গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের আলোকচিত্র ডাক টিকিটে
বাঙালির সবচেয়ে গৌরবময় ইতিহাস ১৯৭১। আর এই '৭১ এর সবচেয়ে বেদনাদায়ক স্মৃতি ৩০ লাখ শহীদ, অসংখ্য বর্বরোচিত, পৈশাচিক গণহত্যা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানী বাহিনী প্রথমবারের মতো সর্বশক্তি নিয়ে বড় ধরণের আঘাত হানে নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর। 'অপারেশন সার্চ লাইট' নামক সেই বিভৎস গণহত্যায় তারা স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিলো এ দেশের মুক্তিকামী জনতার স্বাধীনতার আকাঙ্খাকে। এই গণহত্যায় যারা প্রাণ দিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারি। এছাড়া পিলখানা ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনেও চলে সেনা অভিযান। ট্যাঙ্ক, মর্টার, মেশিনগানসহ ভারি অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সেখানে চালানো হয় সর্বাত্নক হামলা। বাঙালি ইপিআর (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস) জওয়ান ও পুলিশ সদস্যরা হালকা বন্দুক নিয়ে পাক-সেনাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেও তা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। অধিকাংশই মারা পড়েন এই প্রস্তুতিবিহীন প্রতিরোধ যুদ্ধে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের আলোকচিত্র নিয়ে সম্প্রতি ৭১টি স্মারকডাক টিকিট প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যমানের ৭১টি স্মারক ডাক টিকিট, প্রতিটি ৪০ টাকা মূল্যমানের ১৮টি স্যুভেনির শিট, ৭১ টাকা মূল্যমানের একটি বিশেষ উদ্বোধনী খাম, ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, ১০ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড এবং ৭১টি স্মারক ডাকটিকিট সম্বলিত ১৮টি স্যুভেনির শিটের সমন্বয়ে বিশেষ স্মারক ডাক টিকিট অ্যালবাম প্রকাশ করা হয়েছে। জিপিও ও দেশের অন্যান্য সকল ডাকঘর থেকে এগুলো বিক্রয় করা হচ্ছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অনির্বাণ সূর্যকান্ত ৩১/০৮/২০১৭আমাদের দেশ প্রেমিক দেশ বিরোধী সবার কয়েকবার করে চীনের ইতিহাস পড়া উচিত এবং চীন ভ্রমন করা উচিত।