আমি জানালার ধরে চুপচাপ বসে দেখছি. এত জোর বৃষ্টি, জানালা খোলাই যাচ্ছে না, জল ঢুকছে. দেখলাম
একটা মানুষ নেই বাইরে. যারা পথচলতি, তারা গাছের নিচে, দোকানে আশ্রয় নিয়েছে. আমি আর মা ঘরে . মা কাজে ব্যস্ত. বাবা অফিস এ
গেছেন. বাবাকে, মার্ একপালা ফোন হয়ে গেছে. এই বৃষ্টিতে সব ঠিক আছে কিনা. এইবার মা নিশ্চিত. এখন প্রায় দুপুর বারোটা বাজে. বাবা
আসতে আসতে সেই পাঁচটা. মেঘের দৌলতে এত অন্ধকার ছিল, যে ঘরে লাইট জ্বালিয়ে রাখার কথা. কিন্তু খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট.
তাই আমি ও মা হারিকেন জ্বালিয়ে রেখেছি. নিদারুন গরমের পর বৃষ্টিটা বেশ উপভোগ করছিলাম. বেশ একটু ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছিলো. হঠাৎ
আমার মোবাইল ফোন বেজে উঠলো. আমি একটু অনিচ্ছা স্বত্তেই ফোন তুলে হ্যালো বললাম. কিন্তু কেউ উত্তর দিলো না. আমি আবার ফোন
রেখে বৃষ্টি দেখছি. এইভাবে প্রায় আধা ঘন্টা কেটে গেলো. আবার মোবাইল ফোন বেজে উঠলো. তখন খেয়াল করিনি নম্বরটা, দেখলাম একটা
ল্যান্ড লাইন নম্বর. আবার হ্যালো বললাম. কেউ একজন হ্যালো বললো. কিন্তু তারপর নিশ্চুপ. আমি আবার ফোন রেখে দিলম. এইবার কৌতূহল
বশতই কল লগ দেখলাম. একটু আগের ফোনটাও সেই ল্যান্ড লাইন নম্বর এ ছিল, কিন্তু লাস্টের দুটো ডিজিট আলাদা. মা রান্না ঘর থেকে
ডাকলো, "কিরে কার ফোন?". আমি একটু চিন্তা করছিলাম. আবার ফোন বেজে উঠলো. এইবার হ্যালো বলার পর বললো, "দিদিভাই, একটু
দরজাটা খুলে দাও". আমি আঁতকে উঠলাম. ফোন রেখে দিলো লোকটা. কিছু বুঝে উঠতে পারি নি, দরজায় কেউ আঘাত করলো. দরজায়
ছিটকিনি লাগিয়ে রেখেছিলো মা. আমি দৌড়ে দরজার আই হোল দিয়ে দেখলাম. কাউকে দেখতে পেলাম না. দৌড়ে রান্না ঘরে গেলাম. মা ও
নেই. বোধ হয় বাথরুম গেছে. আবার দরজায় টক টক আওয়াজ. আমি আবার আই হোল দিয়ে দেখলম্. দেখি কাজের মাসি. দরজা খুললাম.
বললাম "কাউকে দেখেছো ?". মাসি বললো, "না তো দিদিমনি". অবাক ও ভয় দুটোই লাগছিলো. আবার ফোন বাজলো. এইবার ফোন ধরে
কিছু বললাম না. ওপার থেকে লোকটা বললো, "দরজা খোলা রাখো, একটা গিফট আসবে." এই বলে ফোন ছেড়ে দিলো. সত্যি সত্যি পাঁচ
মিনিট পর দরজায় আবার কড়া পড়লো. আই হোল দিয়ে দেখি একজন কোরিয়ারের লোক দাঁড়িয়ে আছে. মা বললো. "কি রে দরজা খুল".
আমি দরজা খুললাম. পার্সেল রিসিভ করলাম. বেশ বড়ো হলুদ খামে কিছু একটা আছে. আমি খাম হাতে নিয়ে টেবিল এ রাখলাম. "মা
বললো, কি রে কে এসেছে?". ...cholbe
Part 1
বাইরে অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ছে. আমি জানালার ধরে চুপচাপ বসে দেখছি. এত জোর বৃষ্টি, জানালা খোলাই যাচ্ছে না, জল ঢুকছে. দেখলাম
একটা মানুষ নেই বাইরে. যারা পথচলতি, তারা গাছের নিচে, দোকানে আশ্রয় নিয়েছে. আমি আর মা ঘরে . মা কাজে ব্যস্ত. বাবা অফিস এ
গেছেন. বাবাকে, মার্ একপালা ফোন হয়ে গেছে. এই বৃষ্টিতে সব ঠিক আছে কিনা. এইবার মা নিশ্চিত. এখন প্রায় দুপুর বারোটা বাজে. বাবা
আসতে আসতে সেই পাঁচটা. মেঘের দৌলতে এত অন্ধকার ছিল, যে ঘরে লাইট জ্বালিয়ে রাখার কথা. কিন্তু খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট.
তাই আমি ও মা হারিকেন জ্বালিয়ে রেখেছি. নিদারুন গরমের পর বৃষ্টিটা বেশ উপভোগ করছিলাম. বেশ একটু ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছিলো. হঠাৎ
আমার মোবাইল ফোন বেজে উঠলো. আমি একটু অনিচ্ছা স্বত্তেই ফোন তুলে হ্যালো বললাম. কিন্তু কেউ উত্তর দিলো না. আমি আবার ফোন
রেখে বৃষ্টি দেখছি. এইভাবে প্রায় আধা ঘন্টা কেটে গেলো. আবার মোবাইল ফোন বেজে উঠলো. তখন খেয়াল করিনি নম্বরটা, দেখলাম একটা
ল্যান্ড লাইন নম্বর. আবার হ্যালো বললাম. কেউ একজন হ্যালো বললো. কিন্তু তারপর নিশ্চুপ. আমি আবার ফোন রেখে দিলম. এইবার কৌতূহল
বশতই কল লগ দেখলাম. একটু আগের ফোনটাও সেই ল্যান্ড লাইন নম্বর এ ছিল, কিন্তু লাস্টের দুটো ডিজিট আলাদা. মা রান্না ঘর থেকে
ডাকলো, "কিরে কার ফোন?". আমি একটু চিন্তা করছিলাম. আবার ফোন বেজে উঠলো. এইবার হ্যালো বলার পর বললো, "দিদিভাই, একটু
দরজাটা খুলে দাও". আমি আঁতকে উঠলাম. ফোন রেখে দিলো লোকটা. কিছু বুঝে উঠতে পারি নি, দরজায় কেউ আঘাত করলো. দরজায়
ছিটকিনি লাগিয়ে রেখেছিলো মা. আমি দৌড়ে দরজার আই হোল দিয়ে দেখলাম. কাউকে দেখতে পেলাম না. দৌড়ে রান্না ঘরে গেলাম. মা ও
নেই. বোধ হয় বাথরুম গেছে. আবার দরজায় টক টক আওয়াজ. আমি আবার আই হোল দিয়ে দেখলম্. দেখি কাজের মাসি. দরজা খুললাম.
বললাম "কাউকে দেখেছো ?". মাসি বললো, "না তো দিদিমনি". অবাক ও ভয় দুটোই লাগছিলো. আবার ফোন বাজলো. এইবার ফোন ধরে
কিছু বললাম না. ওপার থেকে লোকটা বললো, "দরজা খোলা রাখো, একটা গিফট আসবে." এই বলে ফোন ছেড়ে দিলো. সত্যি সত্যি পাঁচ
মিনিট পর দরজায় আবার কড়া পড়লো. আই হোল দিয়ে দেখি একজন কোরিয়ারের লোক দাঁড়িয়ে আছে. মা বললো. "কি রে দরজা খুল".
আমি দরজা খুললাম. পার্সেল রিসিভ করলাম. বেশ বড়ো হলুদ খামে কিছু একটা আছে. আমি খাম হাতে নিয়ে টেবিল এ রাখলাম. "মা
বললো, কি রে কে এসেছে?". ...cholbe
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহাম্মদ সফিউল হক ১৫/০৬/২০১৭অনবদ্য
-
আলম সারওয়ার ১৪/০৬/২০১৭অসাধারণ হয়েছে ।শুভেচ্ছা রহিল
-
মৌমিতা ১৩/০৬/২০১৭নেক্সট ব্লগ কি করে লিখবো ? নুতন করে লিখতে গেলে বলছে , "নুতন ব্লগ লিখার আগে একটু পড়ুন ". লিখতে পারছি না.
-
অঞ্জন চন্দ্র ১২/০৬/২০১৭বাকিটা কবে ?
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১২/০৬/২০১৭বেশ ভালো।
-
সাঁঝের তারা ১২/০৬/২০১৭ভাল...