অস্বভাবী
কোন এক গোধূলি বেলার পরন্ত বিকেলে,
পথ হারা উদাসি এক বাউল গলা ছেড়ে গান ধরে,
“ আমি পথ থাকিতে পথ খুঁজি, চোখ থাকিতে আলো খুঁজি....।’’
ধীরে ধীরে বাউলের গান মিশে যায় দূর বহু দূর,
পড়ে থাকে শুধু বাউলের পদ চিহ্ন ধূলিমাখা ঐ পথের বুকে।
বিবাগী এই মনে হঠাৎ একটা ঝড় উঠে, হতাশাগুলো দানা বাঁধে,
অবচেতন মনের ভিতরের জন্ম নেয় আরো একটা মনের।
সেই মনের গহীন বনে নাম না জানা শত সহস্র বৃক্ষ গড়ে উঠে,
আলো ছাড়া, মাটি ছাড়া, বৃষ্টি ছাড়া, সবুজহীনা অদ্ভুত এক নির্জন বন।
সেই বৃক্ষগুলো পাতা পল্লবে, ফুলে বা ফলে, শাখা প্রশাখায় ভরে উঠে না।
সেই বৃক্ষ জন্মদেয় হাজার লক্ষ অমীমাংসিত সব প্রশ্নের।
যার উত্তর শত লক্ষ বছর ধরে খুঁজে গেছি আমি হাজার জন্মের মধ্য দিয়ে।
এক জন্ম থেকে আর এক জন্ম, আর এক জন্ম থেকে আরো এক জন্ম...।
আগুনের এক পাহারের শিরা, উপশি্রা দিয়ে বয়ে চলছে পাথর গলা এক নদী,
যে নদীতে পানির কোন অস্তিত্ব নেই, আছে শুধু উত্তাল ঢেউ ।
সেই ঢেউগুলো আছড়ে পড়ছে কোন এক ললনার পায়ের শিকলের নিক্কনে।
যে ললনার সমস্ত শরীর জুড়ে প্রস্তাঘারের ক্ষত চিহ্ন দগ দগ করছে আর
বক্ষে জ্বলছে তীব্র ঘৃণার আগুন, যতটা তাপ হলে একটা লাভার জন্ম হয়,
যতটা লাভা গর্ভে ধারণ করলে অগ্নি উৎপাত হয় ঠিক ততটাই ঘৃণা তার মনে।
ঢেউয়ের মৃদু অনুভূতি কড়াঘাত করে লাভা ধারণ করা কোমল হৃদয়ের মাঝে,
লালচে আকাশে কালচে মেঘগুলো বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে জ্বলন্ত লাভার বুকে।
সেই বৃষ্টির ফোঁটা জ্বলন্ত অঙ্গারে বাষ্প হয়ে উড়ে যায় দূরের এক বেগুনী আকাশে।
যে আকাশে উড়ে বেড়ায় না কোন মুক্ত বিহঙ্গ ডানা মেলে অবিরাম,
যে আকাশে মেঘেরা রক্ত বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে উতপ্ত উগ্র বেলা ভূমির বুকে।
থাক পড়ে সব এই বেলা ভূমির বুকে বেগুনী আকাশে মৃত প্রায় বরফ সূর্যটা নিয়ে।
টোলামর, আয়ারল্যান্ড
১৮/১০/২০১৬ইং
পথ হারা উদাসি এক বাউল গলা ছেড়ে গান ধরে,
“ আমি পথ থাকিতে পথ খুঁজি, চোখ থাকিতে আলো খুঁজি....।’’
ধীরে ধীরে বাউলের গান মিশে যায় দূর বহু দূর,
পড়ে থাকে শুধু বাউলের পদ চিহ্ন ধূলিমাখা ঐ পথের বুকে।
বিবাগী এই মনে হঠাৎ একটা ঝড় উঠে, হতাশাগুলো দানা বাঁধে,
অবচেতন মনের ভিতরের জন্ম নেয় আরো একটা মনের।
সেই মনের গহীন বনে নাম না জানা শত সহস্র বৃক্ষ গড়ে উঠে,
আলো ছাড়া, মাটি ছাড়া, বৃষ্টি ছাড়া, সবুজহীনা অদ্ভুত এক নির্জন বন।
সেই বৃক্ষগুলো পাতা পল্লবে, ফুলে বা ফলে, শাখা প্রশাখায় ভরে উঠে না।
সেই বৃক্ষ জন্মদেয় হাজার লক্ষ অমীমাংসিত সব প্রশ্নের।
যার উত্তর শত লক্ষ বছর ধরে খুঁজে গেছি আমি হাজার জন্মের মধ্য দিয়ে।
এক জন্ম থেকে আর এক জন্ম, আর এক জন্ম থেকে আরো এক জন্ম...।
আগুনের এক পাহারের শিরা, উপশি্রা দিয়ে বয়ে চলছে পাথর গলা এক নদী,
যে নদীতে পানির কোন অস্তিত্ব নেই, আছে শুধু উত্তাল ঢেউ ।
সেই ঢেউগুলো আছড়ে পড়ছে কোন এক ললনার পায়ের শিকলের নিক্কনে।
যে ললনার সমস্ত শরীর জুড়ে প্রস্তাঘারের ক্ষত চিহ্ন দগ দগ করছে আর
বক্ষে জ্বলছে তীব্র ঘৃণার আগুন, যতটা তাপ হলে একটা লাভার জন্ম হয়,
যতটা লাভা গর্ভে ধারণ করলে অগ্নি উৎপাত হয় ঠিক ততটাই ঘৃণা তার মনে।
ঢেউয়ের মৃদু অনুভূতি কড়াঘাত করে লাভা ধারণ করা কোমল হৃদয়ের মাঝে,
লালচে আকাশে কালচে মেঘগুলো বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে জ্বলন্ত লাভার বুকে।
সেই বৃষ্টির ফোঁটা জ্বলন্ত অঙ্গারে বাষ্প হয়ে উড়ে যায় দূরের এক বেগুনী আকাশে।
যে আকাশে উড়ে বেড়ায় না কোন মুক্ত বিহঙ্গ ডানা মেলে অবিরাম,
যে আকাশে মেঘেরা রক্ত বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে উতপ্ত উগ্র বেলা ভূমির বুকে।
থাক পড়ে সব এই বেলা ভূমির বুকে বেগুনী আকাশে মৃত প্রায় বরফ সূর্যটা নিয়ে।
টোলামর, আয়ারল্যান্ড
১৮/১০/২০১৬ইং
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রাবেয়া মৌসুমী ২০/১০/২০১৬খুব সুন্দর।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৯/১০/২০১৬ভালো হয়েছে।
-
কে. পাল ১৯/১০/২০১৬ভালো
-
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ১৯/১০/২০১৬ভালো লাগল । শুভেচ্ছা।
-
সুকান্ত ১৯/১০/২০১৬মুগ্ধ হলাম পড়ে।