স্বরূপ অন্বেষণে পাপি
বিস্তারিত!
বলার সময় হয়েছে আজি,
কোথাও হাহাকার,তারপর ক্রন্দন,তার স্বরূপ;
অন্ধকার, নিশ্চুপ আবাহন,প্রবহমান ঝড়ঝাপটা।
তবুও নিশ্চুপ,এ কেমন কথা,
সবটা ভিতরের,বহি গমনের উপায় আর কোথায়
বাহিরে তালা, মুখোশের আড়ালে ভয়ানক ভ্রুকুটি।
ভিতরের দলা পাকানো প্যাঁচ,
একটা সিডরের আঘাত তারপর আইলার প্রস্তুতি
এতটা কিভাবে সামলে নিবো আমি,কি ভয়ানক।
ক্ষুদ্র পরিসরে নানাবিধ পবন,
হৃদকম্পনটা মিটার স্কেলের ন্যানো বা তার থেকেও কম
কিঞ্চিৎ লক্ষ্যভেদ,কোল ঘেষে কয়েক সেকেন্ডের ভগ্নাংশ।
উপলব্ধি!
তাঁবুর ঠিকানা কোথায় আমার,
অচিন্তপুর নাকি স্বচিন্তপুর,দায়ভার নিজস্ব মেজাজে
দৈন্যদশা সাঁতরে বেরুতে হবে আমাকে,কৃত্য নির্ভর।
বেষ্টনী ঊষর ভূমির ফসল,
পুষ্পিত মাল্যবৎ তাঁহাদিগকে দেয়ার সন্ধানে আমি
অন্তর্জামী তুমি উদঘাটক হয়ো,মূহুর্ত গমনেচ্ছু তীব্র।
গতরে খেটে ক্লান্ত শ্রান্ত,নিশ্চুপ,
পাপ বড়সড় হয়ে লেজ নাড়ায়, অবিকল বিষাক্ত ফনা
জবানে কথক নড়ে মিথ্যে মিশ্রিত লালায়,তব জঞ্জাল।
হয় কি দেরাকতে হরকত মিশ্রণ,
এবারে কি শুদ্ধস্বরে পাঠক নিবেদন করবে, প্রভু
ছোট্ট পরিণাম সবটা অগোছালো, খালি হাড়ি।
উন্মনাঃ
চিবুকে ঘা' এর ক্ষত,
আমি পথ হারিয়ে উন্মাদনায় মথুরা হয়ে আছি
ঠিক সামলে নিতে পারি না,পিচ্চিল অবকায়।
রহিলে উন্মুখ কোন দুয়ারে,
প্রত্যক্ষ উপক্রোশ পাইনি,পরোক্ষ তো হতেই পারে
এই উপঘাতটা সবটা জুড়ে উপগত,নিশ্চুপ আকারে।
গোড়ায় গলদও সংকটাময়,
উন্মেষিত হতে চাই ঠিক খোয়াবের ঠিকানায়,পবিত্র
ওপারে যাযাবর জীবন গেরুয়া ধূসররঙের পাঁশুটে।
হতাম যদি কখনো তেমন,
ফিরে যা-ইবো হেথায় রঙিন , উপজীব্য কোথায়?
গম্ভীর সুরে গম্য হোক বেশ, তোমার করুনায়।
উন্নিদ্র!
লাল কালির পরত জুড়ে,
আমার আখি আর রক্তের প্রতিটি বিন্দুকণা
ক্ষিপ্রতা এত বেশি যে খেয়ালীপনার শামিল।
ক্বদমে হারিয়ে গোল্লাছুট,
উদ্ভ্রান্ত সব চিন্তা মাথার দু'কূলে জেকে বসেছে
উদ্ভূত হওয়ার মোক্ষম স্থান,কাল আর পাত্র নেই।
হররে নিভু চাপা কষ্ট,
শেষ সীমান্ত ঘেঁষে বিস্তীর্ণ খাদ,জেনেও আমি কি বাতুল?
সীমিত হয়কি করে গন্তব্যের শেষ লাইন,একপা পরিশেষে।
দখলে বিদীর্ণ একরাশ জলরাশি,
শুকনো কান্না,মনঃকষ্টের আবদ্ধ মাঠ, হন্তারক কি?
আমি যাই বুভুক্ষের মত পিছু,তুমি যাবে কেন হেরে!
উত্ত্যক্ত!
হওয়া যায় বিশেষ হাপিশ,
নদীর তটে বসে আছি কৃপা পেয়ে হাওয়ার খাঁচায়
নিরুপায় আমি জোয়ার ভাটার তঞ্চকতা পরোখ করি।
ঠেঠা দুষ্কৃতি অধৌশ্চর,
তদাবস্থা হতে পার হওয়ার মন্ত্র উচ্চারিত হয় না
গিলে খেয়ে ভবিষ্যৎ,কে জানে কোন শিকলে বাঁধে।
পুরোদস্তুর দিশেহারা বোধ,
ভাগ্যকুলের পরিহাস্য নয় বিবেকের তাড়না,মধূত্থ
বিশ্বাস সে তো ক্ষনিকের খোরাক, তন্ত্র সাধু।
অসুর ডিঙি বাতাসে নড়ে,
কই সে পাল তোলা ছইয়ের আড়ালে সূর্য, আমার পূব
এত অজস্র মেঘ কেন ছুই ছুই আকাশ ছোয়া দূরত্ব।
পঞ্চপ্রদীপ!
আশা নিরাশার দোলাচাল,
জ্বলুক আধার নৈঋতে নিভুক হতাশা, কালি ফুরাক
ভিখারি না হোক আর হেয়ালের দেয়াল,গিরী।
একচক্ষু মাতালের চিৎকার,
বিরহপীড়িত বিরূপ হয়ে অষ্টালংকারে মায়া ঘন্টা বাজায়
শিমুল-পলাশে গীতি করে সব রব উঠিয়ে শেষ ছবিটায়।
উহিত তরুণ হতবাক বেশ,
জামানতে নেই সর্ব দেহী করুনা,মর্ত্যেলোকে বিদুষ
এতদা সে ক্ষয়ে দিয়েছে একটুকরো জীবন্ত বীজ।
তবু চিৎকার নিশ্চুপ তথা,
হেরে যায় প্রকাশ,পদ্মামুখ দেবতার পাঠচক্র
মাবূ'দে করো ক্ষমা,ভুলের সাগর,নিস্তার অরণ্যে।
শুকুরসী
২৮-৩-২০১৩
নিরিবিলি
১৪-৫-২০২০
বলার সময় হয়েছে আজি,
কোথাও হাহাকার,তারপর ক্রন্দন,তার স্বরূপ;
অন্ধকার, নিশ্চুপ আবাহন,প্রবহমান ঝড়ঝাপটা।
তবুও নিশ্চুপ,এ কেমন কথা,
সবটা ভিতরের,বহি গমনের উপায় আর কোথায়
বাহিরে তালা, মুখোশের আড়ালে ভয়ানক ভ্রুকুটি।
ভিতরের দলা পাকানো প্যাঁচ,
একটা সিডরের আঘাত তারপর আইলার প্রস্তুতি
এতটা কিভাবে সামলে নিবো আমি,কি ভয়ানক।
ক্ষুদ্র পরিসরে নানাবিধ পবন,
হৃদকম্পনটা মিটার স্কেলের ন্যানো বা তার থেকেও কম
কিঞ্চিৎ লক্ষ্যভেদ,কোল ঘেষে কয়েক সেকেন্ডের ভগ্নাংশ।
উপলব্ধি!
তাঁবুর ঠিকানা কোথায় আমার,
অচিন্তপুর নাকি স্বচিন্তপুর,দায়ভার নিজস্ব মেজাজে
দৈন্যদশা সাঁতরে বেরুতে হবে আমাকে,কৃত্য নির্ভর।
বেষ্টনী ঊষর ভূমির ফসল,
পুষ্পিত মাল্যবৎ তাঁহাদিগকে দেয়ার সন্ধানে আমি
অন্তর্জামী তুমি উদঘাটক হয়ো,মূহুর্ত গমনেচ্ছু তীব্র।
গতরে খেটে ক্লান্ত শ্রান্ত,নিশ্চুপ,
পাপ বড়সড় হয়ে লেজ নাড়ায়, অবিকল বিষাক্ত ফনা
জবানে কথক নড়ে মিথ্যে মিশ্রিত লালায়,তব জঞ্জাল।
হয় কি দেরাকতে হরকত মিশ্রণ,
এবারে কি শুদ্ধস্বরে পাঠক নিবেদন করবে, প্রভু
ছোট্ট পরিণাম সবটা অগোছালো, খালি হাড়ি।
উন্মনাঃ
চিবুকে ঘা' এর ক্ষত,
আমি পথ হারিয়ে উন্মাদনায় মথুরা হয়ে আছি
ঠিক সামলে নিতে পারি না,পিচ্চিল অবকায়।
রহিলে উন্মুখ কোন দুয়ারে,
প্রত্যক্ষ উপক্রোশ পাইনি,পরোক্ষ তো হতেই পারে
এই উপঘাতটা সবটা জুড়ে উপগত,নিশ্চুপ আকারে।
গোড়ায় গলদও সংকটাময়,
উন্মেষিত হতে চাই ঠিক খোয়াবের ঠিকানায়,পবিত্র
ওপারে যাযাবর জীবন গেরুয়া ধূসররঙের পাঁশুটে।
হতাম যদি কখনো তেমন,
ফিরে যা-ইবো হেথায় রঙিন , উপজীব্য কোথায়?
গম্ভীর সুরে গম্য হোক বেশ, তোমার করুনায়।
উন্নিদ্র!
লাল কালির পরত জুড়ে,
আমার আখি আর রক্তের প্রতিটি বিন্দুকণা
ক্ষিপ্রতা এত বেশি যে খেয়ালীপনার শামিল।
ক্বদমে হারিয়ে গোল্লাছুট,
উদ্ভ্রান্ত সব চিন্তা মাথার দু'কূলে জেকে বসেছে
উদ্ভূত হওয়ার মোক্ষম স্থান,কাল আর পাত্র নেই।
হররে নিভু চাপা কষ্ট,
শেষ সীমান্ত ঘেঁষে বিস্তীর্ণ খাদ,জেনেও আমি কি বাতুল?
সীমিত হয়কি করে গন্তব্যের শেষ লাইন,একপা পরিশেষে।
দখলে বিদীর্ণ একরাশ জলরাশি,
শুকনো কান্না,মনঃকষ্টের আবদ্ধ মাঠ, হন্তারক কি?
আমি যাই বুভুক্ষের মত পিছু,তুমি যাবে কেন হেরে!
উত্ত্যক্ত!
হওয়া যায় বিশেষ হাপিশ,
নদীর তটে বসে আছি কৃপা পেয়ে হাওয়ার খাঁচায়
নিরুপায় আমি জোয়ার ভাটার তঞ্চকতা পরোখ করি।
ঠেঠা দুষ্কৃতি অধৌশ্চর,
তদাবস্থা হতে পার হওয়ার মন্ত্র উচ্চারিত হয় না
গিলে খেয়ে ভবিষ্যৎ,কে জানে কোন শিকলে বাঁধে।
পুরোদস্তুর দিশেহারা বোধ,
ভাগ্যকুলের পরিহাস্য নয় বিবেকের তাড়না,মধূত্থ
বিশ্বাস সে তো ক্ষনিকের খোরাক, তন্ত্র সাধু।
অসুর ডিঙি বাতাসে নড়ে,
কই সে পাল তোলা ছইয়ের আড়ালে সূর্য, আমার পূব
এত অজস্র মেঘ কেন ছুই ছুই আকাশ ছোয়া দূরত্ব।
পঞ্চপ্রদীপ!
আশা নিরাশার দোলাচাল,
জ্বলুক আধার নৈঋতে নিভুক হতাশা, কালি ফুরাক
ভিখারি না হোক আর হেয়ালের দেয়াল,গিরী।
একচক্ষু মাতালের চিৎকার,
বিরহপীড়িত বিরূপ হয়ে অষ্টালংকারে মায়া ঘন্টা বাজায়
শিমুল-পলাশে গীতি করে সব রব উঠিয়ে শেষ ছবিটায়।
উহিত তরুণ হতবাক বেশ,
জামানতে নেই সর্ব দেহী করুনা,মর্ত্যেলোকে বিদুষ
এতদা সে ক্ষয়ে দিয়েছে একটুকরো জীবন্ত বীজ।
তবু চিৎকার নিশ্চুপ তথা,
হেরে যায় প্রকাশ,পদ্মামুখ দেবতার পাঠচক্র
মাবূ'দে করো ক্ষমা,ভুলের সাগর,নিস্তার অরণ্যে।
শুকুরসী
২৮-৩-২০১৩
নিরিবিলি
১৪-৫-২০২০
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ১৫/০৫/২০২০সুন্দর সাবলিল উপস্থাপন।
-
কে এম শাহ্ রিয়ার ১৫/০৫/২০২০Nice writings!
-
ফয়জুল মহী ১৪/০৫/২০২০Excellent. Best wishes
-
কবীর হুমায়ূন ১৪/০৫/২০২০কবিতাটি আকারে বড়ো হলেও, পড়তে গিয়ে বিরক্ত অনুভব হয়নি। শুভ কামনা কবি।