বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বসানো হয়েছে প্রযুক্তি নির্ভর সরঞ্জাম
সম্প্রতি চোরাচালানসহ সীমান্তকেন্দ্রিক অপরাধ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্তকেন্দ্রিক অপরাধ কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বসানো হয়েছে প্রযুক্তি নির্ভর সরঞ্জাম। এসব সরঞ্জামের মাধ্যমে সীমান্তের অনেক কিছুই ঢাকায় বসে মনিটরিং করা সম্ভব হবে। ইতোমধ্যেই যেসব স্পটে চোরাচালান ও অন্যান্য অপরাধ সংঘটিত হয়, সেসব জায়গায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। পাশাপাশি চলছে বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের যৌথ টহল। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ মে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি প্রযুক্তি নির্ভর সীমান্ত ব্যবস্থাপনা চালু করেছে। সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বিজিবি সদর দফতরে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বড় পর্দার মনিটরিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এমন সিস্টেম চালুর ফলে সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যদের কার্যক্রম মনিটরিং ও তদারকি করা সহজ হবে। এই সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে প্রত্যেক বিজিবি সদস্যকে। সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যরা যেকোন ধরনের অসুবিধার কথা তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবি সদর দফতরকে অবহিত করতে পারবেন। পাশাপাশি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বা ভিডিও কলের মাধ্যমে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টগুলো দেখা যাবে। যেকোন পরিস্থিতিতে কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া সম্ভব হবে। যা সীমান্তকেন্দ্রিক অপরাধ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। প্রযুক্তির কারণে সীমান্তের যেসব পয়েন্ট দিয়ে অস্ত্র, মাদক ও নারী শিশু পাচার হয়, সেসব পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করা আরও সহজ হবে। পয়েন্টগুলোতে প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বা ভিডিও দেখে সহজেই এ ধরনের অপরাধীদের শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনা সহজ হবে। সীমান্তের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিজিবি সদস্যের সংখ্যা আট হাজার থেকে বাড়িয়ে পনেরো হাজার করার পরিকল্পনা চলছে। মিয়ানমার সীমান্ত আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করতে রামু রিজিওন গঠনের কাজ চলছে। সীমান্ত পুরোপুরি সুরক্ষা করা সম্ভব হলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরও এগিয়ে যাবে। যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরও গতিশীল হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।