বাঙ্গালীর অতি কথন করোনা ও সরকারি ত্রাণ
বাংলাদেশ গত দু’মাস ধরে মৃত্যুর মিছিল দেখছে পৃথিবী জুড়ে। কিন্তু সাবধান হয়নি। এটা বাঙ্গালীর চিরাচরিত বদঅভ্যাস। বরাবর-ই বাঙ্গালী ভুল করে এবং ভুলের চরম মাশুল দেয়। মনে হচ্ছে এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে এবার অন্তত ব্যতিক্রম হওয়া উচিত ছিল।
মানুষ সতর্ক হয় আশ-পাশ দেখে। বাংলাদেশের ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল। তা নাহলে পূর্ব এশিয়ার চীন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও বাংলাদেশ প্রায় দু’মাসের অধিক সময় পেয়েছিল কিন্তু বাংলাদেশ সতর্ক হয়নি। এমন কি পূর্ব প্রস্তুতি এবং পূর্ব পরিকল্পনাও গ্রহণ করেনি। বরং করেছে অতি কথন। এবার এর মূল্য দিতে শুরু করেছে। সরকারি হিসেব মতে, আজ সারা দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৬ এবং মৃত্যুর মিছিলে ৯ জন। দেশে এযাবৎকালে মোট আক্রান্ত ২১৪৪, মৃতের সংখ্যা ৮৪।
সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক মন্ত্রী. এমপি অতি কথনে মাতিয়ে রেখেছেন রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ। শ্রদ্ধেয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী দ্যার্থহীন কণ্ঠে উচ্চারণ করেন-আওয়ামী লীগ করোনা থেকেও শক্তিশালি। তিনি বলেন, করোনা এমন কোন শত্রু-শক্তি নয় যে, তাকে পরাজিত করা যাবে না। শুধু তাই নয় আজ অবদিও তারা থেমে নেই অতি কথন থেকে। দায়িত্বশীল পদে থেকে জনসাধারণকে অভয় দেয়া দায়িত্বের মধ্যে পড়ে তবে শুধু অভয় দিলে হবে না। অভয়ের পাশাপাশি কাজও করা উচিত ছিল। কিন্তু সেখানে তারা অষ্টরম্বা। শুনেছি ইদানিং উনাদের অনেকেই হোম কোয়ারেনটাইনে আছেন। সরকারের আরো একাধিক মন্ত্রী-এমপি বলেছেন-করোনা মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি ইউরোপ আমেরিকা থেকেও ভাল। নমুনা তাই দেখা যাচ্ছে, তাই না? আড়াই মাস সময় পেয়েও পিপিই’র যোগান দিতে পারে না। বিমান বন্দরে করোনা ডিক্টেটটিভ দুটি মেশিনের মধ্যে একটি বিকল, শুধু মাত্র ঢাকা ব্যতিত সারা দেশের আর কোথাও করোনা সনাক্তের ব্যবস্থা নেই (সম্প্রতি দেশের কিছু কিছু হাসপাতালে সীমিত আকারে চালু করা হয়েছে)। পর্যাপ্ত পরিমাণ কিট নেই। এই হলো আমাদের উন্নত ব্যবস্থা। সুতরাং আমাদের ব্যবস্থা ইউরোপ-আমেরিকা থেকে ভাল, তাই না? এসব মন্ত্রীদের নিয়ন্ত্রন করার জন্য আরেকজন মন্ত্রী আছেন, উনিও কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রণ করেননি। আর করেন নি বলেই, অতি কথনের মাত্রা ছাড়িয়েছে, আর সে সুযোগে করোনা ভ্রমণ করেছে সারাদেশ। বিছিয়ে দিয়েছে মরণের জাল। যার ফলাফল শুরু হয়েছে গত কিছু দিন যাবৎ।
তারপরও সরকারকে ধন্যবাদ একারণে যে, সরকার মন্ত্রী ও আমলাদের পরামর্শে ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশের অফিস আদালত বন্ধ ঘোষণা করে। নিত্য পণ্যের দোকান ব্যতিরেখে সকল ব্যবসায়কে বন্ধ ঘোষণা করে। যদিও দেশের বৃহৎ জনবলের গার্মেন্টস সেক্টরকে বন্ধ ঘোষণা না করে বিতর্কিত ছিল। শুভ বুদ্ধির উদয় হলে বিজেএমএ গামের্ন্টস বন্ধ ঘোষণা করে এবং ৫ তারিখ চালু করার ঘোষণা দিয়ে করোনাকে দেশ ব্যাপী আরো ছড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে। নিন্দিত হয়েছেন- আমাদের নন্দিত প্রয়াত মেয়র জনাব আনিসুল হকের সহধর্মীনী ও বিজিএমএ’র সভাপতি রুবানা হক। আল্লাহ জাতিকে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার তৌফিক দান করুন, অতি কথন থেকে বিরত রাখুন, সময়ের কাজ সময়ে করার জন্য মনোবাসনা তৈরি করে দিন।
দেশ ব্যাপী করোনা মোকাবেলায় অস্বচ্ছল, অসহায়, ভাসমান ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারি ত্রান সরবরাহ শুরু করেছে দ্বৈত ভাবে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চাল, ডাল, আটা, তেল এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একই রকম ত্রাণ সরবরাহ করে প্রশাসন। কিন্তু অত্যন্ত দু:খ ও পরিতাপের বিষয় এই যে, সরকরি ত্রাণ অস্বচ্ছল অসহায় মানুষের দ্বোর গোড়ায় না গিয়ে যাচ্ছে সরকার দলীয় নেতা-নেত্রীদের গোডাউনে কিংবা নিজ বাড়িতে। এরকম হরদর ঘটনা প্রতিদিনকার দৈনিক পত্রিকা খুললেই চোখে পড়ে। যা জাতি কখনো কামণা করে না। বরগুনা, বগুড়া, ভোলা, চাঁদপুর, রংপুর, যশোর সহ সারা দেশের ত্রাণ হরিলুট দেখেছে নিরন্ন অসহায় ভাসমান মানুষ। দিনের পর দিন লাইনে দাড়িয়ে থেকেও পাচ্ছে না সরকারি ত্রাণ। উপরন্তু সরকার ঘোষিত ৭২,৭৫০ কোটি টাকার প্রনোদনা বাজেট ভাগিয়ে নিয়ে গেছে সরকারের সাথে লিয়াজু করা ব্যাংক ও গার্মেন্টস শিল্প গোষ্ঠী। অসহায় হয়ে আছে প্রশাসন, কেননা প্রশাসন তো সরকার ও মাঠ পর্যায়ের নেতাদের ইশারাতেই চলে। দেশবাসীর বিনীত আরজ, ত্রাণ ব্যবস্থাপনায় সরকারের একটু সজাগ দৃষ্টি আসুক, যেন নিরন্ন মানুষ বেচেঁ থাকার মতো ত্রাণ নিতে পারে।
মানুষ সতর্ক হয় আশ-পাশ দেখে। বাংলাদেশের ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল। তা নাহলে পূর্ব এশিয়ার চীন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও বাংলাদেশ প্রায় দু’মাসের অধিক সময় পেয়েছিল কিন্তু বাংলাদেশ সতর্ক হয়নি। এমন কি পূর্ব প্রস্তুতি এবং পূর্ব পরিকল্পনাও গ্রহণ করেনি। বরং করেছে অতি কথন। এবার এর মূল্য দিতে শুরু করেছে। সরকারি হিসেব মতে, আজ সারা দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৬ এবং মৃত্যুর মিছিলে ৯ জন। দেশে এযাবৎকালে মোট আক্রান্ত ২১৪৪, মৃতের সংখ্যা ৮৪।
সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক মন্ত্রী. এমপি অতি কথনে মাতিয়ে রেখেছেন রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ। শ্রদ্ধেয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী দ্যার্থহীন কণ্ঠে উচ্চারণ করেন-আওয়ামী লীগ করোনা থেকেও শক্তিশালি। তিনি বলেন, করোনা এমন কোন শত্রু-শক্তি নয় যে, তাকে পরাজিত করা যাবে না। শুধু তাই নয় আজ অবদিও তারা থেমে নেই অতি কথন থেকে। দায়িত্বশীল পদে থেকে জনসাধারণকে অভয় দেয়া দায়িত্বের মধ্যে পড়ে তবে শুধু অভয় দিলে হবে না। অভয়ের পাশাপাশি কাজও করা উচিত ছিল। কিন্তু সেখানে তারা অষ্টরম্বা। শুনেছি ইদানিং উনাদের অনেকেই হোম কোয়ারেনটাইনে আছেন। সরকারের আরো একাধিক মন্ত্রী-এমপি বলেছেন-করোনা মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি ইউরোপ আমেরিকা থেকেও ভাল। নমুনা তাই দেখা যাচ্ছে, তাই না? আড়াই মাস সময় পেয়েও পিপিই’র যোগান দিতে পারে না। বিমান বন্দরে করোনা ডিক্টেটটিভ দুটি মেশিনের মধ্যে একটি বিকল, শুধু মাত্র ঢাকা ব্যতিত সারা দেশের আর কোথাও করোনা সনাক্তের ব্যবস্থা নেই (সম্প্রতি দেশের কিছু কিছু হাসপাতালে সীমিত আকারে চালু করা হয়েছে)। পর্যাপ্ত পরিমাণ কিট নেই। এই হলো আমাদের উন্নত ব্যবস্থা। সুতরাং আমাদের ব্যবস্থা ইউরোপ-আমেরিকা থেকে ভাল, তাই না? এসব মন্ত্রীদের নিয়ন্ত্রন করার জন্য আরেকজন মন্ত্রী আছেন, উনিও কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রণ করেননি। আর করেন নি বলেই, অতি কথনের মাত্রা ছাড়িয়েছে, আর সে সুযোগে করোনা ভ্রমণ করেছে সারাদেশ। বিছিয়ে দিয়েছে মরণের জাল। যার ফলাফল শুরু হয়েছে গত কিছু দিন যাবৎ।
তারপরও সরকারকে ধন্যবাদ একারণে যে, সরকার মন্ত্রী ও আমলাদের পরামর্শে ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশের অফিস আদালত বন্ধ ঘোষণা করে। নিত্য পণ্যের দোকান ব্যতিরেখে সকল ব্যবসায়কে বন্ধ ঘোষণা করে। যদিও দেশের বৃহৎ জনবলের গার্মেন্টস সেক্টরকে বন্ধ ঘোষণা না করে বিতর্কিত ছিল। শুভ বুদ্ধির উদয় হলে বিজেএমএ গামের্ন্টস বন্ধ ঘোষণা করে এবং ৫ তারিখ চালু করার ঘোষণা দিয়ে করোনাকে দেশ ব্যাপী আরো ছড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে। নিন্দিত হয়েছেন- আমাদের নন্দিত প্রয়াত মেয়র জনাব আনিসুল হকের সহধর্মীনী ও বিজিএমএ’র সভাপতি রুবানা হক। আল্লাহ জাতিকে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার তৌফিক দান করুন, অতি কথন থেকে বিরত রাখুন, সময়ের কাজ সময়ে করার জন্য মনোবাসনা তৈরি করে দিন।
দেশ ব্যাপী করোনা মোকাবেলায় অস্বচ্ছল, অসহায়, ভাসমান ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারি ত্রান সরবরাহ শুরু করেছে দ্বৈত ভাবে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চাল, ডাল, আটা, তেল এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একই রকম ত্রাণ সরবরাহ করে প্রশাসন। কিন্তু অত্যন্ত দু:খ ও পরিতাপের বিষয় এই যে, সরকরি ত্রাণ অস্বচ্ছল অসহায় মানুষের দ্বোর গোড়ায় না গিয়ে যাচ্ছে সরকার দলীয় নেতা-নেত্রীদের গোডাউনে কিংবা নিজ বাড়িতে। এরকম হরদর ঘটনা প্রতিদিনকার দৈনিক পত্রিকা খুললেই চোখে পড়ে। যা জাতি কখনো কামণা করে না। বরগুনা, বগুড়া, ভোলা, চাঁদপুর, রংপুর, যশোর সহ সারা দেশের ত্রাণ হরিলুট দেখেছে নিরন্ন অসহায় ভাসমান মানুষ। দিনের পর দিন লাইনে দাড়িয়ে থেকেও পাচ্ছে না সরকারি ত্রাণ। উপরন্তু সরকার ঘোষিত ৭২,৭৫০ কোটি টাকার প্রনোদনা বাজেট ভাগিয়ে নিয়ে গেছে সরকারের সাথে লিয়াজু করা ব্যাংক ও গার্মেন্টস শিল্প গোষ্ঠী। অসহায় হয়ে আছে প্রশাসন, কেননা প্রশাসন তো সরকার ও মাঠ পর্যায়ের নেতাদের ইশারাতেই চলে। দেশবাসীর বিনীত আরজ, ত্রাণ ব্যবস্থাপনায় সরকারের একটু সজাগ দৃষ্টি আসুক, যেন নিরন্ন মানুষ বেচেঁ থাকার মতো ত্রাণ নিতে পারে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নাসরীন আক্তার রুবি ২৯/০৫/২০২০সুন্দর প্রকাশ
-
ফয়জুল মহী ১০/০৫/২০২০অপরূপ ভাবনা ,, সুনিপুণ বস্তুনিষ্ঠ প্রকাশ