বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা
ইউরোপের রেনেসাঁ বিপ্লবের কথা আমরা সবাই জানি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক নবদিগন্ত উন্মোচন ঘটেছিল সেই সময়ই। বাঙালী হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিপ্লবের বিষয়টি এক সময় আমাদের কাছে সোনার হরিণ বলে মনে হতো। কিন্তু সময়ের পালা বদলের ধারায় আজ বাংলাদেশে ডিজিটাল বিপ্লবের যে ধারা সূচনা করেছে তার একমাত্র কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ৫টি পর্যায়ের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্নকে আজ বাস্তবে রূপায়িত করার পথে এগিয়ে চলেছেন। ইতোমধ্যেই ই-গভর্ন্যান্স পদ্ধতি প্রক্রিয়া সারাদেশে চালু হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকারের সব উন্নয়নমূলক কাজকর্ম ডিজিটালাইজড করা হবে। এর ফলে সরকারের কাজকর্মে গতিময়তা সৃষ্টি হবে। গণতন্ত্রের প্রধান শর্ত সরকারের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিবেশ তৈরি হবে। আনন্দের বিষয় এই যে, ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন এ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন (এ টু আই) প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়টি হচ্ছে স্কুল-কলেজে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার উৎকর্ষতা সাধন। তৃতীয় পর্যায় হচ্ছে তথ্য ও প্রযুক্তিকেন্দ্রিক শিল্প এবং কলকারখানা গড়ে তোলা। চতুর্থ পর্যায়টি হলো আইটি পার্ক গড়ে তোলা। এ প্রসঙ্গে বলা যায় বিভিন্ন অঞ্চলে আইটি পার্ক গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশের স্বনামধন্য আটটি বিশ্ববিদ্যালয়কে আইটি পার্ক নির্মাণের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ ও তা কার্যকরের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। পঞ্চম পর্যায়ে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, যা ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। আজ রোবট্রিক্সের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। মনোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, পদ্মা সেতু নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন, গার্মেন্টস সেক্টর আধুনিকায়ন, বিদ্যুত উৎপাদনসহ সবক্ষেত্রেই প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে। দুরন্ত জলতরঙ্গের মতো উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের গবেষক, প্রকৌশলী, শিক্ষকসহ সবার অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রীর অবিরাম প্রচেষ্টা। বর্তমান সরকার যে অবদান রেখে চলেছে তার ফলে বাংলাদেশে বিশ্বমানের গবেষণাগার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। পাটের জিনতত্ত্ব আবিষ্কার বর্তমান সরকারের গবেষণার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কারণেই সফল হয়েছে। একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশ থেকে উন্নত বিশ্বে মেধা পাচার হতো। কিন্তু বর্তমান সরকারের গবেষণা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপের মাধ্যমে আজকাল দেখা যাচ্ছে আমেরিকা, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষকরা ফিরে আসছেন, যা জননেত্রীর প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার মনোভাব ও আন্তরিকতার জন্যই সম্ভব হয়েছে। ফলে মেধাসম্পদ পাচারের বিষয়টি আজ অর্থহীন হয়ে পড়েছে। এই মেধাবী গবেষকরা দেশে ফিরে গবেষণার ক্ষেত্রে তাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছেন। আর প্রধানমন্ত্রীর প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে চেতনা তা আজ বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নীল আকাশ ১৩/০৯/২০১৭সুন্দর লেখা
-
রুনা লায়লা ১২/০৯/২০১৭ভালো লিখেছেন ।অভিনন্দন !
-
Tanju H ১১/০৯/২০১৭সুন্দর বলেছন
-
Tanju H ১১/০৯/২০১৭:-০
-
মনিরুল ইসলাম ফারাবী ১১/০৯/২০১৭valo