কর্মসংস্থান বাড়ার নতুন সম্ভাবনা
কর্মসংস্থান বাড়াতে প্রস্তাবিত বাজেটে আত্ম-কর্মসংস্থানের দিকে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। কর্মসংস্থান বাড়াতে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ প্রস্তাব ৯ মাসের মধ্যে কার্যকর করার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। দেশের শ্রম বাজারে প্রতিবছর ২০ লাখ শ্রমশক্তি যুক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে কর্মসংস্থান হচ্ছে ১৬ লাখ কর্মীর। বাকি ৪ লাখ শ্রমিকের বিদেশে কর্মসংস্থান হচ্ছে। গত অর্থবছর শেষে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৩ শতাংশ যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগের বাধাসমূহ অপসারণে সরকারী উদ্যোগ, সুদের নিম্নগতি প্রভৃতি কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে এসেছে। আর এ কারণে বর্তমানে দেশে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগে গতিশীলতা তৈরির পাশাপাশি কর্মসংস্থান বাড়ার নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মোট বিনিয়োগ ছিল জিডিপির ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ, যেখানে সরকারী খাতের বিনিয়োগ ছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। সরকার ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোট বিনিয়োগকে জিডিপির ৩১ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত করতে চায়। শ্রম বাজারে ২০ লাখ শ্রমশক্তি যুক্ত হচ্ছে প্রতিবছর। এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থানের চাহিদা রয়েছে ১৬ লাখ। বিপুল এই জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান তৈরিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়ে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই কর্মসংস্থান বাড়বে। তবে বর্তমান অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তন জোরদার হচ্ছে। জিডিপিতে শিল্প ও সেবা খাতের হিস্যা দিন দিন বাড়ছে। কৃষির যান্ত্রিকীকরণসহ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় মূলধনঘন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তৈরি পোশাক খাত কর্মসংস্থান সৃষ্টির অন্যতম বড় খাত। এছাড়া সেবা খাতে প্রায় ৩৭ শতাংশ কর্মসংস্থান হয়ে থাকে। গত দুই বছরে বাংলাদেশের শ্রমবাজারে পুরুষের তুলনায় নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। এ লক্ষ্যে সরকারীভাবে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান ও ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচীর মাধ্যমে আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণে জোর দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বহির্বিশ্বে শ্রম বাজার সম্প্রসারণের জন্য বেশকিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারী পর্যায়ে শ্রম কূটনীতির প্রয়োগ নিশ্চিতসহ শ্রম বাজার অন্বেষণে বেসরকারী খাতকে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রেজাউল আবেদীন ১৪/০৬/২০১৭ভাল তথ্য।
-
কাফাশ মুনহামাননা ১২/০৬/২০১৭ভাল উদ্যোগ