গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে আরো এক হাজার ২৯টি হেলথ কমিউনিটি ক্লিনিক
দেশে আরো নূতন এক হাজার ২৯টি হেলথ কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করার পদক্ষেপ গ্রহন করেছে সরকার। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে সরকার যে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, কমিউনিটি ক্লিনিকের এই সমপ্রসারণ নীতি তারই বহিঃপ্রকাশ। নূতন করে হেলথ কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের পাশাপাশি পুরাতনগুলির মধ্যে প্রায় দুই হাজার ক্লিনিকের সংস্কার ও নবরূপায়নের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ সুদূরপ্রসারী ফলদায়ক হবে। কেননা দেশের বিভিন্ন স্থানের কমিউনিটি ক্লিনিকের নানা অবকাঠামোগত সমস্যা এখনো বিদ্যমান যেমন—কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ নাই, শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযোগী, নলকূপগুলি অকেজো ইত্যাদি। সংস্কার কর্মসূচির মাধ্যমে এইসব সমস্যার সুরাহা হবে বলে আশা করা যায়। উল্লেখ্য ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারেরই আমলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের আওতায় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সিএইচসি ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছিল। মাঝখানে সাত বছর এই প্রকল্পটি বন্ধ থাকায় দেখা দেয় নানা সমস্যা ও জটিলতা। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় আসার পর ভবনগুলি ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হয়। নিয়োগ দেওয়া হয় জনবলও। বর্তমানে নারী স্বাস্থ্যকর্মীরা সিএমবিএ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন করছে দক্ষতার সাথে। প্রায় ১৫ শত ক্লিনিকে নিরাপদে সাধারণ প্রসব সম্পন্ন হচ্ছে সফলভাবে। তৃণমূলে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলি দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠাও এটি অন্যতম প্রধান কারণ। এখানে এখন ৩২ রকমের ঔষধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিক এখন বিশ্বে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এই সাফল্য বাংলাদেশকে একটি গর্বিত রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আলম সারওয়ার ১৮/০৫/২০১৭খুবই ভালো লাগে
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৮/০৫/২০১৭ভালো উদ্যোগ। সাধুবাদ জানাই।
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৮/০৫/২০১৭বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।