এক মহিয়ষী নারীর গল্প
প্রযুক্তি, বাণিজ্য ও উদ্ভাবনে এগিয়ে আসতে হবে নারীদের এমনটাই তার ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের সুমাইয়া জাফরিন চৌধুরী। একজন গুগল লোকাল গাইডস হিসেবে তিনি গুগল ম্যাপে অবদান রেখে যাচ্ছেন। স্যান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত প্রথম লোকাল গাইডস সামিটে ৩৭ দেশ থেকে নির্বাচিত হওয়া ৭৫ জনের একজন ছিলেন সুমাইয়া জাফরিন। সুমাইয়া জাফরিন চৌধুরী সারা বিশ্বের নারীদের জন্য অনুপ্রেরণা। গুগল লোকাল গাইডস গুগলের একটি পরিসেবা। এ ছাড়া একজন সমাজকর্মী হিসেবে সমাজে যেসব নারী তার চেয়ে কম ভাগ্যবতী, বিশেষ করে ওইসব নারীকে তিনি সাহায্য করেন। তিনি নারীর স্বাধীনতা, সাম্য ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রযুক্তি, বাণিজ্য ও উদ্ভাবনে এগিয়ে আসতে হবে নারীদের এমনটাই তার ভাবনা। গুগল ম্যাপের মাধ্যমে সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে চান। শুরু থেকেই সুমাইয়া জাফরিন গুগল লোকাল গাইডসে কাজ শুরু করেন। ২০১৬ সালে সান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত প্রথম লোকাল গাইডস সামিটের জন্য বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হন সুমাইয়া জাফরিন। এই সামিটে সারা বিশ্ব থেকে ৭৫ জন টপ লোকাল গাইডস নির্বাচন করা হয়। তিনি তাদের মধ্যে একজন হন। সুমাইয়া দিনাজপুর লোকাল গাইডসের মডারেটর ও ময়মনসিংহ লোকাল গাইডসের একজন কমিউনিটি মডারেটর। গুগল ম্যাপে ছবি, মানসম্মত রিভিও কন্ট্রিবিউশনে সবার চেয়ে এগিয়ে এই প্রতিভাবান নারী। তার কমিউনিটি ওয়ার্কগুলো যেমন বাংলাদেশে গুগল ম্যাপ উন্নয়নে কন্ট্রিবিউশন, বাংলাদেশে গুগল লোকাল গাইডসের মিট আপ আয়োজন করা, গুগল লোকাল গাইডস কানেক্ট (গুগল লোকাল গাইডসের অফিসিয়াল ফোরাম) এ নিয়মিত অবদান রাখা, সামাজিক কার্যক্রম, নারীর স্বাধীনতা, সমতা ও উন্নয়নে কাজ করে যাওয়া, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তা তৈরি, নারীদের উদ্ভাবন ও নারী স্বাস্থ্য সচেতনার সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া ইত্যাদি। সুমাইয়া জন্মগ্রহণ করেন দিনাজপুরের এক জমিদার পরিবারে। বাবার কাজের সুবাদে সপরিবারে সৌদি আরবে চলে যান মাত্র পাঁচ বছর বয়সে। সেখান থেকে ‘এ’ লেভেল শেষ করে ফিরে আসেন দেশে। ভর্তি হন ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজে। মানুষের জন্য কিছু করায় বর্তমানে তার ধ্যানজ্ঞান। এডুকেশন ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন হিউম্যান এইড বাংলাদেশের হয়ে। হিউম্যান এইড বাংলাদেশের উদ্যোগে ঢাকার কল্যাণপুর বস্তিতে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের জন্য ‘টুনাটুনির পাঠশালা’ নামে একটি পাঠশালা প্রতিষ্ঠা করা হয়। সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত শিশুরাই এই পাঠশালার শিক্ষার্থী। বর্তমানে ২০০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে এই পাঠশালা তাদের পাঠদান কাজ করে যাচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের কেউ বসবাস করে কল্যাণপুর বস্তিতে আবার কেউ থাকে রাস্তায়। সুমাইয়া জাফরিন আবার কমিউনিকেশন ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন স্বাধীনতা ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেন্টারের হয়ে। এদিকে প্রতি বছর শীত বস্ত্র বিতরণ করতে দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে চলেন সুমাইয়া। এসবের মাঝেই গুগুল লোকাল গাইডের দিনাজপুরের মডারেটর ও অওনার হিসেবে কাজ করছেন সুমাইয়া। আবার কমিউনিটি মডারেটর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন ময়মনসিংহ লোকাল গাইডসের হয়ে। এভাবে দেশের ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দিনাজপুরের এক মহিয়ষী নারী সুমাইয়া জাফরিন চৌধুরী।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রাজা অধিকারী ০২/০৫/২০১৭খুব ভালো
-
সাঁঝের তারা ১৯/০৪/২০১৭খুব ভাল খবর। আরো অনেকে এভাবে এগিয়ে আসুক...
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৬/০৪/২০১৭সুমাইয়ায়া এগিয়ে যাক এটাই চাই।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১৬/০৪/২০১৭সুমাইয়ারা এভাবেই এগিয়ে যাক দেশকে নিয়ে সাথে।
আমি গর্বিত, আমি সুমাইয়ার দেশে জন্মেছি।
ধন্যবাদ বন্ধু আপনার লেখার জন্য। ভালো থাকবেন আর ভালো লিখবেন এই প্রত্যাশা।
ইতি-
আপনারই ব্লগমেট
ইমরান হোসেন (ঢাকা থেকে)।