ক্ষমতা ভাগাভাগি দ্বন্দ্বের রাজনীতি
সময় যতো গড়াচ্ছে খালেদা-তারেক সম্পর্ক ততোই তিক্ত হচ্ছে। এই তিক্ততার শুরু মূলত ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের পর থেকে। যিনি তারেক সমর্থক তার ছায়াটিও মাড়াতে চান না খালেদা জিয়া আর খালেদা জিয়ার সমর্থকেরা তারেক। আর এভাবেই দিন দিন ভেঙ্গে যাচ্ছে দলের কাঠামো। সম্প্রতি বিএনপির ‘ভিশন-২০৩০’ ঘোষণার পরে বেগম খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে খালেদা জিয়াকে আবারো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আশা ব্যক্ত করলে বাঁধ সাজে তারেকপন্থী নেতারা। এই নেতারা খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। হতবম্ভ হয়ে যান খালেদা জিয়া। দলের নেতা কর্মীদের কাছ থেকে এমন প্রস্তাবে নিস্তব্ধতা ছড়িয়ে পড়ে পুরো সভাকক্ষ জুড়ে। কিন্তু তারেকপন্থীরা তাদের সিদ্ধান্তে অটল। তারা তারেক ছাড়া আর কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান না। বসে নেই খালেদাপন্থী রাজনীতিবিদেরাও। তারা তারেককে ‘দুর্নীতিবাজ’ আখ্যা দিয়ে হৈচৈ করতে শুরু করে। হৈচৈ রুপ নেয় হাতাহাতিতে। হাতাহাতি যখন চরমে তার এক পর্যায়ে খালেদা জিয়া সভা বন্ধ করার ঘোষণা দেন। কিন্তু তারেকপন্থী নেতারা এর একটা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সভাকক্ষ ছাড়বেননা বলে হুশিয়ারি দেন। যার ফলে খালেদা জিয়া তাদের কথা শুনতে বাধ্য হয়। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কে হচ্ছে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী এর কোন সুরাহা না করেই ঐদিনের মতো সভাকক্ষ ত্যাগ করেছিলেন খালেদা জিয়া। এই ক্ষমতার জন্যেই কি অন্তঃকোন্দলেই শেষ হবে বিএনপি?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আলম সারওয়ার ২২/০৫/২০১৭অসাধারণ একটি উপহার কবিকে শুভেচ্ছা থাকল আমার
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২০/০৫/২০১৭ভালো ল্যাঠা দেখি!
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২০/০৫/২০১৭ভালো।