জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের ‘অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট গঠন করছে সরকার
দেশের অগ্রগতি ও নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের অন্তরায় হচ্ছে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গি দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে। জঙ্গি দমনে কিংবা সন্ত্রাস দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও প্রসারও বেড়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের সময় সন্ত্রাস দমনে র্যাদব প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে ব্যয় বেড়েছে। সরকারও এ বিষয়ে মনোযোগ দিয়েছে। দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ বাস্তবায়নকে সামনে রেখে পুলিশের আরও একটি অত্যাধুনিক অস্ত্র ও প্রযুক্তি সজ্জিত বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করছে সরকার। ‘অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট’ নামের নতুন এ ইউনিটের ৫৮১টি পদ সৃজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সরকার এই বিশেষ ইউনিট গঠন করছে। ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট কাজ করছে। সঙ্গে এই ইউনিটটিও কাজ করবে। এই ইউনিটের কার্যক্রম সারাদেশেই থাকবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করার লক্ষ্যে সরকার নতুন এই ইউনিট গঠন করার পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০০৯ সাল থেকেই এই ইউনিট গঠনের প্রচেষ্টা চললেও নানা প্রতিকূলতার জন্য বাস্তবায়নে পুর্নাগতা পায়নি। তারই অংশ হিসেবে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জঙ্গি দমনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অধীনে ‘কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)’ নামে বিশেষ ইউনিট গঠন করা হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকায়ও জঙ্গিবিরোধী বেশ কয়েকটি অভিযানে সফলতা পায় সিটিটিসি। জঙ্গি দমনে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ বাস্তবায়নে দ্রুততার সঙ্গে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট গঠনের কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। নতুন এই ইউনিট আধুনিক বিশ্বের অত্যাধুনিক অস্ত্র ও প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। এতে করে বিশেষায়িত হিসেবে গড়ে উঠবে এই ইউনিট, যা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বিশেষ কার্যকর হবে। বর্তমানে অবয়বহীন এবং প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের লক্ষ্যে গতানুগতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনাকে পুনগর্ঠিত করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যক্রম পরিকল্পনা, মদদদাতা এবং বাস্তবায়নকারী অতি সূক্ষ্ম ও সুসমন্বিত পরিকল্পনায় তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয়, ধর্মীয় সংস্কৃতি অনুষ্ঠানগুলোর খোলা জায়গায় হাজার হাজার এবং মাঝে মাঝে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। এসব স্থানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং যেকোনো বিধ্বংসী কার্যক্রম প্রতিহত করার জন্য আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর একটি বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করা প্রয়োজন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই ইউনিট গঠন করা হচ্ছে। জনবল কাঠামোতে অতিরিক্ত আইজিপি-১, ডিআইজি-১, অতিরিক্ত ডিআইজি-২, পুলিশ সুপার-৫, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-১০, সহকারী পুলিশ সুপার-১২, ইন্সপেক্টর-৭৫, এসআই-১২৫, এএসআই-১৪০ ও কনস্টেবল-২০০ থাকবেন। প্রস্তাবিত পদগুলো প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনকৃত ৫০ হাজার পদের মধ্যেই রয়েছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আবুল খায়ের ১৬/১০/২০১৭valo
-
কামরুজ্জামান সাদ ০১/০৮/২০১৭সরকারের কিছু পদক্ষেপ আসলেই প্রশংসার দাবী রাখে।