আবারও প্রমাণিত হলো- গনতান্ত্রিক ধারায় বিশ্বাসী বাংলাদেশ সরকার
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিকে দৃষ্টি ছিল গোটা দেশের মানুষের। নবগঠিত ইসির প্রথম স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ছিল সবাই। নতুন কমিশন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব সম্পাদন করতে পারে কি না, তা দেখার ছিল। নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচন চলাকালীন সময়েও ক্ষমতাসীন দলকে দোষারুপ করে সরকারকে কলংকিত করার চেষ্টায় বিভিন্নভাবে প্রচারনা চালিয়েছে বিএনপি সমর্থিত একাধিক মহল থেকে কিন্তু তাদের সেই প্রচারনা, অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে গেল, পরিস্কার হয়ে গেছে দিনের আলোর মত তাদের মিথ্যা বলার প্রবনতাগুলো। সাধারন মানুষ ও এখন বুঝতে পেরেছে যদিও তারা স্বীকার করে না কিন্তু অস্বীকারও করতে পারছে না। মানতে বাধ্য হয়েছে সরকারি দলের পক্ষ থেকে এ নির্বাচনে কোনো চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। সরকার নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে না, পেশিশক্তি ব্যবহারে বিশ্বাসী নয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবেই ভোটগ্রহণ হয়েছে। নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনেও একই চিত্র ফুটে উঠেছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশ ছিল। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল প্রার্থী দেওয়ায় শুরু থেকেই জমে উঠেছিল নির্বাচন। মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল ভোটের উত্তাপ। প্রার্থীদের প্রচারে কখনো ব্যক্তিগত আক্রমণ হয়নি। শালীনতা লঙ্ঘিত হয়নি। জঙ্গি আতঙ্ক ছাপিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছিল ভোটের দিন। তবে ভোট প্রদানের হার গতবারের মতো হয়নি। এবার ভোটের হার ৬৫ শতাংশ। পরাজিত প্রার্থী আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা ভোটের ফল মেনে নিয়ে বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরাজয় মেনে নেওয়ার মানসিকতা খুব একটা লক্ষ করা যায় না। কুমিল্লার নির্বাচনে সীমা সেই কাজটি করে দেখালেন। কুমিল্লায় যে উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে সবার আস্থা অর্জনে কমিশন শতভাগ সফল হয়েছে। আগামী যেকোনো নির্বাচন এভাবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হলে একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা ফিরে পাবে। আমরা আশা করব, নির্বাচন কমিশন প্রতিটি নির্বাচনে কঠোর অবস্থানে থাকবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মুহাম্মাদ রাসেল উদ্দীন ০৩/০৪/২০১৭দেখা যাবে
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০১/০৪/২০১৭বিএনপিরা জিতলে খুশি।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০১/০৪/২০১৭আরো জোরে- ''হেইয়ো''