দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি অনেক ভালো
বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি অনেক ভালো। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ভালো। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। তবে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জাপানের টোকিওভিত্তিক অনলাইন ইন্টারন্যাশনাল নিউজ ম্যাগাজিন দ্য ডিপ্লোমেটে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার রাজনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। আবহাওয়ার দূরবর্তী সতর্ক সংকেতের ক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ এবং দুর্গত মানুষ ও প্রকৃতির পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ভালো। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জনগণের জান-মাল রক্ষায় বাংলাদেশের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ এমনিতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। এ দেশের অবস্থান বঙ্গোপসাগরের উষ্ণ পানির অভিমুখে। তাই প্রতিবছর এখানে প্রলয়ঙ্করী ঝড় বয়ে যায়। বাংলাদেশের অধিকাংশ ভূমি এবং এর ১৬ কোটি মানুষের একটি উল্লেখযোগ্য অংশই সমুদ্রপৃষ্টের ৪০ ফুটের সামান্য ওপরে বসবাস করে। ফলে বাংলাদেশ ইতিহাসের সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়গুলির বেশ কয়েকটির শিকার হয়েছে। ১৯৭০ সালে এক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশে আনুমানিক তিন লাখ লোক নিহত হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ তার আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করতে শুরু করে। ফলে বাংলাদেশ পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়গুলোর ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশের দুর্যোগ প্রস্তুতি পরিকল্পনার অন্যতম স্তম্ভ হলো ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি, যা প্রণীত হয়েছে বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও বাংলাদেশের ক্রিসেন্ট সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে। এই কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ তার নাগরিকদের ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে অবহিত করে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের কয়েকটি উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’ বয়ে যাওয়া পর এই আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থাটি চূড়ান্তভাবে পরীক্ষা করা হয়। প্রচণ্ড গতিতে বয়ে যাওয়া এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দ্রুত সাড়া দেয়ার বিষয়টি আবশ্যক হয়ে পড়েছিল। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমে যায়। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয় দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি অনেক ভালো।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।