নারী-মন-আমি
আমি নারী চিনতাম না, চিনতাম এ মা কে
আমি তার জঠরে বসবাস করে ছেলে হয়ে উঠেছি,
তার যন্ত্রনার চিৎকার শুনেই আমি অতিদ্রুত তাকে কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে চেয়েছি,
পেরেছি কি?
এখনো অন্তরাত্মার খেয়াল-বেখেয়াল মা বলেই জীবিত হয়,
তখনো আমি নারী চিনি নি, আমি এ মা কেই জানি।
আমি দেবদারু বৃক্ষের মত বাকিয়ে বাকিয়ে মাচায় উঠতে শিখলাম,
আমি বোনের পরিচয় পেলাম।
এরা শেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ যাই হোক মায়ায় বুক কাপে,অধীর ভালোবাসা অপেক্ষা করে অনন্তকাল,
ছেলে হয়ে ওঠার পর এতদিনের পরিপূর্ণতা বোন হয়ে শিকল পরে।
তখনো আমি নারী চিনি নি, আমি এ বোনকে জানি।
আমি বুদ্ধি গুছালাম মাথায় দলা পাকিয়ে, শিক্ষা মুড়িয়ে;
আমি প্রেমিকার পরিচয় পেলাম।
এরা যতন করে,ভালোবাসায় নতুনত্ব আনে,
গুছাতে শেখায়, ভাঙতেও শেখায়।
তবুও এরা কবির চরণে,ঔপন্যাসিক এর পাতায়,বুকের ভাজে ভাজে প্রেমিকা হয়ে ওঠে।
তখনো আমি নারী চিনি নি, আমি এ প্রেমিকাকে জানি।
আমি হাতকে ছুরি বানালাম,পাহাড় কাটতে শিখলাম,
আমি অর্ধাঙ্গীর পরিচয় পেলাম,
ধীরে মেয়ের পরিচয় পেলাম।
অর্ধাঙ্গী উত্তপ্ত আগুন কে দমাতে শেখায়,জীবনের উপর ছুরি চালাতে শেখায়,
আর মেয়ে হয় জান্নাত,স্বর্গের বাতি!
তখনো আমি নারী চিনি নি, আমি অর্ধাঙ্গী,মেয়েকে জানি।
আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ় আচরণ করলাম,নিজের হাটু শক্তি হারাতে শুরু করলো,
আমি দাদী হতে দেখলাম মা কে,পরিচয় পেলাম।
সমাজ তখন সংস্কার বিদ্যায় সিদ্ধহস্ত হতে বললো আমায়,
মৃত্যু ডাকে আশেপাশে, ইবাদত বাড়ে,সময় ফুরিয়ে যায়।
হঠাৎ আমি নারী চিনতে শুরু করলাম!
কখনো নারী, নাড়ী হয়ে যায়,
নারী কখনো সম্পদ হয়ে যায়,
নারী কখনো জান্নাত হয়ে দেখা দেয়,
নারী কখনো আমাকে চিনতে শেখায়।
নারী,মন আর আমি বংশপরম্পরায় সম্পর্কে বেড়ে উঠি,
শ্রদ্ধায়,আলিঙ্গনে,পৃথিবীর বাহুকোলে।
স্টারলিং লন্ড্রী লিমিটেড
৯-৬-২০২০
আমি তার জঠরে বসবাস করে ছেলে হয়ে উঠেছি,
তার যন্ত্রনার চিৎকার শুনেই আমি অতিদ্রুত তাকে কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে চেয়েছি,
পেরেছি কি?
এখনো অন্তরাত্মার খেয়াল-বেখেয়াল মা বলেই জীবিত হয়,
তখনো আমি নারী চিনি নি, আমি এ মা কেই জানি।
আমি দেবদারু বৃক্ষের মত বাকিয়ে বাকিয়ে মাচায় উঠতে শিখলাম,
আমি বোনের পরিচয় পেলাম।
এরা শেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ যাই হোক মায়ায় বুক কাপে,অধীর ভালোবাসা অপেক্ষা করে অনন্তকাল,
ছেলে হয়ে ওঠার পর এতদিনের পরিপূর্ণতা বোন হয়ে শিকল পরে।
তখনো আমি নারী চিনি নি, আমি এ বোনকে জানি।
আমি বুদ্ধি গুছালাম মাথায় দলা পাকিয়ে, শিক্ষা মুড়িয়ে;
আমি প্রেমিকার পরিচয় পেলাম।
এরা যতন করে,ভালোবাসায় নতুনত্ব আনে,
গুছাতে শেখায়, ভাঙতেও শেখায়।
তবুও এরা কবির চরণে,ঔপন্যাসিক এর পাতায়,বুকের ভাজে ভাজে প্রেমিকা হয়ে ওঠে।
তখনো আমি নারী চিনি নি, আমি এ প্রেমিকাকে জানি।
আমি হাতকে ছুরি বানালাম,পাহাড় কাটতে শিখলাম,
আমি অর্ধাঙ্গীর পরিচয় পেলাম,
ধীরে মেয়ের পরিচয় পেলাম।
অর্ধাঙ্গী উত্তপ্ত আগুন কে দমাতে শেখায়,জীবনের উপর ছুরি চালাতে শেখায়,
আর মেয়ে হয় জান্নাত,স্বর্গের বাতি!
তখনো আমি নারী চিনি নি, আমি অর্ধাঙ্গী,মেয়েকে জানি।
আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ় আচরণ করলাম,নিজের হাটু শক্তি হারাতে শুরু করলো,
আমি দাদী হতে দেখলাম মা কে,পরিচয় পেলাম।
সমাজ তখন সংস্কার বিদ্যায় সিদ্ধহস্ত হতে বললো আমায়,
মৃত্যু ডাকে আশেপাশে, ইবাদত বাড়ে,সময় ফুরিয়ে যায়।
হঠাৎ আমি নারী চিনতে শুরু করলাম!
কখনো নারী, নাড়ী হয়ে যায়,
নারী কখনো সম্পদ হয়ে যায়,
নারী কখনো জান্নাত হয়ে দেখা দেয়,
নারী কখনো আমাকে চিনতে শেখায়।
নারী,মন আর আমি বংশপরম্পরায় সম্পর্কে বেড়ে উঠি,
শ্রদ্ধায়,আলিঙ্গনে,পৃথিবীর বাহুকোলে।
স্টারলিং লন্ড্রী লিমিটেড
৯-৬-২০২০
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১২/০৬/২০২০ভালো।
-
ফয়জুল মহী ১২/০৬/২০২০ভীষণ ভালো লাগলো লেখা .
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১২/০৬/২০২০very good.
-
নীহারেন্দ্র নাথ চৌধুরী ১২/০৬/২০২০Perfect দর্শন।