www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কোনো সন্দেহের অবকাশ আছে কী

স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের প্রথম বাজেট ঘোষণা করেছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ,  বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা। তারপর পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় বয়ে গেছে অনেকে পানি, সময়ের পরিক্রমায় প্রতিবছরই বেড়েছে বাজেটের আকার, বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের অথনৈতিক কর্মকান্ড। তবে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের আকার আর পরিধির বিস্তৃতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা ২০০৯ সাল বর্তমান মহাজোট সরকারের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকেই। ২০০৯-১০ থেকে চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত টানা ৮টি বাজেট পেশ করেছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তার সময়েই বাজেটের আকার হাজার কোটি থেকে লাখ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাজেটের আকার প্রথমবারের মতো লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। ঐ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাজেটের আকার হবে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে আলোচ্য ৯ অর্থবছরে বাজেটের আকার বেড়েছে ২৮০ শতাংশ। বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসেই বাজেটে বড় ধরনের পরিবর্তন আনে, পরিবর্তন আনে রাজস্ব আহরণেও। ২০১০-১১ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার ১১ কোটি টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছরে ১ লাখ ৬১ হাজার ২১৩ কোটি, ২০১২-১৩ বছরে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩২৬ কোটি, ২০১৩-১৪ বছরে ২ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় বাজেট। ঐ বছর বাজেটের আকার ছিল ২ লাখ ১৬ হাজার ২২২ কোটি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬৮ কোটি, ২০১৫-১৬ বছরে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬৫ কোটি এবং চলতি অর্থবছরে বাজেট প্রথমবারের মতো ৩ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের সম্ভাব্য আকার হতে পারে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। তবে বাজেটের আকার বাড়লেও এখনো তা শতভাগ বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ২০১০-১১ অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়নের হার ছিল ৯৭ দশমিক ০৬ শতাংশ। ২০১১-১২ অর্থবছরে ৯৩ দশমিক ১৮, ২০১২-১৩ অর্থবছর ৯০ দশমিক ৭৬, ২০১৩-১৪ বছরে ৮৪ দশমিক ৫৯, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৮১ দশমিক ৫৯ এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৭৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রথমদিকে সরকারের এই বিশাল বাজেটের প্রাক্কলন নিয়ে এ দেশের কিছু উন্নাসিক আর চিহ্নিত রাজনৈতিক অপশক্তি হাস্যরসের অবতারণা করতো। তবে সরকারের সুদূরপ্রসারী ভাবনা আর সময়োপযোগী উদ্যোগের সুষ্ঠু সমন্বয় ক্রমশঃ এর শতভাগ বাস্তবতা প্রমাণে সক্ষম হয়েছে। মূলত রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকেই বর্তমান সরকারের বাস্তবতাপ্রসূত জনবান্ধব অর্থনৈতিক নীতির সাফল্যে প্রতিনিয়ত সম্প্রসারিত হয়ে চলেছে দেশের সার্বিক অর্থনীতি আর দেশের অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে বাজেটের আকার। একই সাথে সরকার সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তৎপর বলেই বাজেটের গুণগত মান নিশ্চিত এবং শতভাগ বাস্তবায়নের সূচকেও দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে, বিভিন্ন প্রকল্প শেষ হচ্ছে নির্ধারিত সময়ে। সরকারের আন্তরিকতার এই ধারাবাহিকতায় আগামীতে দেশবাসী উপভোগ করবে বাজেটের শতভাগ সুফল, এটাই বাস্তবতা। বাজেটে বেড়েছে বিগত ৯ বছরে ২৮০ ভাগ – দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে আর কোনো সন্দেহের অবকাশ আছে কী? দেশীয় কুলাঙ্গার আর ছিদ্রান্বেষীরা এবার কী বলবেন?
বিষয়শ্রেণী: অন্যান্য
ব্লগটি ৭৮৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৮/০৪/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast