আদালতই ন্যায়বিচারের পথ উন্মুক্ত করে দেন
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ন্যায়বিচার নিয়ে শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে শঙ্কা ছিল। কারণ অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ছিলেন প্রভাবশালী। টাকার বিনিময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ক্ষমতার দাপটে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অপরাধ বিভিন্ন সময়ে মাফ হয়ে যাওয়ার প্রচলিত ধারণা সাত খুনের রায়ে ভুল প্রমাণিত হলো। অভিযুক্ত র্যাযব কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার, মূল পরিকল্পনাকারী নূর হোসেনকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা থেকে শুরু করে বিচারের বিভিন্ন পর্যায়ে সারা দেশের মানুষ, আইনজীবী ও গণমাধ্যম সজাগ ছিল। প্রায় তিন বছর তিন মাস ধরে চলা এই আইনি লড়াইয়ে আদালতই ন্যায়বিচারের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। এই মামলার মূল পরিকল্পনাকারী নূর হোসেন ভারতে পালিয়ে যান। সরকারের একান্ত চেষ্টায় ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর নূর হোসেনকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। ১৪ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁকে জেলহাজতে পাঠান। অভিযোগ গঠনের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৩৮ দিন শুনানির পর গত ১৬ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নূর হোসেন, তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন, এম এম রানাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বিচার বিভাগ যেসব রায় দিয়েছেন, তার প্রতিটিই সন্তোষজনক। আইনের যথাযথ প্রয়োগে বর্তমানে সরকার আন্তরিক এবং আইন-শৃংখলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। ফলেই একটি স্বস্তিদায়ক রায় হয়েছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
প্রিয় ২৯/০৮/২০১৭
-
কামরুজ্জামান সাদ ২৪/০৮/২০১৭বিচারবিভাগকে যদি পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয় তবে আরো ভাল কিছু আশা করা যায়।
-
অর্ক রায়হান ২৩/০৮/২০১৭স্বস্তিদায়ক।
দারুন