অস্তিত্ব সংকটে প্রধান বিরোধী দল
অতীতে এ দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিয়ে ইতিহাস বদলানোর অপচেষ্টা হয়েছিল। মিথ্যাচার করা হয়েছিল ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়েও। তারা ভুলে গিয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে কোনদিন বাংলার ইতিহাস রচনা করা যাবেনা, যায়নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এদেশ থেকে যারা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দেয়ার চেষ্টা করেছিল তারাই আজ অস্তিত্বের সংকটে পড়ে দিশেহারা। ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো এদেশের মাটিতে লুকিয়ে লুকিয়ে ঘুরে বেড়ায়, এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির এসব কর্মকান্ডের কারণেই দলটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। বাঙ্গালি রাজনীতিবিদদের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন, কৃত্রিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের টিকে থাকার জন্য জন্ম হয়নি। পাকিস্তান ছিল ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত দুটি জাতির একটি কৃত্রিম রাষ্ট্র। তবে এ রাষ্ট্র দুটির ভাষা, সংস্কৃতি এবং আচার-আচরণ ছিল ভিন্ন। ভৌগলিকভাবে কৃত্রিম এ রাষ্ট্র দুটির মধ্যে দূরত্ব ছিল প্রায় ১২০০ কিলোমিটার। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হবার পর পরই সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ভাষার ওপর আঘাত আসে। নানা টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙ্গালি জাতির স্বাধীনতার সনদ ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর সুচিন্তিত নেতৃত্ব এবং আন্দোলন জাতিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ যুগ যুগ ধরে এ দেশের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে একটি দিক নিদের্শনা দিবে এবং তারা এই মহান নেতাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে চিরকাল। কিন্তু যারা স্বাধীনতার বিরোধী, দেশকে পরাধীন করতে চেয়েছিল তারা এখন একের পর এক নতুন ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। সম্প্রতি তারা দেশের জঙ্গি নিধন কাজে বাধা দেয়ার জন্য নানা অপপ্রচার করছে, তারা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তুলে নেয়া, খুন, গুম, একের পর এক জঙ্গি আস্তানার সন্ধান ও অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় সকল অপারেশন ভুয়া ও বানোয়াট। এটা নাকি জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়া। একের পর এক সাজানো হচ্ছে মিথ্যাচার, তবে পরবর্তীতে আবার সেগুলোর সঠিকতার সত্যতাও প্রমাণিত হচ্ছে জনসন্মুখে। ভারতের তিস্তা চুক্তি নিয়ে তারা নানা ষড়যন্ত্র সাজিয়েছিল কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর লাইভ জবাবে তাদের সকল ষড়যন্ত্র শেষ হয়েছে। বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী ও কার্যকরী পদক্ষেপে দেশ যখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই ঐ দলটি তাদের বিদেশি বন্ধুদের ইচ্ছা পূরণে ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। বিএনপি-জামায়াত চক্র বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ধারায় নিয়ে যেতে চায়। তবে তাদের ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত এদেশের সচেতন জনগণ কখনই সফল হতে দেবে না। অনেক খুনী, কিলারদের বিচার যেমন এদেশের মাটিতে হয়েছে, একইভাবে দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী বিএনপি-জামায়াতের বিচারও বাংলাদেশের মাটিতেই হবে। বর্তমান সরকার দেশের বিদ্যুৎ সঙ্কটের সমাধান করেছে। জঙ্গিবাদ দমন করেছে। শ্রমিকের স্বার্থে বন্ধ মিল-কলকারখানা খুলে দিয়েছে। কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে। আগামী দিনেও বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোট এক সঙ্গে আছে এবং আগামীতেও থাকবে। ঐক্যবদ্ধ থেকে তারা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্রের সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত, মিথ্যাচার রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবে। জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্যই অতীতে ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বিএনপি ইতিহাস বিকৃতি ও নানা মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছিল। তবে তাদের আসল চেহারা বাংলাদেশের মানুষ চিনে গেছে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনেই ইতিহাস বিকৃতকারী, অর্থ পাচারের দায়ে অভিযুক্ত তারেক রহমানসহ দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সকল শ্রেনি পেশার মানুষকে দলমত নির্বিশেষে কাজ করতে হবে। তাহলেই অস্তিত্বের সংকটে পড়বে তারা আর দেশে বিরাজ করবে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।