পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম গভীর খাদ বাংলাদেশে
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম গভীর খাদ বাংলাদেশে! আজ থেকে প্রায় ১,২৫,০০০ বছর আগে তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরের তলায় একটি গভীর উপত্যকা বা মেরিন ভ্যালি। যার নাম সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড। নামটি ব্রিটিশদের দেয়া। বিশ্বের অন্যতম ১১টি গভীর খাদগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম গভীর খাদ। যার অবস্থান বাংলাদেশে! সুন্দরবনের দুবলার চর প্রায় ৪০ কিমি দূরে বঙ্গোপসাগরে প্রায় ৩,৮০০ বর্গ কিলোমিলোমিটার এলাকা জুড়ে নিয়ে সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ডের অবস্থান। এর গভীরতা ১০ মিটার থেকে ১০০ মিটার, তবে ৭০% এর গভীরতা ৪০ মিটার- এর বেশি। তলদেশে রয়েছে কাদা মোশানো বালি যার ঘনত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। এখানের পানির রংে সম্পূর্ণ আলাদা আর যা দেখেই সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ডের এলাকায় বুঝা যায়। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ব-দ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত বঙ্গোপসাগরেরর ভেতরে একটি গভীর খাদে। এটিকে গঙ্গা খাদ নামেও অনেকের কাছে পরিচিত। সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ডে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। জেলেরা মাছ ধরার ট্রলার করে সোয়াচ অভ নো গ্রাউন্ড এ মাছ ধরতে যায়। তারা ঠিকই জানে এখানে গভীরতা অনেক বেশি। তবে কতটা তা হয় তো তাদের জানা নেই। সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ডকে জেলেরা নাই বাম বলে থাকে, কারণ তারা সাগরের হিসাব করে দশ বাম, বিশ বাম আর এই স্থানের কোনো হিসাব নেই তাই তারা বলে নাই বাম। এছাড়া এটি সামুদ্রিক প্রাণীদের অভয়ারণ্য। এখানে তিমি, (ডলফিন ও তিমি পরিবারের ছোট সামুদ্রিক প্রাণি) পপাস, ইরাবতী ডলফিল, ইমপ্লাস ডলফিন (এদের কোনো পাখনা থাকে না, পিঠ মসৃণ), ইন্দো প্যাসিফিক ডলফিন বেশ উল্লেখযোগ্য। সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড পৃথিবীর একমাত্র সোয়াচ যেখানে এই তিনটি সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী একসঙ্গে দেখা যায়। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম গভীর খাদ বাংলাদেশে যা সত্যিই গর্বের।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২৮/০৪/২০১৮ও তাই!
-
মোনালিসা ০৪/০৯/২০১৭সুন্দর
-
ধ্রুবক ০৩/০৯/২০১৭আনন্দের বিষয় সন্দেহ নেই কিন্তু গর্ব করতে হলে অধিবাসীদের কিছু করতে হবে যেমন বস্ত্র শিল্প, মৎস শিল্প এবং ঔষধ শিল্প প্রভৃতি বাংলাদেশের গর্বের জিনিস।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০২/০৯/২০১৭সুন্দর তথ্য।
-
ফয়েজ উল্লাহ রবি ০২/০৯/২০১৭সামুতে দেখেছি পোস্টটা
ভাল লেগেছে