মাথাল তৈরি করে স্বাবলম্বী ৪০টি পরিবার
ক্ষেত-খামারে কাজ করতে হলে রোদ আর বৃষ্টির সম্মুখীন হতে হয়। তাই বাংলাদেশের কৃষকরা এ থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করেন মাথাল। হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার পূর্ব রুপশংকর গ্রামে মাথাল তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে অন্তত ৪০টি পরিবার। এসব পরিবারের পুরুষরা বাঁশ সংগ্রহ করে চেরাই কাজে সহায়তা করছেন। আর নারীরা গৃহের কাজের ফাঁকে ফাঁকে তা দিয়ে মাথাল তৈরি করছেন। তারা পাইকারের কাছে একটি মাথাল বিক্রি করছেন ৪০ টাকায়। আর পাইকারি ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছে প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা বিক্রি করছেন। মাথাল ব্যবহারের সুবিধা হচ্ছে, এটি ব্যবহারের জন্য হাত দিয়ে একে ধরে থাকার প্রয়োজন হয় না। কাজের সময় মাথায় আপনা আপনি রেখে দেওয়া যায়। মাথালকে কেউ বাঁশের টুপি আবার কেউবা বাঁশের ছাতাও বলেন। বাঁশ চিরে চমৎকার বুননে তৈরি করা হয় মাথাল। বৃষ্টির পানি রুখতে এর মধ্যে তার বা গুনায় জড়িয়ে দেওয়া হয় চিপস্-এর পরিত্যক্ত ফয়েল। মাথাল তৈরি করে এ গ্রামের নারীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এতে সংশ্লিষ্ট পরিবারেও সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। আমরা চাই নারীরা গৃহের কাজের পাশাপাশি নিজেরা মিলে আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলুক।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহাম্মদ রাসেল প্রধান ২৫/০৪/২০১৭উদ্যোগ টা ভাল
-
সোহেল রানা আশিক ২১/০৪/২০১৭ভাল লাগল
-
সাঁঝের তারা ২০/০৪/২০১৭সুন্দর উদ্দ্যোগ!
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২০/০৪/২০১৭আন্তরিক ধন্যবাদ।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২০/০৪/২০১৭মাথালশিল্প আবার জেগে উঠুক।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ২০/০৪/২০১৭বাংলার কারু শিল্প!!!