কি নিদারুণ অব্যয় তুমি- আহা
আহা!
কি নিদারুণ নির্মমতায় প্রতিযশা কুল বাসন্তী রমণীর যোগান,পবনের মেঘ কেটে গেছে আজ কাশফুলের সাদায়।
এতটা বলতে গিয়ে ক্লান্ত হবো না আজ;
এই যে ব্যাকরণের চৌকাঠে লিখিত বাসন্তী অব্যয় ধ্বনি,আহা! নিতান্ত পরিপাটিতে এটা তোমার,
হয়ে গেছে আজ গোখরা সাপের বিষ!
এ যাতনায় বিদীর্ণ একফোঁটা গলাকাটা রক্তাক্ত আবদার, ভাঙনের মৃত্যু!
জেগে থাকুক রাত জাগা ডাহুকীর গলায়,হুতুম প্যাঁচার চোখে,
বাষ্প হোক সমস্ত কষ্ট, নীরব হোক এ আঁখিযুগল;চক্ষু মুদিতে বনলতা সেনের নতুন রূপ না হয় আসুক এক বসন্তে!
শৃগালের হু হু ডাকে মনপ্রসাদে এখনো ধুক করে ওঠে
তবুও তোমার,আহা!
প্রথম তোমার শাড়ী পড়ার স্বাধ,আমার তীব্র অনুরাগ,নিজ হাতে মোর রূপায়ণ করা কু'চি,তোমার কোমড় ছোয়া আমার এ অসতর্ক আঙুল!
লাজুকতা ছুয়ে যাওয়া হৃদয়কাড়া হাসি,তোমার প্রথম সন্ধ্যাে কাজল রুখতে,
ঘর্মাক্ত পাঞ্জাবির হাহাকার মনে আছে?
সেদিনের সেই পহেলা বৈশাখ, বটতলা মাড়িয়ে টিএসসির প্রান্তর আর উদ্যানের বাক,
হুরহুর চিৎকারে আচমকা জড়িয়ে ধরে খাবি খাওয়া মনের শ্বাশত পরশে,তুমি বলেছিলে, আহা!
এক জীবনে তোমার বিকল্প হয়?!
এ এক বিষাদ সিন্ধুর প্রহর,তেল মাখিয়া,উনুনমুখী আচ,প্রবাহ লতা চুলের সন্ধিক্ষণ,নিমিষে বিষাক্ত গ্রাসে টিপ্পনি কাটে অস্থিরতা মোর।
সেচিয়া তোমার হারানো স্মৃতি মনস্থ হয় বা'গে,পিঠাপিঠি স্বভাব, ভালোবাসা কি লেগেছিল সেই আবেগে,
কুম্ভকর্ণের মত আমার শানিত তৈরি করা তরবারী,তুমি হয়ে গেলে বিজয়িনী পর,কোন দিকে দিলে আড়ি!
জনম জনম প্রথাগত সুর মিশিয়া গিয়াছে হেরা'য়, আবেগী মন সাহসী রাতে আবার আমায় ফেরায়,তোমার ধ্রুপদী অব্যয়ে,
ঢেকুর বিষাদে ফেনা তোলে আজ, আহা! আহা!
অপেক্ষমান আমায় তুমি চোখের কার্নিশে পেলেও বলে উঠতে,আহা!
এসব আজ প্রেতাত্মা হয়ে ঝুলে আছে স্মৃতির মগডালে,
আমায় বললে একপায়ে দাড়িয়ে থাকো সারস!
এখন তোমার আহা'রা মাদুর পাতে পড়শী বিলাসে, গজগজে কাগুজের মোড়ানো বান্ডেলের প্রাপ্তবয়স্ক মানিব্যাগে!
ভালোলাগা আজ বিস্তৃত হয় অট্টালিকায়, চারচাকার চলমান যন্ত্রে,বাহিরের দুনিয়ায় অযথা তাকিয়ে এখনো বলো, আহা! ভাবছো;কি সুখি তুমি!
আহা'রাও বদলায়,এদের পুনর্জন্ম হয়।
ক্ষুদ্র বাসনার চাঁদের হাঁটে কৃষ্ণতলায় কুড়িয়ে পাওয়া মোর ঘর,মেলার ভীরে আস্ফালনে,ভীমড়ি খেয়ে তা নড়বড়।
এতদা যা পেয়েছ সঞ্জীবনী, এক গাধা,হেটেছে সেই পথ সমুদ্দুর।
ঘটা করে তা তোমায় দিলাম এক রৌদ্র মাখা ভোরে,চিকচিকে ভাব যখনি এলো,নিয়ে নিলো তা হলদে পাখির সুরে।
তুমি নিতান্ত অচেনা এক মুখে, বললে আহা!
আমাদের গন্তব্য নাকি এতটুকুই শেষ! ঘুরিয়ে দিতে ঢেউয়ের বাকে তোমার নৌকার পাল,
আমি এই শেষবারে মুখে নিলাম তোমার প্রিয় অব্যয়ীভাব,আহা! প্রিয়তমা।
ভবিষ্যৎ,কবির ব্যাকরণ থেকে নিদ্রা যাবে এই প্রিয় অব্যয় ধ্বনি,আহা!
নিরিবিলি, নবীনগর
১৭-৫-২০২০
কি নিদারুণ নির্মমতায় প্রতিযশা কুল বাসন্তী রমণীর যোগান,পবনের মেঘ কেটে গেছে আজ কাশফুলের সাদায়।
এতটা বলতে গিয়ে ক্লান্ত হবো না আজ;
এই যে ব্যাকরণের চৌকাঠে লিখিত বাসন্তী অব্যয় ধ্বনি,আহা! নিতান্ত পরিপাটিতে এটা তোমার,
হয়ে গেছে আজ গোখরা সাপের বিষ!
এ যাতনায় বিদীর্ণ একফোঁটা গলাকাটা রক্তাক্ত আবদার, ভাঙনের মৃত্যু!
জেগে থাকুক রাত জাগা ডাহুকীর গলায়,হুতুম প্যাঁচার চোখে,
বাষ্প হোক সমস্ত কষ্ট, নীরব হোক এ আঁখিযুগল;চক্ষু মুদিতে বনলতা সেনের নতুন রূপ না হয় আসুক এক বসন্তে!
শৃগালের হু হু ডাকে মনপ্রসাদে এখনো ধুক করে ওঠে
তবুও তোমার,আহা!
প্রথম তোমার শাড়ী পড়ার স্বাধ,আমার তীব্র অনুরাগ,নিজ হাতে মোর রূপায়ণ করা কু'চি,তোমার কোমড় ছোয়া আমার এ অসতর্ক আঙুল!
লাজুকতা ছুয়ে যাওয়া হৃদয়কাড়া হাসি,তোমার প্রথম সন্ধ্যাে কাজল রুখতে,
ঘর্মাক্ত পাঞ্জাবির হাহাকার মনে আছে?
সেদিনের সেই পহেলা বৈশাখ, বটতলা মাড়িয়ে টিএসসির প্রান্তর আর উদ্যানের বাক,
হুরহুর চিৎকারে আচমকা জড়িয়ে ধরে খাবি খাওয়া মনের শ্বাশত পরশে,তুমি বলেছিলে, আহা!
এক জীবনে তোমার বিকল্প হয়?!
এ এক বিষাদ সিন্ধুর প্রহর,তেল মাখিয়া,উনুনমুখী আচ,প্রবাহ লতা চুলের সন্ধিক্ষণ,নিমিষে বিষাক্ত গ্রাসে টিপ্পনি কাটে অস্থিরতা মোর।
সেচিয়া তোমার হারানো স্মৃতি মনস্থ হয় বা'গে,পিঠাপিঠি স্বভাব, ভালোবাসা কি লেগেছিল সেই আবেগে,
কুম্ভকর্ণের মত আমার শানিত তৈরি করা তরবারী,তুমি হয়ে গেলে বিজয়িনী পর,কোন দিকে দিলে আড়ি!
জনম জনম প্রথাগত সুর মিশিয়া গিয়াছে হেরা'য়, আবেগী মন সাহসী রাতে আবার আমায় ফেরায়,তোমার ধ্রুপদী অব্যয়ে,
ঢেকুর বিষাদে ফেনা তোলে আজ, আহা! আহা!
অপেক্ষমান আমায় তুমি চোখের কার্নিশে পেলেও বলে উঠতে,আহা!
এসব আজ প্রেতাত্মা হয়ে ঝুলে আছে স্মৃতির মগডালে,
আমায় বললে একপায়ে দাড়িয়ে থাকো সারস!
এখন তোমার আহা'রা মাদুর পাতে পড়শী বিলাসে, গজগজে কাগুজের মোড়ানো বান্ডেলের প্রাপ্তবয়স্ক মানিব্যাগে!
ভালোলাগা আজ বিস্তৃত হয় অট্টালিকায়, চারচাকার চলমান যন্ত্রে,বাহিরের দুনিয়ায় অযথা তাকিয়ে এখনো বলো, আহা! ভাবছো;কি সুখি তুমি!
আহা'রাও বদলায়,এদের পুনর্জন্ম হয়।
ক্ষুদ্র বাসনার চাঁদের হাঁটে কৃষ্ণতলায় কুড়িয়ে পাওয়া মোর ঘর,মেলার ভীরে আস্ফালনে,ভীমড়ি খেয়ে তা নড়বড়।
এতদা যা পেয়েছ সঞ্জীবনী, এক গাধা,হেটেছে সেই পথ সমুদ্দুর।
ঘটা করে তা তোমায় দিলাম এক রৌদ্র মাখা ভোরে,চিকচিকে ভাব যখনি এলো,নিয়ে নিলো তা হলদে পাখির সুরে।
তুমি নিতান্ত অচেনা এক মুখে, বললে আহা!
আমাদের গন্তব্য নাকি এতটুকুই শেষ! ঘুরিয়ে দিতে ঢেউয়ের বাকে তোমার নৌকার পাল,
আমি এই শেষবারে মুখে নিলাম তোমার প্রিয় অব্যয়ীভাব,আহা! প্রিয়তমা।
ভবিষ্যৎ,কবির ব্যাকরণ থেকে নিদ্রা যাবে এই প্রিয় অব্যয় ধ্বনি,আহা!
নিরিবিলি, নবীনগর
১৭-৫-২০২০
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১৮/০৫/২০২০অসাধারণ।
-
বিশ্বামিত্র ১৭/০৫/২০২০খুব ভাল লাগল। কবিকে শুভেচ্ছা।
-
ইসমাইল জসীম ১৭/০৫/২০২০গল্পটার বিষয়বন্তু এবঙ উপস্থাপনা বেশ ভালো লাগলো। তবে বানানের ব্যাপারে আরো সতর্ক থাকতে হবে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ১৭/০৫/২০২০অসামান্য।
শুভেচ্ছা অনন্ত প্রিয় কবি। -
ফয়জুল মহী ১৭/০৫/২০২০ভীষণ ভালো লাগলো লেখা
-
সিবগাতুর রহমান ১৭/০৫/২০২০দারুণ লিখেছেন বন্ধু। ভালো থাকবেন সর্বদা।