সিমের তথ্য সংরক্ষণে চালু হচ্ছে কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার
মুঠোফোন সিমের তথ্য সংরক্ষণ ও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার চালু করছে সরকার। ‘সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম’ নামের এই তথ্যভান্ডারে আঙুলের ছাপ বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সব সিমের তথ্য জমা থাকবে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এই তথ্যভান্ডার পরিচালনা করবে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কেউ সিম কিনতে চাইলে তথ্যভান্ডার যাচাই করে দেখবে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে আগে কতটি সিম নিবন্ধিত আছে। যাচাইয়ে যদি দেখা যায়, প্রতিটি এনআইডির বিপরীতে ২০টি প্রিপেইড ও ৫টির বেশি পোস্টপেইড সিম আছে, তাহলে নতুন করে কোনো সিম কেনা যাবে না। মুঠোফোন অপারেটররা বিটিআরসির তথ্যভান্ডারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি সিম যাচাই ও নিবন্ধন করবে। এতে প্রতিটি এনআইডির বিপরীতে সব অপারেটর মিলিয়ে একজন গ্রাহকের কয়টি সিম রয়েছে, তা সহজেই বের করা যাবে। মুঠোফোন সংযোগের প্রকৃত সংখ্যাও এর মাধ্যমে সহজে জানা যাবে। কোনো নিবন্ধিত সিমের তথ্য নিয়ে সন্দেহ হলে বিটিআরসি তা যাচাই করে নিতে পারবে। এভাবে এই ব্যবস্থা চালু হলে জানা যাবে, একটি এনআইডির বিপরীতে ২০টির বেশি সিম আছে কি না। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে অবহিত করা হবে, ২০টির বেশি সিম থাকলে বাকি সিমগুলো বন্ধ করতে হবে। গ্রাহক না করলে বিটিআরসি নিজ উদ্যোগে সেসব সিম বন্ধ করে দেবে। গত ৩০ মে পর্যন্ত দেশে সর্ব মোট ১৩ কোটি ৩১ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে। এই তথ্য ভান্ডার ব্যবহার করে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যাবে, কোন এনআইডির বিপরীতে কোন অপারেটর কতগুলো সিম বিক্রি করছে। তবে এতে গ্রাহকদের কোনো প্রকার সমস্যা হবে না। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। গত বছরের ৩১ মে এই প্রক্রিয়ায় সিম পুনর্নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হয়। বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে নিশ্ছিদ্র করার পদক্ষেপ হিসেবেই এই তথ্যভান্ডার চালু করা হচ্ছে। এই তথ্যভান্ডারে সব মুঠোফোন অপারেটরই যুক্ত হয়েছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ৩০/০৪/২০১৮ভাল
-
মোনালিসা ১৬/০৬/২০১৭খুব ভাল