আট বছরে ওষুধ রফতানি বেড়েছে সাতগুণ
স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশে ওষুধপ্রাপ্তি মূলত আমদানির ওপর নির্ভরশীল ছিল। ফলে অনেক উচ্চ মূল্যে জনগণকে ওষুধ ক্রয় করতে হত। কিন্তু বাংলাদেশ বর্তমানে দেশের চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশে উৎপাদন করছে। বর্তমানে শুধুমাত্র কিছু হাইটেক প্রোডাক্ট যেমন ব্লাড বায়োসিমিলার, অ্যান্টিক্যান্সার ড্রাগ ও ভ্যাকসিন ইত্যাদি আমদানি হয়। বর্তমান সরকারের আমলে গত আট বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওষুধ রফতানির পরিমাণ সাতগুণ বেড়েছে। ২০০৯ সালে ৭৩টি দেশে ওষুধ রফতানির পরিমাণ ছিল ৩শ’ ৪৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ২০১৬ সালে এসে ১২৭টি দেশে ওষুধ রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২শ’ ৪৭ কোটি পাঁচ লাখ টাকায়। বর্তমানে বাংলাদেশের ৫৪টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল ইউরোপ ও আমেরিকাসহ মোট ১২৭টি দেশে রফতানি করছে এবং সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় রফতানির পরিমাণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বছরওয়ারি ওষুধ রফতানির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে ৩শ’ ৪৭ কোটি ১৭ লাখ, ২০১০ সালে ৩শ’ ৩২ কোটি ৫৫ লাখ, ২০১১ সালে ৪শ’ ২৬ কোটি ১৫ লাখ, ২০১২ সালে ৫শ’ ৫১ কোটি ২২ লাখ, ২০১৩ সালে ৬শ’ ১৯ কোটি ৯৩ লাখ, ২০১৪ সালে ৭শ’ ৩৩ কোটি ২৭ লাখ, ২০১৫ সালে এক হাজার আট কোটি আট লাখ ও ২০১৬ সালে দুই হাজার ২শ’ ৪৭ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ওষুধ আমদানিকারক দেশ থেকে রফতানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে এবং সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ওষুধ সুনাম অর্জন করেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুল হক ০৬/০৬/২০১৭সঠিক তারকি না থাকলে ধংশ বেশ দূরে নয়! ছোট লিখা! বেশ সুন্দর লেগেছে। ধন্যবাদ!