ঢাকাবাসী হাঁটি সাইকেল চালাই আর সুস্থ থাকি
ঢাকার যানজট নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। দুই কিলোমিটার পার হয়েছি দেড়ঘণ্টায় এমন আফসোস অনেকের মুখেই কিন্ত কেউ বলে না যানজট দেখে হেঁটেছি দুই কিলোমিটার। বাঙালি ভোজন রসিক আর খানিকটা অলস। তাদের অলসতার এক বড় উদাহরণ হচ্ছে যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা। ঢাকা শহরে অনেককে দেখা যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে এক, দেড় কিলোমিটার পথ হেঁটে বাসে চড়তে আগ্রহ নেই। বরং বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকবেন মিনিটের পর মিনিট, একটা রিকশার আশায়৷ অথচ একটু হাঁটলে সময়ও বাঁচে, স্বাস্থ্যেরও উপকার হয়। হাঁটা কতটা উপকারের, সেটা অনেকেরই জানা। তবুও জানাতে চাই, প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটা আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনতে পারে। শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিক থেকেই হাঁটা ভালো। শরীরের বাড়তি মেদ ঝেড়ে ফেলতে চাইলে, ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে চাইলে নিয়মিত হাঁটুন। অলসরা আবার বলে বসবেন না, ঢাকায় হাঁটার উপায় কী? ফুটপাত থাকে হকারের দখলে কিংবা নোংরা৷ হ্যাঁ, এ সব বাস্তবতা আছে, তবে সবাই সচেতন হলে সমাধান বেরিয়ে আসবেই। আপনি শুধু আপনার অংশটুকু করুন, যানজটে বসে না থেকে কিংবা অল্প দূরত্বে রিকশা না নিয়ে হেঁটে সামনের দিকে এগিয়ে যান। হাঁটার পাশাপাশি আরেকটি কাজ করা যায় সাইকেল চালানো। ঢাকার বর্তমান রাস্তাঘাট এখনো হয়ত সাইকেলের জন্য পুরোপুরী উপযোগী হয়নি, কিন্তু প্রয়োজনীয়তা পরিস্থিতি বদলাতে পারে। আর প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টির জন্য সাইকেল নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে আমাদের। ইউরোপের প্রায় সব শহরেই সাইকেল এক জনপ্রিয় বাহন। কেননা, সেখানকার মানুষ জানে সাইকেল চালানোর উপকারের কথা৷ সপ্তাহ তিন ঘণ্টা সাইকেল চালালে হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের ঝূঁকি কমে যায় প্রায় অর্ধেক। পাশাপাশি নিয়মিত সাইকেল চালালে শরীরের কর্মক্ষমতাও বাড়ে। তাই ঢাকাবাসী, আসুন সম্ভব হলে সাইকেল চালানোর অভ্যাসটাও শুরু করি। দেখা যাবে, যানজটে যে সময় নষ্ট হতো, তা আর হবে না। আর আমরাও হয়ে উঠবো আরো স্বাস্থ্যবান, শক্তিশালী এবং কর্মক্ষম৷ পকেটও থাকবে ভারী। আসুন নিজে সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করার চেষ্টা করি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২৫/০৩/২০১৭খুব ভালো লাগলো।
-
ফয়সাল রহমান ২৩/০৩/২০১৭ভালো
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২২/০৩/২০১৭সুন্দর কথা।
-
মোঃআব্দুল্লাহ্ আল মামুন ২২/০৩/২০১৭উপযুক্ত কথা বলেছেন