আবার জেগে উঠেছে বাংলাদেশ
এ বছর কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সারাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদের সকল অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। দেশের মানুষ আনন্দমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করছে। দেশের প্রত্যেকে সচেতন হওয়ায় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদ উদযাপনে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদ প্রতিটি পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে এনেছে। হাসি-খুশি ও ঈদের আনন্দে ভরিয়া উঠেছে প্রতিটি প্রাণ। ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও আত্মসংযমের শিক্ষায় সমাজ হয় সুসংহত। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পরিবেশ পরিব্যাপ্তি ঘটেছে। আর এভাবেই বর্তমানে আমাদের দেশ ও দেশের জনগণ সামাজিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এগিয়ে যাচ্ছে। আবার জেগে উঠেছে বাংলাদেশ। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হবে। বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন হিসাবে একটি সমৃদ্ধশালী ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে লিঙ্গ, বয়স ও ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। বর্তমান সরকার জনগণের খাদ্য, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, গৃহায়ণ ও একটি সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কাজেই আসুন আমরাও সবাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে এগিয়ে আসি। বিপুল আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ এখন দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে। বাংলাদেশের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এই মর্যাদা হারিয়েছিল এবং উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয়েছিল। সেই বাংলাদেশ এখন আবার জেগে উঠেছে। দেশে ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য, ত্যাগ-তিতিক্ষায় হারানো মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে। বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতি আরো শক্তিশালী করতে সারাদেশে একশ’টি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করছে। কাজেই আগামীতে দেশে জনগণের জীবনযাত্রায় আরও অনেক পরিবর্তন আসবে এবং অচিরেই আমাদের দেশ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
তনুর ভাই ১৫/১১/২০১৭চলো বাংলাদেশ,চলো বহুদূর
-
সাঁঝের তারা ২৮/০৬/২০১৭স্বপ্ন বাস্তব হোক