নেশামুক্ত থাকুক তরুণ প্রজন্ম
মাদক ও নেশামুক্ত তরুন সমাজ দেশ ও জাতি গঠনের জন্য খুবই প্রয়োজন। সমাজ মাদক মুক্ত হলে অনেক অপরাধ থাকবে না। তাই মাদকের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে। মাদক দেশের চলমান উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করছে এবং আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। তামাক থেকে দেশে যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হচ্ছে, ক্ষতির পরিমাণ তার থেকে অনেক বেশি। তাই শুধুমাত্র আইন করে, ট্যাক্স বৃদ্ধি করে তামাকের ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না। এজন্য চাই জনসচেতনতা, চাই কাউন্সেলিং, চাই মোটিভেশন। কাজেই আমরা তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানমুক্ত রাখতে একটি কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে পারি। তামাক সেবন একটি সামাজিক ব্যাধি, এটি আমাদের তরুণ প্রজন্মকে, জাতিকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে, ফলে দেশে কর্মক্ষম জনশক্তি ধীরে ধীরে কমে আসছে। কাউন্সেলিং, মোটিভেশন করার পরও যারা তামাক গ্রহণ করছে, আসুন আমরা সবাই মিলে তাদের বয়কট করি। তাদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র আইন করে নয়, সামাজিকভাবে তাদেরকে বয়কট করার আন্দোলনও করব। আমরা সবাই যদি একসাথে সোচ্চার হয়ে কাজ করি তবে আমাদের এই জাতীয় সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হবই হব। পৃথিবীতে বেশি তামাক ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশে ৪ কোটি ৬০ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক সেবন করে। এর মধ্যে ৫৮% পুরুষ এবং ২৯% নারী ধোঁয়াযুক্ত অথবা ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবন করেন। বাংলাদেশ প্রতি ঘন্টায় ১২ জন, প্রতি দিনে ২৭৭ জন, প্রতি মাসে ৮৩৩৩ জন ও প্রতি বছরে ১ লক্ষ মানুষ তামাক ব্যবহারে মারা যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদক এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ওপর ভর করে ইতোমধ্যে দেশে মাদক নির্মূলে বিভিন্ন উদ্যেগের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যদিকে এবারের পহেলা বৈশাখের সকল অনুষ্ঠানে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ধূমপান বন্ধ করা হয়েছিল। নগরবাসীও বিজ্ঞপ্তিতে সাড়া দিয়ে ধূমপানমুক্ত হয়ে অনুষ্ঠান পালন করেছে। এভাবে প্রবল ইচ্ছা শক্তি নিয়ে দেশের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করা আমাদেরই দায়িত্ব। আমাদের তরুণরা যেন তামাক সেবনে দিকে আসক্ত না হয় সেজন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করার জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য, ভালো কাজের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা তামাকের কড়াল গ্রাস থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে পারব।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
তনুর ভাই ১৫/১১/২০১৭কার পাহাড়া দেওয়া বর্ডার নামের গেট দিয়ে মাদক ধুকে?
-
অনির্বাণ সূর্যকান্ত ২৯/০৮/২০১৭নেশা মুক্ত থাকবে কিভাবে? যেখানে রাষ্ট্র তাকে নেশা মুক্ত করতে উদ্যোগ নেয় না , যেখানে বদি'র মতো দেশ বিরোধী সমাজ বিরোধী রাজনীতির মাধ্যমে নেশার বিজনেস করে, যেখানে সে মাদক সাপ্লাই দেয় তার শাস্তি না হয়ে ঐশীর শাস্তি হয় সেখানে তো নেশা মুক্ত করা যাবে না।
রাষ্ট্রের গোয়েন্দারা কি জানে না কারা কারা এই বিজনেসের সাথে যুক্ত ? তবু অপসারণের কোন উদ্যোগ নেই ।। -
মোনালিসা ২৪/০৮/২০১৭সুন্দর
-
ধ্রুবক ২০/০৮/২০১৭কৌতূহল থেকে নেশার যে উৎপত্তি তা ব্যক্তি ও পরিবার কেন্দ্রিক,
এক্ষেত্রে তেমন কিছু বলার নেই। কিন্তু রাষ্ট্রের ব্যর্থতা কারণে জন্মানো হতাশা ও তার থেকে মাদকাসক্ত হওয়া উন্নয়নশীল দেশগুলির বাস্তবচিত্র। চরম বেকরত্ব ও দারিদ্রতা মানুষকে মরতে বাধ্য করছে নানাভাবে, মাদকাসক্তি তার একটা প্রতিক্রিয়া বা দৃশ্যফল, যা আবার বিভিন্ন সমস্যার (ধর্ষণ, চুরি, খুন ইত্যাদি) জন্ম দিচ্ছে। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ ভারত প্রভৃতি অনেকটাই ব্যর্থ যার মাসুল দিতে হচ্ছে জনগণকে। -
একরামুল হক ২০/০৮/২০১৭সুন্দর একটি ব্লক.....আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে সমাজকে সুন্দর করে তুলতে
-
কামরুজ্জামান সাদ ২০/০৮/২০১৭মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস!
-
ফয়েজ উল্লাহ রবি ১৯/০৮/২০১৭সুন্দর আহ্বান
নেশায় হারায় প্রাণ
তরুণ ফিরে এসো
শান্তি পাবে, প্রমাণ।