www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

সেই ফেরিওয়ালা

একদা বিহানকালে আমি ফেরিওয়ালা চেঁচাচ্ছি,
হ্যামিলিয়নের বাঁশিওয়ালা নই;
অদ্ভুতুড়ে ভূত স্বপ্নের মত অবাস্তবি অনাস্থা আবেদনে।
কাঁধের চাকায় বয়ে বেড়ানো গ্রাম্য রাস্তায় ফেরিওয়ালার স্বরূপ,
যখন হ্রেষাধ্বনি থেমে যায় গতিপথে তখনো বয়ে বেড়ানো অদম্য স্পৃহা,
তবু মাঝপথে কখনো কখনো রেখে যাই কষ্টের স্তুপ!
শুভ্র চাদর বিছানো মেঘের পানে তাকিয়ে; সূদুরে।
এই মেঘ তবু বধ হয় বহমান ঝর্ণার মত অজস্র কান্নায়।
এই আমি সেই ফেরিওয়ালা,
তোমার ঘরের নাকবারান্দায় প্রত্যহ পাদচারণ আমার, বিক্রি না হোক, ফেরি করি অবিনিময়যোগ্য তোমাদের কষ্ট আমার কাধ সমান্তরালে!
হৃদয়টা যে এতটা প্রশস্ত হতে পারে,জীবনের বাঁকে বাঁকে এত সুখ পাখা মেলতে পারে,
আন্দরকিল্লায় ঘুঙুরে শব্দ যে নষ্টা প্রশান্তি চাবুক মারে!
এতসব দেখার সৌভাগ্য ফেরিওয়ালার।
এত সুচারুকর্মে ময়ূর পাখা মেলে,মহল তৈরী হয়েছে শাহজাহানে আর আমি তোমার স্ব-চক্ষে দেখা শহরে ফেরিমানব,
তোমার পথ প্রান্তরে ঘুরে বেড়াই,নিঃশব্দ প্রহরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি আগমনী দরজায়;
আনমনে খুঁজে বেড়াই একাট্টা মিলন।
গঞ্জের ব্যবসা গেছে কাকের ঠোঁটে,ব্রহ্মকমল কি তা জানে না শহুরে বেপারী; কি আশ্চর্য,ফেরিওয়ালা!
এসব জমাট করে গড়ে উঠেছে প্রাগৈতিহাসিক চর।
পর্যাপ্ত বর্ষণের অভাবে আতিথ্য পাই না, পায়ে বিধে যায় শুকিয়ে চৌচির হওয়া মাটির শূঁড়,
জানিনে সদ্য জোয়ারে প্রস্তুত হয় কিনা সপ্তগ্রাম,
সেখানে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, রাত্তির অবকাশ নেই।
তবু আমি হেঁটে বেড়িয়েছি এক শুন্য জগৎ থেকে অন্য জগৎ!
আমি সেই ফেরিওয়ালা।
এমন কোন সাগরপাড়ে দিব্যি পালঙ্কে শুয়ে কি তুমি সুখ?
দৃঢ়প্রতিজ্ঞায় আমি,কর্পূর মিশ্রিত লাশ,শোকের মাতম ভুলে, কদমে বাহুল্য বাহু,বাঁকা চাহনীর চোখবালা,
তুমি কোথায় যাবে? পৃথিবী পেরিয়ে ওপারে নও তো!
পৃথিবীকে সাজাই,ঐ দূর হতে ঘনিয়ে আসছে নিঃশব্দ সন্ধ্যা!
আমি সেই ফেরিওয়ালা,
সন্ধ্যা বেচে সকাল কিনি, সুখ দিয়ে কষ্ট কিনি!










স্টারলিং লন্ড্রী লিমিটেড
১-৬-২০২০
চিটাগাংরোড
২৮-৩-২০১৩
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ৩০২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০১/০৬/২০২০

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast