আকাশ পথে নব দিগন্ত
দেশের বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতেই পৃথক করা হচ্ছে সিভিল এভিয়েশনের রেগুলেটর ও সার্ভিস প্রোভাইডার। বর্তমানে এ দুটো কাজ একাই করছে সিভিল এভিয়েশন। এতে এয়ারপোর্ট ও এয়ারপোর্টগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যাচ্ছে না। যেমন বিমান সংস্থাগুলোকে বিমানবন্দর ব্যবহারের অবকাঠামোগতসহ অন্যান্য সেবা নিশ্চিত করে সিভিল এভিয়েশন। এখন বিমান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ এয়ারলাইন্সগুলো কোন শর্ত ভঙ্গ করলে সিভিল এভিয়েশন কোন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে না। একইভাবে সিভিল এভিয়েশনের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকা বিমানবন্দরের কোন রুলস যদি লঙ্ঘন করা হয়, তারও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হয় সিভিল এভিয়েশনকে। কিন্তু সেটা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হচ্ছে না। কারণ রেগুলেটর ও সার্ভিস প্রোভাইডার একই প্রতিষ্ঠান; সিভিল এভিয়েশনের অধীন। এ অবস্থায় সিভিল এভিয়েশন দুভাগ হয়ে গেলে এ ক্ষেত্রে আন্তজার্তিক মান বজায় রাখা সহজ হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যেই এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। বর্তমান সিভিল এভিয়েশনকে দুভাগ করার পর একটি থাকবে রেগুলেটর বডি হিসেবে যার কাজই হবে শুধু এয়ারপোর্ট ও এয়ারলাইন্সগুলো ঠিকমতো আইন মেনে কাজ করছে কিনা সেটা তদারকি করা ও শাস্তি দেয়া। আবার সার্ভিস প্রোভাইডারের কাজ হবে দেশের সকল বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা, অপারেশনাল কার্যক্রম, প্রকৌশল বিভাগের উন্নয়ন-সংস্কার কার্যক্রম, কমিউনিকেশনসহ সব ধরনের সেবা সুনিশ্চিত করা। এ ছাড়া থাকবে বিমানবন্দরে যে কোন ধরনের বিমান দুর্ঘটনা তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন ‘বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত বোর্ড’। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইকাও) এবং ফেডারেল এভিয়েশন এডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)-এর সুপারিশে সিভিল এভিয়েশন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। দেশের বেসামরিক বিমান চলাচল ও বিমান বন্দরগুলোর দ্রুত উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজে গতি বৃদ্ধির লক্ষ্যেই সরকার সিভিল এভিয়েশনকে দুভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোন বিমানবন্দরে ফ্লাইট অপারেশনের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী, স্বল্প মেয়াদী ও তাৎক্ষণিক উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের প্রয়োজন হয়। বিমানবন্দরের রানওয়ে বৃদ্ধি, লাইটিং সিস্টেম, রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তা বাউন্ডারিসহ প্রয়োজনীয় সকল কাজ দ্রুত করার লক্ষ্যেই সিভিল এভিয়েশন থেকে আলাদা করে এয়ারপোর্ট অথরিটি নামের নতুন সংস্থাটি করতে যাচ্ছে সরকার। এ সংস্থার অধীনে থাকবে প্রকৌশল বিভাগ, নিরাপত্তা বিভাগ এবং অন্যান্য সার্ভিস প্রোভাইডিং কার্যক্রম। এ জন্য নতুন করে জনবল নিয়োগসহ বিভিন্ন বিভাগকে ঢেলে সাজানো হবে। সিভিল এভিয়েশন শুধু রেগুলেটর বা প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এতে করে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলো ও আকাশপথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরশ ১৩/০৬/২০১৭আপনি খুব ভাল লিখেন
-
রুবেল চন্দ্র দাস ১২/০৬/২০১৭Aponar naam ta amar onek prio
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১২/০৬/২০১৭ভালো লাগলো।