প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছিল না ছিল যেন বেগম জিয়ার বিউটি পার্লার
ড. ফখরুদ্দিন আহমেদ শিক্ষিত মার্জিত। দক্ষ আমলা ছিলেন, কূটনীতিক হিসেবেও তাঁর সাফল্য অনেক। ২০০৭ সালের ১১ জানুযারি তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নিলেন। ১২ জানুয়ারি সকালে তিনি গেলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে, সেটি তাঁর দপ্তর। বেগম জিয়া প্রধানমন্ত্রী থেকে পদত্যাগের পর কিছুদিন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দাপ্তরিক কাজ করতেন বঙ্গভবন থেকেই। কাজেই বেগম জিয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিদায় নেবার পর কেউ আর তাঁর কক্ষে বসেন নি। প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ে এলেই কর্মকর্তারা তাঁকে অভ্যর্থনা জানালেন। তারপর ড. ফখরুদ্দিন কার্যালয় ঘুরে দেখলেন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন। এরপর গেলেন প্রধানমন্ত্রীর কক্ষে, যেটি তাঁর দাপ্তরিক বসার জায়গা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢুকে দেখলেন ভেতর দিয়ে দুটি দরজা, একটা বাথরুম অন্যটা একান্ত কক্ষ। একান্ত কক্ষ খুলতেই ড. ফখরুদ্দিনের চোখ কপালে উঠল। কোথায় একান্ত কক্ষ, এটাতো বিশাল বিউটি পার্লার। থরে থরে সাজানো লিপস্টিক, আই শ্যাডো, মাশকারা সহ হাজারো মেকআপ সামগ্রী। আছে অত্যাধুনিক হেয়ার ড্রায়ার, হেয়ার কালার। একটি অত্যাধুনিক বিউটি পার্লারে যা থাকে এখানে তার চেয়েও বেশি কিছু। ড. ফখরুদ্দিন একটু বিরক্ত হলেন। জিজ্ঞেস করলেন, উনি তো আরও তিন মাস আগে চলে গেছেন, এগুলো সরানো হয়নি কেন? জবাব এলো, মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিষেধ করেছেন। বলেছেন, খামোখা এসব সরানোর দরকার নেই। উনি (বেগম জিয়া) তো আবার প্রধানমন্ত্রী হয়েই আসবেন। ড. ফখরুদ্দিন অবিলম্বে এটা গুটিয়ে একটা চেক লিস্ট করার নির্দেশ দিলেন। দুদিন লাগল লিস্ট করতে, লিস্ট ছিল দীর্ঘ, এতে ছিল ছয় হাজার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লিপস্টিক, আই শ্যাডো ছিল হাজার খানেক, প্লাস্টার কালার ফাউন্ডেশন ছিল ৭০০ ধরনের। সব মিলিয়ে নয় হাজার ৮২৭ টি আইটেমের তালিকা তৈরি হলো। প্রধান উপদেষ্টার এক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জানতে চাইলেন, কার টাকায় এগুলো কেনা হয়েছে। উত্তর এলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টাকায়। শুধু এখানেই নয়, ৩০ হেয়ার রোড ছিল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন। যেখানেও বিউটি পার্লার করা হয়েছিল। আর ক্যান্টনমেন্টের বাসায় বিউটি পার্লারের দৃশ্য তো জনগণ বাড়ি উদ্ধারের সময়ই দেখেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টাকায় বেগম জিয়ার এতো বিলাসিতা আসে কোথা থেকে?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোনালিসা ৩০/০৮/২০১৭সঠিক
-
মোনালিসা ২৯/০৮/২০১৭সঠিক
-
মোনালিসা ২৯/০৮/২০১৭খুব ভাল
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৮/০৮/২০১৭কথা সত্য।
-
কামরুজ্জামান সাদ ২৮/০৮/২০১৭লেখার শিরোনাম চমৎকার লেগেছে
-
অনির্বাণ সূর্যকান্ত ২৮/০৮/২০১৭আমি ঠিক জানিনা এই ব্যাপার টা কত টুকু সত্য। কারন রেফারেন্সের একটা গ্যাপ থেকেই যায়। তবে উনি যে খুব সাজতে ভালবাসতেন সেটা ঠিক আর সেই থেকেই এই কার্যালয়ে কিছু থাকবে কিনা জানি না। যদি সেটা হয়ে থাকে তাহলে পুরোটা বে আইনি । তবে একটি অষ্টম শ্রেণী পাশ করে মানুষের কপাল আছে বলতে হয়।
পৃথিবী জুড়ে এমন মানুষ আছে কিনা জানি না যে স্বশিক্ষিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
আইনের অ জানতেন কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ করি। তবে উনার প্লাস পয়েন্ট হল ধর্মের জুজু দেখানো যেটা উনার স্বামী উনাকে ভালো করেই হয়তো শিক্ষা দিয়েছেন।