www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কৌশলে ব্যর্থ হয়ে আঁধারে ঢেকে আছে রাজনৈতিক ভবিষ্যত

নানা হটকারিতা, অদূরদর্শীতা আর অপ-রাজনীতিতে আস্থার কারণে বিগত দিনগুলিতে বিএনপি তার সকল রাজনৈতিক কৌশলেই ব্যর্থ হয়েছে। সেই ব্যর্থতার দায় এড়াতে দেশ ছেড়ে এখন বিদেশে গিয়ে নতুন ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে দলীয় চেয়ারপারসন। এই দলটির চেয়ারপারসন থেকে শুরু করে সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, সকলেই নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দলের চেয়ারপারসন লন্ডনে গিয়ে জঙ্গি সংশ্লিষ্ট ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছেন। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে অনুমান করা যায় তিনি লন্ডনে শুধু চিকিৎসা করাতে যাননি, সেখানে তিনি শুধুমাত্র নাতি-নাতনিদের সঙ্গে অবসর সময় কাটাচ্ছেন না। তিনি সেখানে দেশের বিরুদ্ধে, দেশের জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতেছেন। বিএনপির রাজনীতি হলো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি, এ কারণেই তারা এখন জনগণের কাছ থেকে দূরে চলে গেছে। খালেদা জিয়া জানেন এদেশের জনগণ নির্বাচনে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করবে। ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে তাই এখন তিনি ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছেন। বিগত দিনগুলিতে বিএনপি চেয়ারপারসন তার বিভিন্ন মামলায় সর্বমোট ১৫০ দিন হাজিরা দেন নাই। তিনি আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আদালতের কোনো নির্দেশনা না নিয়েই বিদেশ গিয়েছেন। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনেই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত, প্রয়োজনে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা উচিত। বর্তমানে নিজেদের মধ্যে হানাহানির কারণে নিজেদেরই নানা হামলা-মামলায় জড়িয়ে পড়েছে বিএনপিসহ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। বিএনপির কর্মীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে, কে কখন কোন মামলায় জড়িয়ে পড়ে। অবিশ্বাস ও প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণেই দলটি মূলতঃ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। এ কারণে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম ক্রমশ স্থবির হয়ে পড়াতে মাঠ পর্যায়েও হতাশা বিরাজ করছে দলটির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে। আর এ কারণেই আগামীতে দেশে সরকার পতন আন্দোলন জোরদার হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। দলের বিভিন্ন স্তরের কয়েকজন নেতা-কর্মী বলেছেন, দীর্ঘদিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মীই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। ত্যাগী নেতা-কর্মীরা সঠিক মূল্যায়ন না পেয়ে দলীয় কাজে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। বর্তমানে দলটিতে কার্যত কোনো সাংগঠনিক তৎপরতা নেই। অনেক নেতা-কর্মীই গ্রেপ্তার ও মামলা এড়াতে আত্মগোপনে বা নিষ্ক্রিয় আছেন। কর্মসূচি নেই, নেই সাংগঠনিক তৎপরতা। দলীয় গ্রুপিং নিরসন করতে স্থানীয় ভাবে উদ্যোগ নিয়েও তারা সফল হতে পারছে না। বিভিন্ন ঘটনায় বিবৃতি দেয়া থেকে শুরু করে কর্মসূচি ঘোষণা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বাতিল বা স্থগিত করা-এসব নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে বিএনপি। আভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনের লক্ষ্যে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না দলটি। রাজনৈতিক অঙ্গনে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে একেবারেই নিস্তেজ অবস্থা বিএনপি’র। ক্ষমতার বলয় থেকে ছিটকে পড়া বিএনপির নেতাকর্মী ও তৃণমূলের সমর্থকরা গভীর হতাশায় নিমজ্জিত। ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে আসছে। আগ্রাসী এ দলটি এখন অস্তিত্ব রক্ষায় ব্যস্ত। সব মিলিয়ে এই রাজনৈতিক দলগুলোর যেটুকু কর্মকান্ড রয়েছে তা মূলত প্রেস রিলিজ ও বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সংসদে না থাকলেও বড় দল হিসেবে স্বীকৃত বিএনপির অবস্থা আজ বড়ই করুণ! স্থানীয় কর্মসূচি নেই, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির কোন প্রভাবও প্রতিফলিত হতে দেখা যাচ্ছে না। দলের নেতারা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত। বর্তমানে পাল্টাপাল্টি তো দূরের কথা স্বাভাবিক দিবসের কর্মসূচিতেও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দেখা মেলে না। মূলত কার্যকর রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণে ব্যর্থ হওয়াতেই বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যত গভীর আঁধারে ঢেকে রয়েছে।
বিষয়শ্রেণী: অন্যান্য
ব্লগটি ৭০৬ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৪/০৭/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast