শব্দ ভীতি আর কত দিন
আমরা বাঙ্গালীরা কিভাবে, আর কতভাবে একে অপরকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে থাকি। ব্যাপারগুলো ঘর থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত বিস্তৃত। বেশি দিন হবেনা আনুমানিক এক থেকে দেড় যুগ আগেও দেখেছি আমাদের দেশের শিক্ষার হার তলানির দিকে। আশির দশকের শেষের দিকে কারো প্রবাসে একটি চিঠি লিখতে হলে সারা গ্রামে দুই চার জন পাওয়া যেত চিঠি লেখা বা পড়ার জন্য। জমির কাগজ-পত্র বা মাপামাপির ব্যাপার থাকলে দুই চার গ্রাম থেকে বুঝনেওয়ালা মানুষজন ভাড়া করতে হতো। ঠিক সেই সময় থেকে দেখেছি কিছু কিছু শব্দ দ্বারা সমাজের মানুষগুলো একে অপরকে ভয় দেখাতো বা ভয় পেতো। যেমন, কেইস বা মামলা, ইঞ্জাঙ্কশান, চুক্তি, কোর্ট-কাচারী, থানা পুলিশ ইত্যাদি। আমাদের রাজনৈতিক দলের নেতারাও গোলামী চুক্তি, দেশ বিক্রিসহ নানা ধর্মীয় ইস্যু তুলে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করে। কিন্তু বর্তমান যুগেও কি সে অবস্থা আছে? শিক্ষিত মানুষ এখন ঘরে ঘরে। কেইস মামলা, থানা পুলিশ, চুক্তি, দেশ বিক্রি এসব কথায় মানুষ এখন আর ঘামে না। কিন্তু আমাদের আন্ডার মেট্রিক খালেদা এখনো সেই যুগেই পড়ে আছে। পর্যাপ্ত বিদ্যা শিক্ষা না থাকায় সে যুগের সাথে নিজেকে আপগ্রেডেড করতে পারেন নাই। তাই তিনি এখনো সেই পচ্চাত আমলের রাজনীতির ছকে চলেন। আওয়ামীলীগ দেশ বিক্রি করে এটা তাদের আজকের ডায়ালগ নয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আওয়ামীলীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই দেশ বিক্রি করে থাকলে খালেদা জিয়া কোন দেশের প্রধানমন্ত্রিত্ব করেছে? আচ্ছা আমরা যদি ইন্ডিয়ার জায়গায় থাকতাম আর ইন্ডিয়া যদি আমাদের জায়গায় থাকতো তাহলে ব্যাপারটা কেমন হতো? তাই কথায় নয়, কোন দল কত টুকু দেশ ও দেশবাসীকে দিতে পারলো হিসাব হবে সে জায়গায়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোহেল রানা আশিক ২৩/০৪/২০১৭সুন্দর লেখা
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৪/০৪/২০১৭ভাল।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৩/০৪/২০১৭এখনও যে মূর্খ আছে। তাইতো এইসব ‘দেশ ভারত হয়ে যাওয়ার’ ডায়লগ।