নিরংশু
হঠাৎ আকাশে সাদা এক জোড়া পায়রা উড়ে যায় শান্তির বার্তা নিয়ে।
খালি চোখে দেখলে আসলে তাই মনে হয়,
চোখের দেখার বাহিরেও আরো অনেক কিছু থাকে
যা দেখা যায় না, শোনা যায় না, যা বুঝার কোন উপায় নেই;
শুধু শান্তির পায়রা উড়ে যাওয়ার নাটক মঞ্চায়স্থ হয় বার বার
মুক্ত নামক ঐ বদ্ধ আকাশে।
ইঁদুরের কিচকিচ শব্দ আর ফসল নষ্টের মহাউৎসব
তার সাথে অন্ধকার রাতে রক্ত চোষা ভ্যাম্পায়ারের নগ্ন নৃত্য।
পুরনো ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে গেছে হাজার বছর আগে;
হাজার বছরের পুরনো সেই মানবতা।
স্বচ্ছ কাঁচের আয়নায় চাঁদের আঁকাবাকা বিকৃত প্রতিবিম্ব দেখা যায়
এ যেন রূপ কথার সেই যাদুর আয়নায় আসল রূপ দেখা।
এলোমেলো কিছু শব্দ ঘুরে বেড়ায় মাথার ভিতর অমীমাংসিত ধাঁধাঁ মত,
এ যেন খুব কঠিন কিছুর আভাস ।
প্রতিটা বুকের ভিতর জ্বলন্ত লাভার নদী বয়ে চলছে অনবরত,
ভিতরের দহন ভিতরেই রয়ে যায়,ভিতরেই রয়ে যায় কলজে পোড়ার দূর্গন্ধ;
আর তা যদি কখনো সুযোগ পায় তবে বেরিয়ে আসে মহা বিস্ফোরণের সাথে।
পৃথিবীর ঘূর্ণী যেন থেমে গেছে, পৃথিবী এখন ক্লান্ত স্বেদে সিক্ত,পৃথিবী যাচ্ছে হারিয়ে;
যেমন করে একটি আস্ত উট ছোট্ট সূচের সাদৃশ্য ছিদ্র দিয়ে মরু হাওয়ায় মিশে যায়
যেমন করে একটি বড় জাহাজ বিনা ঝড়ে একটি ছোট্ট কুয়োর তলে হারিয়ে যায়।
তেমনি একটি অদৃশ্য ছোট্ট কৃষ্ণ গহ্বরের অতল গহীনে পৃথিবী তলিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে ।
নদীর আঁকা বাঁকা পথ সোজা হয়ে যায় আর হাজার হাজর কৃত্রিম সূর্যের উত্তাপে
নদীর পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যায় হয়ে ঐ দূর অজানায়,
যে বাষ্প থেকে কখনো মেঘ হয়না, তবে বৃষ্টি হয় বৃষ্টির স্বাদ লোনা
কারন এতো লক্ষ, কোটি জোড়া পোড়া চোখের অশ্রুর জল ।
২১/১০/১৪ইং
টোলামোর আয়ারল্যান্ড
খালি চোখে দেখলে আসলে তাই মনে হয়,
চোখের দেখার বাহিরেও আরো অনেক কিছু থাকে
যা দেখা যায় না, শোনা যায় না, যা বুঝার কোন উপায় নেই;
শুধু শান্তির পায়রা উড়ে যাওয়ার নাটক মঞ্চায়স্থ হয় বার বার
মুক্ত নামক ঐ বদ্ধ আকাশে।
ইঁদুরের কিচকিচ শব্দ আর ফসল নষ্টের মহাউৎসব
তার সাথে অন্ধকার রাতে রক্ত চোষা ভ্যাম্পায়ারের নগ্ন নৃত্য।
পুরনো ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে গেছে হাজার বছর আগে;
হাজার বছরের পুরনো সেই মানবতা।
স্বচ্ছ কাঁচের আয়নায় চাঁদের আঁকাবাকা বিকৃত প্রতিবিম্ব দেখা যায়
এ যেন রূপ কথার সেই যাদুর আয়নায় আসল রূপ দেখা।
এলোমেলো কিছু শব্দ ঘুরে বেড়ায় মাথার ভিতর অমীমাংসিত ধাঁধাঁ মত,
এ যেন খুব কঠিন কিছুর আভাস ।
প্রতিটা বুকের ভিতর জ্বলন্ত লাভার নদী বয়ে চলছে অনবরত,
ভিতরের দহন ভিতরেই রয়ে যায়,ভিতরেই রয়ে যায় কলজে পোড়ার দূর্গন্ধ;
আর তা যদি কখনো সুযোগ পায় তবে বেরিয়ে আসে মহা বিস্ফোরণের সাথে।
পৃথিবীর ঘূর্ণী যেন থেমে গেছে, পৃথিবী এখন ক্লান্ত স্বেদে সিক্ত,পৃথিবী যাচ্ছে হারিয়ে;
যেমন করে একটি আস্ত উট ছোট্ট সূচের সাদৃশ্য ছিদ্র দিয়ে মরু হাওয়ায় মিশে যায়
যেমন করে একটি বড় জাহাজ বিনা ঝড়ে একটি ছোট্ট কুয়োর তলে হারিয়ে যায়।
তেমনি একটি অদৃশ্য ছোট্ট কৃষ্ণ গহ্বরের অতল গহীনে পৃথিবী তলিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে ।
নদীর আঁকা বাঁকা পথ সোজা হয়ে যায় আর হাজার হাজর কৃত্রিম সূর্যের উত্তাপে
নদীর পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যায় হয়ে ঐ দূর অজানায়,
যে বাষ্প থেকে কখনো মেঘ হয়না, তবে বৃষ্টি হয় বৃষ্টির স্বাদ লোনা
কারন এতো লক্ষ, কোটি জোড়া পোড়া চোখের অশ্রুর জল ।
২১/১০/১৪ইং
টোলামোর আয়ারল্যান্ড
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আর. কে. (র্নিবাক আমি) ২২/১০/২০১৪
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ২২/১০/২০১৪আজ আমি ক্লান্ত। এ যেনো পৃথিবির ই আর্তনাদ।
-
কৌশিক আজাদ প্রণয় ২১/১০/২০১৪নিপীড়িত মানুষের বঞ্চনা আর হাহাকারের চিত্রটি শব্দের প্রাবল্যে যথার্থ ভাবে উপস্থাপন করেছেন কবি। পৃথিবী এখন ক্লান্ত স্বেদে সিক্ত, বাস্পায়িত জল যেন বঞ্চনার কান্নাসম। প্রচলিত বাস্তবতায় মুক্ত আকাশও স্বার্থের দাসত্বে পরাধীনতার সীমিত ক্ষেত্র। সব মিলিয়ে নৈরাজ্যের ভীরে মানবিক বোধের আহত স্বরূপ অনন্য ভাবে তুলে ধরেছেন কবিতাটিতে। অভিনন্দন দারুন এই কবিতার জন্য।
-
অনিরুদ্ধ বুলবুল ২১/১০/২০১৪কবি, দয়া করে বলবেন কি - 'নিরংশু' বলতে কি এখানে মহাজাগতিক কৃষ্ণ গহ্বরকে বুঝাতে চেয়েছেন?
আমার অজ্ঞতার জন্য ক্ষমা চাইছি; মনে হচ্ছে অনেক কঠিন বিষয় - মূল ভাবটা ঠিক ধরতে পারছিনা। এখানে কি ক্রমক্ষয়িষ্ণু মহাজাগতিক পরিস্থিতিকেই তুলে ধরতে চেয়েছেন?
ধন্যবাদ।
গাহি নবীনের গান ।
চরম লাগলো....