সারাদেশে নির্মাণ করা হচ্ছে সাড়ে ১৯ হাজার স্কুলভবন
শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর। শিক্ষার উন্নয়ন ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থ বছরে সারাদেশে সাড়ে ১৯ হাজার স্কুলভবন নির্মিত হবে। উপজেলা পর্যায়ে চারতলা, জেলা পর্যায়ে আটতলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে দশতলা ভবন নির্মিত হবে। এসব ভবন উন্নত হবে, পানি থাকবে, টয়লেট থাকবে, প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা সুযোগ-সুবিধার ব্যাবস্থা থাকবে। ভবনগুলোতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। নতুন প্রজন্মকে ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেয়ার মতো দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের সাধারণ জ্ঞান অনেক। তারা বিশ্বমানের মেধার অধিকারী। আজকের জগৎ উন্মুক্ত, তাই বিশ্বমানের শিক্ষা অর্জন করলে তারা বিশ্বের যেকোন স্থানে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে। এ পর্যন্ত ৯৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ শিশুকে স্কুলে স্বাক্ষরতা দিতে সক্ষম হয়েছে , এবছর ৩৬ কোটির বেশি বই প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার মান আগের থেকে বাড়লেও আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করা। যার পূর্বশর্ত হচ্ছে গুণগত মানের শিক্ষক, শিক্ষার পরিবেশ ও শ্রেনী কক্ষের সুবিধা বাড়ানো। সরকার সব দিকেই নজর রাখছে। শিক্ষার মানোন্নয়নে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। আমাদের এমন কিছু শিক্ষক আছে যারা গোটা জগতের শিক্ষকদের সুনাম নষ্ট করছে। তারা স্কুলে না পড়িয়ে বাসায় পড়াচ্ছে। আবার টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীকে প্রশ্নের উত্তর বলে দিচ্ছে। এই ধরনের শিক্ষকদের মানবিক চরিত্রে উন্নয়ন করতে হবে। শিক্ষক জাতির বিবেক, জাতির কান্ডারী তাই তাদের পথভ্রষ্ট হলে চলবে না। তারা হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের দেখেই আমাদের সন্তানরা ভাল কিছু শিখবে। একজন শিক্ষার্থীর নিকট একজন ভাল শিক্ষকই হচ্ছে আইডল। তাই প্রতিটি শিক্ষককে হতে হবে একজন উত্তম চরিত্রের অধিকারী। তবেই আমাদের সমাজ আরও উন্নত থেকে উন্নততর হবে। যারা এখনো এ ধরনের কাজ করছে তারা আর এই পেশায় থাকতে পারে না, হয় তাদের নিজেদের পরিবর্তন করতে হবে নয় তাদেরকে বাধ্যতামুলকভাবে এই মহান পেশা থেকে বিতারিত করতে হবে। এছাড়াও উল্টা কিছু চিত্রও অনেক বাবা আবার সন্তানকে প্রশ্ন এনে দেন ভাল ফলাফলের আশায়। প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়ে ভাল ফলাফল হয়ত করা যায় কিন্তু বাস্তব জীবনে ভাল ফলাফল পাওয়া কোনমতেই সম্ভব নয়। তাই আসুন আমরা যার যার অবস্থান থেকে সরকারের প্রচেষ্টাকে সাফল্যমন্ডিত করতে এগিয়ে আসি। শিক্ষক কিংবা অভিভাবক সকলেরই দায়িত্ব একজন শিক্ষার্থীকে সঠিক পথে দিশা দেয়া। যাতে করে তারা আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠে দেশ ও জাতির কল্যানে কাজ করে যেতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ধ্রুবক ৩০/০৭/২০১৭ভালো কাজ।
-
এস এম আলমগীর হোসেন ২৩/০৭/২০১৭খুবই ভাল